Monday, August 13, 2007

হেবোফাতুলের কথা অমৃত সমান ০১

ইন্টেল চেয়ারম্যানের আগমন ও হাস্যকর প্রেস ব্রিফিং
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৪১:৫০


রবিবার বিকেল। শেরাটন হোটেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম এক ব্যবসায়ীর সাথে। আসলে আড্ডার ছলে একটা রিপোর্টের জন্য কিছু তথ্য নিচ্ছিলাম।
হঠাৎ বাজলো ফোন। পরিচিত এক বড় ভাই জানালো ইন্টেল একটা প্রেস কনফারেন্স করছে শেরাটনের বিজনেস সেন্টারে। ওদের সাউথ এশিয়ান মার্কেটিং হেড বা এধরনের কেউ এসেছে। আগামী মাসে ইন্টেল চেয়ারম্যান বাংলাদেশে আসছে। তার ব্রিফিং হবে সম্ভবত।
আমি অফিসে ফোন করলাম। ইন্টেলের প্রেস কনফারেন্স সম্পর্কিত কোন ফোন বা ফ্যাক্স বা চিঠি এসেছে কিনা জানার জন্য। না, অফিসে তেমন কিছু আসেনি।
চিন্তা করলাম কয়েক মুহুর্তে। তাদের প্রেস ব্রিফিংয়ে কি যাবো? বাংলাদেশে ইন্টেলের নতুন কার্যক্রম নিয়ে কাজ করছি কয়েকদিন ধরে। তাই মনে করলাম নