Sunday, January 13, 2008

ওয়ান্স আপন এ কান্ট্রি, সামহয়ার ইন দ্য ওয়েব

অপরাজেয় সংঘাত

সামহয়ারের আর কারো হয়তো জানতে বাকী নেই। এমন একজনও হয়তো মিলবে না যিনি হঠাৎ করে লগ ইন করে একদম অবাক হয়ে যাবেন। নিজের মনেই বলে উঠবেন, হায় এ কী! আমার ধারণা, যাদের বলার সবাই বলে ফেলেছেন। যাদের পক্ষ নেবার সবাই পক্ষ নিয়ে ফেলেছেন। কেউ নিজে থেকে পোস্ট দিয়েছেন। কেউ অন্যের পোস্টে গিয়ে মন্তব্য করে নিজের ঐক্যমত বা দ্বিমত জানিয়ে এসেছেন। সব মিলিয়ে, সবার মত গ্রন্থিত করে একজোট করলে হয়তো একটা মহাকাব্য হয়ে যাবে। কিন্তু যা হয়েছে, সমস্যা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তা যেন সমাধানহীন। যেন এক পরিত্রাণহীন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছি আমরা। আমরা আপাতত ব্লগার, কিন্তু আগামী দিনের তরুণ চিন্তক, নাগরিক, অ্যাক্টিভিস্ট, সাধারণ মানুষ। এই তরুণদের নানা অংশের মধ্যে চলছে বিরামহীন ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। জয় ও পরাজয়ের মহড়া। আন্দোলন সংগ্রাম। এবং অবশ্যই সংঘর্ষ। আমাদের এই বাংলাদেশে ফেরেশতা অথবা শয়তান যেই ক্ষমতা নিক, মাইনাস টু থেকে শুরু করে মাইনাস মিলিয়ন যাই করুক এই সংঘর্ষ যেন অপরাজেয়। ব্লগের যুদ্ধক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের সংঘর্ষ, সংঘাত তথা মতাদর্শিক লড়াই দেখে আপাতত তাই মনে হলো।

আদার কালার্স

বাংলাদেশে যেমন সারা পৃথিবীতে তেমনি কেবলই দুইটা রঙ চোখে পড়ে। শাদা আর কালো। ব্লগেও তেমনি দুইটা রঙই চোখে পড়ে শাদা আর কালো। আমি প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত বলে আসছি। মাঝে আরও সাতটি রঙ আছে। শুধু শাদা আর কালো ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো রঙ নাই একথা মিথ্যা। কিন্তু কোনো দলই এটা মেনে নিতে প্রস্তুত নন। এই দুই দল সমস্ত রঙকে পরাজিত করে পৃথিবী শাসন করার এই বিধ্বংসী খেলায় মেতেছে। হয় জর্জ বুশের দল, নয়তো লাদেনের দল। হয় আক্রমণকারী নয়তো আক্রন্ত। কোন দলে আপনি? তাড়াতাড়ি জবাব দিন, নইলে এখনি আপনার ওপর হামলা করবে ইসলামপন্থীরা অথবা ওয়ার অন টেররের সৈনিকরা।

ব্লগেও এমন পরিস্থিতির চাপ। শাদা আর কালো দুইটা পক্ষ। কোন দিকে আপনি? তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিন। নইলে আপনার ভাগ্যে তকমা জুটবে এখনি। হয় আপনি রাজাকার নইলে মুরতাদ। আপনার বিরুদ্ধে মিছিল নামবে হয় বায়তুল মোকাররম থেকে নয়তো সুধাসদন থেকে।
অনেক লেখালেখির পর অনেক কথা খরচের পর এখন সবাই মানতে রাজি হয়েছেন শাদা ও কালোর বাইরে অন্য রঙ আছে। ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা নিন্দা করে তাদের নাম দিয়েছেন সুশীল। সুশীল তো এখন প্রবলভাবে সমালোচিত একটা গোষ্ঠী। যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাতের বাইরে এদেশে তৃতীয় কণ্ঠস্বরের দাবিদার। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জানা গেল তারা হলেন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক/সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের উকিল। ফলে সুশীল এখন বড় সমালোচিত শব্দ।

তকমা দেয়া যাদের কাজ তারা চান্স পেলে তকমা দিয়ে যাবেন, সে তকমা দিয়ে কিছু বোঝা যাক বা না যাক। কিন্তু, এই তকমা নেগেটিভলি দিলেও একটা ব্যাপার কিন্তু তারা মেনে নিয়েছেন যে, ব্লগে তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি মত আছে বা থাকতে পারে। যে মতগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে কিন্তু অনৈতিক উপায়ে গালিবাজী করে কোনো ফায়দা লোটার উদ্দেশে তাকে প্রতিষ্ঠিত না করে যুক্তি, বুদ্ধি ও সহনশীল পদ্ধতি অবলম্বনের পক্ষপাতি। ইসলামকে স্রেফ জঙ্গিবাদের সঙ্গে, ইসলামী মতাদর্শকে স্রেফ পাকিস্তানপন্থী, এন্টি সেভেনটিওয়ান হিসেবে দেখার যেমন একচোখা নীতি আছে। তেমনি ইসলামের মধ্যেও অন্য মত আছে। যে মত, যে কাউকে যে কোনো প্রকারে মুরতাদ ঘোষণা করে না, মাথার দাম ঘোষণা করে না, দেশ ছাড়া করে না। সমালোচনাকারীকে বেঈমান বলে তার বিরুদ্ধে গজারির লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়ে না। রাজনৈতিক ফায়দা লুটে ইসলামকে কলুষিত করে না।

১৯৭১ বাংলাদেশের মানুষের জন্য অপূর্ব এক সুযোগ এনে দিয়েছিল। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের সঙ্গে অন্য সব মতবাদ ধর্ম বর্ণের মানুষ ছিল। কিন্তু নেতৃত্বে ছিল এই মুসলমানরাই। উপমহাদেশে এই একমাত্র জাতিরাষ্ট্র যারা মালিক মূলত বাঙালি মুসলমান। কিন্তু ১৯৭১-এর সুযোগ আমরা নেইনি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাই ইসলামকে ব্যবহার করে নিয়মিত আমাদের ওপর আঘাত হেনেছে। আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তিকে সুদূর পরাহত করে রেখেছে।

আমাদের সমাজ আজ নানামুখি সংঘর্ষে এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত। এ যুদ্ধ কখনো মুখোমুখি কখনো আড়ালে আবডালে চলছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামাতের। শিক্ষার্থীর সঙ্গে সেনাবাহিনী। নাগরিকদের সঙ্গে শাসকের। নাস্তিকের সঙ্গে আস্তিকের। যুক্তির সঙ্গে বিশ্বাসের। ধর্মের সঙ্গে বাস্তবতার। জ্ঞানীর সঙ্গে মূর্খের সংঘাত লেগে আছে। এদেশে পাকিস্তানপন্থী আছে। ভারতপন্থী, চীন পন্থী, রুশপন্থী, আমেরিকা পন্থী এমনকি মালয়েশিয়া পন্থীও পাওয়া যাবে কিন্তু বাংলাদেশ পন্থী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। একাত্তরের পর বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য বড় কোনো সংগ্রাম হয়নি। বড় কোনো উদ্যোগ আসেনি। ফলে, নাগরিকের দেশপ্রেমবিহীন এক ভবিতব্য নিয়ে দেশটি থমকে আছে। এখানে প্রগতিশীলরা নৈরাজ্যবাদী। ধর্মপন্থীরা জঙ্গি। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। একদল চায় আরেক দল দেশ ছেড়ে চলে যাক। বহিষ্কার হোক। কোনো আপোষরফা নেই। দুটো দলই এমন এমন সব পদ্ধতি অবলম্বন করে যার অধিকাংশই ফ্যাসিস্টরা অবলম্বন করেছিল। কিন্তু আমরা বলতে চাই, দেশ ছেড়ে বা ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়া বা বহিষ্কার করার বাইরেও পথ আছে। গণতান্ত্রিক উপায়ে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরের কঠোর সমালোচনা করেও এদেশে থাকা সম্ভব। এমনকি ব্লগেও থাকা সম্ভব।

আমাদের দায়

সামহয়ারের বর্তমান সংকটে আমাদের দায় কতটুকু? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কায়েম করার কথা বলে যাকে তাকে রাজাকার বলে এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি করে নিজেদের ব্লগীয় ফায়দা লুটতে চেয়েছেন এবং তা করতে গিয়ে অন্যায় পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমরা বলেছি, এ পদ্ধতিতে ব্লগটিকেই শুধু ধ্বংস করে দেবার চেষ্টা হচ্ছে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্বপক্ষের বলে মনে করে ভুল বলিনি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে এবং অব্যাহতভাবে পিকেটিং চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী সবাইকে ব্লগ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। লক্ষ্য, কতিপয় মুক্তিযুদ্ধপন্থী গুণ্ডার অন্যায় কাজকে বৈধতা দান করা। কিছু ব্যান এক্ষেত্রে আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই সুযোগে সামহয়ারে সংখ্যাগত আধিপত্য কায়েম করেছে তথাকথিত ইসলামপন্থীরা। এদের অনেকে ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধকেও সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে একাত্তরের রাজাকার আল-বদরের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কেউ বায়তুল মোকারম থেকে মিছিল নামানোর হুমকি দিয়েছেন। কেউ সহব্লগারকে মুরতাদ ঘোষণা করেছেন। এখন আপাত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ব্লগারেদের অনুপস্থিতিতে এরা আমাদের ছালাম দিয়ে যাচ্ছেন। আরেক রাজনেতিক ফায়দা লোটার উৎসবে নেমেছেন।

আমার কথা পরিষ্কার। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তির ছালাম চাই না। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গালিও শুনতে চাই না। আমরা আওয়ামী টীমের পিকেটিং চাই না। আবার ছাত্র শিবিরের দাওয়াতও চাই না। আমরা একটা সুস্থ, সুন্দর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা আছে এরকম একটা ব্লগ চাই। সেখানে ক্রিয়েটিভ চিন্তা ও সৃষ্টি প্রকাশ করতে চাই। ব্যস। যারা মতাদর্শ কায়েমের স্বপ্নে বিভোর তারাও থাকবেন। কিন্তু তারা যেন অন্যায় কোনো পদ্ধতি বেছে না নেন।

আমরা চাই না, এ ব্লগে যুক্তি দিতে গিয়ে কেউ ধর্মের অবমাননা করুক। আবার কেউ ধর্মের অবমাননা করার আগেই তাকে মুরতাদ ঘোষণা করুক কেউ। কেউ মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য বিতর্কিত কিছু বলুক। আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।

মতাদর্শ কায়েমের ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে। এজন্য শাদা ও কালোর বাইরের অন্য রঙগুলোতে আলো ফেলতে হবে। এ জন্য সুস্থ-সুন্দর চর্চা যারা চান তাদের সক্রিয় হতেই হবে।
--------------------------------------------------------------------------------

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৬ আবূসামীহা বলেছেন: "আমরা চাই না, এ ব্লগে যুক্তি দিতে গিয়ে কেউ ধর্মের অবমাননা করুক। আবার কেউ ধর্মের অবমাননা করার আগেই তাকে মুরতাদ ঘোষণা করুক কেউ। কেউ মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য বিতর্কিত কিছু বলুক। আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।"
===============================

ভাল বলেছেন।
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।

কারেকশন: সাদা ও কালো কোনটাই কোন রঙ না।
চাইলে হাজার খানেক রেফারেন্স দেওয়া যেতে পারে।
লেখক বলেছেন: আপনার এই জ্ঞান আপাতত এখানে অপ্রয়োজনীয়।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৯ রোকন বলেছেন: " মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা"-টা কেমন? একটু খোলাসা করেন।
লেখক বলেছেন: এই একটা বাক্যই পাইলেন?
আমার প্রশ্নে উত্তর দেন : ধর্মের গঠনমূলক সমালোচনা করা সম্ভব? ধর্মকে অবমাননা না করে?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪২ এম.এ.হামিদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।

Am I allowed to discuss constructively why Mahbub Morshed is a bastard?
লেখক বলেছেন: এই একটা কাজই তো করতে পারেন আপনে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৫ কবিতা বালিকা বলেছেন: আপনার প্রতিটা লিখুনিই চমৎকার। অনেক খাঁটি কথা তুলে এনেছেন। তবুও এদের হুঁশ হবে বলে মনে হয়না। ব্লগটাকে বন্ধ করার চক্রান্ত চলছে, প্লীজ এটা হতে দেবেননা। ব্লগে এসে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। কিন্তু শিক্ষিত মানুষদের মুখ থেকে গালি যখন শুনি তখন নিজের উপর ঘেন্না ধরে যায়, মনে হয় মানুষেরা এত নীচ কেন।

যখন দেখি আমার প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কে গালি দিয়ে পোষ্ট দেয়া হয় তখন খুব কষ্ট হয়। এটাকি আমাদের কাম্য ছিল? কেন রাজাকার আর ধর্মপ্রানকে একসাথে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে? কেন সবাই একটু সহনশীলতা দেখাতে পারছেনা?
লেখক বলেছেন: এতদিন জানতাম ইসলাম হলো ধর্ম।
এখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ আরও বড় ধর্মে পরিণত হয়েছে।
ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৬ প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
প্রথম পাতায় এখন সুন্দরের চরচা হচ্চে।
লেখক বলেছেন: গালি চলছে না আর?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৮ কবিতা বালিকা বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ সাহেব দেখুন, এম এ হামিদ = আইজুদ্দিন আপনাকেও গালি দিল !! অবাক লাগে এদের আচরণ!!

আর রোকন নামের ঐ লোকটা, ফজলে এলাহি নামের একজন ব্লগারের ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে ছবি চুরি করে নিয়ে এসে নিজের প্রোফাইলে লাগিয়ে ঘুরছে! কারও কি কিছুই বলার নেই? কর্তৃপক্ষ কেন ব্যাবস্থা নিতে এত দেরী করে সবসময়?
লেখক বলেছেন: এই দুইজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করছে এখন?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১ রোকন বলেছেন: " মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা"-টা কেমন? একটু খোলাসা করেন।
লেখক বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা তো দেখি ইসলামপন্থীদের চেয়ে অসহনশীল হয়ে পড়েছে। বাহ!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১ মুনশী বলেছেন: ভালা মাইনসের পুত মাহবুব মিয়া, পেলাস দিলাম।
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৬ রোকন বলেছেন: আমি কোন ধর্মকে বিশ্বাস করি না। কাজেই ধর্মের কথা আমার থেকে না জানতে চাওয়াই ভাল।
লেখক বলেছেন: আপনি তো মুক্তিযুদ্ধকে ধর্ম বানিয়ে ফেলেছেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৯ রোকন বলেছেন: আপনে পাগলের গু পারায়ছেন। কেমনে বুঝলেন মুক্তিযুদ্ধকে ধর্ম বানিয়েছি? ফালতু বকবাজ করেন কেন?
লেখক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধকে আপনে ধর্মেরও উর্ধে নিয়া গেছেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০১ নগর বাউল বলেছেন: চলমান রাজাকারমুক্ত ব্লগ আন্দোলনঃ আমার দুটি দাবি
লেখক বলেছেন: হ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৫ রোকন বলেছেন: হা হা, আমি আগেই বলেছি ধর্মকে আমি বিশ্বাস করি না, কাজেই আমার কাছে ধর্মের কোন স্থান নেই। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ ঠিক মুক্তিযুদ্ধের স্থানেই আছে। ধর্মের আগে বা পরে থাকার কোন ব্যাপার নেই।

এইবার বলেন আপনার এই বোধদয় কেমতে হল?
লেখক বলেছেন: কাইলকা বলবো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪ শীমুলতা বলেছেন: ভাইজান আমি একটা কিশোর ছেলেই বলা চলে। প্রথম প্রথম ব্লগে এসে আমি দেখলাম একটা শক্তিশালী দল অন্য আরেকটা দূর্বল দলকে আঘাত হানবার ছেষ্টা করছেএবং বলছে ওরা রাজাকার। শক্তিশালী দলে কিছু শক্তিশালী সাংবাদিকও ছিল। আমি ভেবেছিলাম যেহেতু, ওরা এত স্বাধীনতার কথা বলছেন নিশ্চই ওরাই ভাল। তাই ওদের পক্ষ নিয়ে আমিও দূর্বল দলের অনেককে আজেবাজে কথা বলেছি কিন্তু গালি দেইনি কোনোদিন কাউকে। বলেছি রাজাকার। একদিন এক ব্লগার আমার কাছে ই-মেইল করে বলল, কোনো ধর্মীয় পোষ্ট দেখলেই যেন ১ দেই এবং আরও অন্য কিছু ব্লগারের নাম লিখে বলল যেন তাদের পোষ্টে এক দেই এবং তাদেরকে সারক্ষন খোঁচার উপড়ে রাখি। তাহলে ওরা আমার পোষ্ট টপরেটে উঠাবে। পরে আমি অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম যে , কতটা জঘন্য মানসিকতার হলে তারা এই কাজগুলো করতে পারে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কটু কথা বলতে পারে। আমি তার ঐ মেইলের কোনো জবাব আজ পর্যন্ত দেইনি।উল্ল্যেখ্য,নিজেকে সে এক স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির ব্লগার বলেছে। অনেক ভাবনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ওদের কথা মত চলবনা এবং এরপর পরই তারা আমাকে রাজাকার উপাধীতে ভূষিত করে। এখন বলুন ভাইজান, সাধারণ পাব্লিক কিভাবে ওদের কাছে জিম্মী হয়ে আছে।তাই আমার মতে যারা গালিবাজি এবং ফ্লাডিং করার জন্য ব্যান হয়েছেন তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে ব্লগে ফেরত আনা হোক। স্বাধীনতাবিরোধী পোষ্ট কিন্তু সাধারণ ব্লগারেরা খুঁজে পাচ্ছেননা এবং যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারাও স্পেসিফিকলি দেখাতে পারছেননা কোনটা দেশবিরোধী পোষ্ট। আমাদের মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে গন্ডগোল সৃষ্টি করার জন্যই এসব করা হচ্ছে।

এই পোষ্ট টাকে স্টিকি করার দাবী জানাই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪ ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব, ব্লগে আপনার অবস্থান নিয়ে অনেক ব্লগারের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আপনার অবস্থান আমার কাছে অস্পষ্ট নয়। কিন্তু কয়েকটি কারণে, যেসব ব্লগার ক'দিন আগেও আপনার ওপর আস্থাবান ছিল, তারা আপনাকে এখন সন্দেহের চোখে দেখছে:
১. আপনার প্রাইভেসি সিকিউরিটি সংক্রান্ত পোস্টের পরেই কর্তৃপক্ষের নোটিশ এবং কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ। সেজন্য আপনার ভয়েসকে অনেকে কর্তৃপক্ষের ভয়েস মনে করছে।
২. কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে গিয়ে কয়েকজন ভালো ব্লগারকে ব্যান করেছে, যেটা পরিস্থিতিকে সবচেয়ে খারাপ জায়গায় নিয়ে গিয়েছে।
৩. চিহ্নিত চরম দক্ষিণপন্থী ব্লগাররা আপনার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে দ্রুত এসে নির্বিচারে অভিনন্দন জানাচ্ছে। এটাও সন্দেহ তৈরি করছে।
৪. আপনার কোনো কোনা বক্তব্য মাঝে মাঝে অস্পষ্ট থেকেছে। (মোটের ওপরে বললাম, রেফারেন্স চাইয়েন না)

দেশবিরোধীদের আমি চরম ঘৃণা করি, অতি রক্ষণশীলদের আমি অপছন্দ করি। ধর্মের বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে, (পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতিতে এই আগ্রহ বেড়েছে) কিন্তু একচোখা ধার্মিকদের কথাবার্তায় আমার অরুচি আছে।

কর্তৃপক্ষ কেন এখনও ভালো ব্লগারদের (তারা যতই গালি দিক) আনব্যান করছে না সেটা একটা বিস্ময়। দেশবিরোধী কথা বলবেননা, গালি দিবেন না -- এই দুইটি বিষয় নিশ্চিত করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ সব লেজেগোবরে করে ফেলেছে।

আপাতত আনব্যান করে এবং কিছু আহ্বান জানিয়ে এর সমাধান হতে পারে। কিন্তু আপনার মতো আমিও মনে করি, ঐ দুইটা জিনিস গ্রহণীয় নয়। গালিতে আমার আপত্তি নাই, গালিসর্বস্বতায় আছে। আর মুক্তিযুদ্ধকে, জাতিসত্তাকে হেয় যে করে তার তো দেশে থাকারই অধিকার নেই।
লেখক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৩ ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি স্বাভাবিকভাবে ব্লগিং করতে চাই। জানি আপনিও চান। বিদ্যমান সঙ্কটের কী সমাধান হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? আগের একটি পোস্টে সমাধানের বিষয়ে আমি হতাশা ব্যক্ত করেছিলাম। আপনি আশাবাদী ছিলেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫ রোকন বলেছেন: আজকে তাহলে আপনি আর কোন আলোচনা করছেন না?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৯ মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: "কিছু ব্যান এক্ষেত্রে আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই সুযোগে সামহয়ারে সংখ্যাগত আধিপত্য কায়েম করেছে তথাকথিত ইসলামপন্থীরা। এদের অনেকে ব্লগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধকেও সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ প্রকাশ্যে একাত্তরের রাজাকার আল-বদরের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কেউ বায়তুল মোকারম থেকে মিছিল নামানোর হুমকি দিয়েছেন। কেউ সহব্লগারকে মুরতাদ ঘোষণা করেছেন। এখন আপাত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ব্লগারেদের অনুপস্থিতিতে এরা আমাদের ছালাম দিয়ে যাচ্ছেন। আরেক রাজনেতিক ফায়দা লোটার উৎসবে নেমেছেন।আমার কথা পরিষ্কার। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তির ছালাম চাই না। আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গালিও শুনতে চাই না।"

১০০ পার্সেন্ট সহমত,
এদের সালাম চাই না,এবং এদের উপস্থতিই একধরনের বিরক্তি সৃস্টি করছে সবার মনে।আর কিছুদিন পর দেখবো এখানে আজান বাজছে,এবং মিলাদের আহবান করা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাপন্থীদের ব্যান করার কারণে!

আসলে ব্লগের মুক্তিযোদ্ধাপন্হীদের চাইতে কুটচালে বেশী পারদর্শী এই মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা।ব্লগের মুক্তিযোদ্ধাপন্হীরা যখন উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করেন তখন তারা নিরব থাকে এবং পরে তার ব্যান দাবী করে উদাহরণ সহ পোস্ট দেয়।আমার মনে হয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা দীর্ঘ কোন সময়ের প্ল্যান নিয়ে টেস্ট স্টাইলে খেলছে....লালসবুজ দল সেখানে বেধরক পিটিয়ে খেলতে গিয়ে অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছে,একটু তাদের সাবধানী হয়ে খেলা উচিত।

লেখাটা ভাল হইছে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭ হট্টগোল বলেছেন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কায়েম করার কথা বলে যাকে তাকে রাজাকার বলে এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি করে নিজেদের ব্লগীয় ফায়দা লুটতে চেয়েছেন--------------মা.মো

------------------------------

এই 'ব্লগীয় ফায়দা' জিনিসটা কি?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৫ কানার বাজার বলেছেন: @মাহবুব --> আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি ব্যাপার গুলো কে গুলিয়ে ফেলছেন। সেটা কি মধ্যস্থতা করার জন্য? একটা জিনিস মনে হয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার। মধ্যম্পন্থা জিনিস্টা উপকারী তবে যখন বাকি প্রান্ত গুলো কাছাকাছি অবস্থান করে। কিন্তু প্রকৃতিগত ভাবে দুই মেরু তে থাকা দুইটা আইডিয়ার মাঝে আর যাই হোক মধ্যস্থতা হতে পারেনা। এদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটবেই। এটাই ভবিতব্য। এবং এখানে যেটা হবে সেটা কে আপনি সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেষ্ট বলতে পারবেন না। এটা হবে 'সারভাইভাল অফ দ্যা পপুলারলি ডিসারভিং'। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আপনি ডিফার করতে পারেন। I don't mind.

@ফাহমিদ --> আপনার বক্তব্য আমার কাছে অনেক বেশি বিবেচনা প্রসূত মনে হয়েছে। ধন্যবাদ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯ উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "কর্তৃপক্ষ কেন এখনও ভালো ব্লগারদের (তারা যতই গালি দিক) আনব্যান করছে না সেটা একটা বিস্ময়"

ফাহমিদুল হক, আপনার লেখার মান অসাধারন - এটা যে কেউ স্বীকার করবে। কিন্তু গালিবাজরা কি করে ভাল ব্লগার হয়? এই কয়দিন গালি পাই নি, এর চেয়ে শান্তির কি আছে? আনব্যান হয়ত হবে। এটাই আমার বিশ্বাস। কতৃপক্ষ একটা লিমিটেড সময়ের জন্য ব্যান করে রাখে। অতীতে তাই দেখেছি। কিন্তু গালির সেই পরিবেশে ফিরে যেতে চাই না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯ শয়তান বলেছেন: @মুয়ীয মাহফুজ আপনি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এখন এই চরম সত্যটা সহ অনাগত ভবিষ্যত টা বুঝুক সবাই ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯ পাখী বলেছেন: কাদের রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী বলা হচ্ছে মুয়ীজ মাহফুজ ভাইয়া? ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনো কথা লিখলেই রাজাকার হয়ে যায়না। এই ধরনের মনোভাব বাদ দিন দয়া করে । এখানে দেশবিরোধী কোন পোষ্ট আপনার চোখে পড়েছে একটু বলবেন কি?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫২ শয়তান বলেছেন: ফাহমিদুল হক এর মন্তব্যে সম্পুর্ন সহমত

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৩ পাখী বলেছেন: ফাহমিদ:
গালিবাজরা কি করে ভাল ব্লগার হন? এতদিন কেন আমি ব্লগে আসিনি জানতে চান? গালির জন্য। আপনি সেই গালিবাজদের সাপোর্ট করে যাচ্ছেন? ছিঃ ছিঃ ছিঃ, এই আপনার শিক্ষা? আপনাদের কাছ থেক অনেক কিছু শেখার ছিল আমাদের। কিন্তু এখন আর নয়।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৩ কালিদাস পন্ডিত বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা" বিষয়টি আপত্তিকর মনে হইতেছে, মুক্তিযুদ্ধের গঠনমুলক বা অগঠনমুলক কোনপ্রকার সমালোচনা থাকিতেই পারেনা। "মুক্তিযুদ্ধের সমালোচনা"কারীদের পশ্চাৎদেশে পদাঘাতপুর্বক রাষ্ট্র হইতে বিতারন অতিআবশ্যক।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৭ মিরাজ বলেছেন: মাহবুব ভাই, চমৎকার লিখেছেন ।

দেশ এবং ব্লগীয় বাস্তবতা একসাথে তুলে এনেছেন ।

গালিবাজদের হাতে জিম্মী হয়ে থাকা আর নয় ।

আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে হবে এবং সামহোয়্যারইনকে একটি পরিচ্ছন্ন প্ল্যাটফর্ম করতে হবে যেখানে স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত থাকবে এবং গালিগালাজ ও অশ্লীলতা মুক্ত থাকবে ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯ মিরাজ বলেছেন: কিছু কিছু অংশের সাথে দ্বিমত আছে কিন্তু এখন সেই ব্যাপারগুলি বর্তমান বাস্তবতায় সামনে আনলাম না ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯ মৃদুল মাহবুব বলেছেন: সমস্যাটা আরও গভীরতর দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

"প্রগতিশীলরা নৈরাজ্যবাদী। ধর্মপন্থীরা জঙ্গি।" এর বাইরে বাংলাদেশবাদী কন্ঠের আওয়াজ শুনতে চাই। তবে সে গনকন্ঠে যেনো রাজাকার, ধর্ম পণ্ডিত বা মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী, জামাতীরা না থাকে। ধর্ম নিরপেক্ষতা কি এতই কঠিন একটা বিষয় আমাদের জন্য?

আমি যুদ্ধাপরাধীসহ আমাদের বাংলাদেশ লুন্ঠনকারী মহান রাজনীতিবিগনেরও বিচার চাই। তারাও জামাতীদের থেকে কম কিছু না। আ.লীগ, বিএনপি, জামাত নিপাত যাক। মানবতা হোক বাংলাদেশের উদার বুক।

আপনার লেখাটা নানা আলোচনার সুযোগ তৈরি করলো। আশা রাখি গঠনমূলক আলোচনা হবে। আমাদের ব্লগারদের আবস্থান পরিস্কার হবে। ভালো ব্লগারদের সস্মান মুক্তি চাই।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩০ মিরাজ বলেছেন: "আবার কেউ মুক্তিযুদ্ধের গঠনমূলক সমালোচনা করলেও তাকে রাজাকার খেতাব দেয়া হোক।"

মাহবুব ভাই, এই একটি লাইন আপনার পুরো বক্তব্যকে অনেক দুর্বল করে দিচ্ছে । এই লাইনটা বাদ দেয়া যায় না?

মুক্তিযুদ্ধের গঠনমুলক সমালোচনা হয়না, হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে কাজে না লাগানোর ব্যাপারে গঠনমুলক আলোচনা ।

আমরা কেন মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলামনা দেশ গড়ার ক্ষেত্রে, সেই ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের দায় কতটুকু, কতটুকু দায় আমাদের এগুলি আলোচনায় আসতে পারে কিন্তু আমার দৃষ্টিতে শুধু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সমালোচনা হতে পারেনা ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪১ কালপুরুষ বলেছেন: জনাব মিরাজ, আপনার বক্তব্য সমর্থনযোগ্য। আমাদের "মুক্তিযুদ্ধ" সকল সমালোচনার ঊর্দ্ধে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোথাও কোন বিতর্কের কোন অবকাশ নেই এবং তা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৪ রোকন বলেছেন: কালপুরুষ ১০০% সত্য বলিয়াছেন, আপনার জন্য জাঝা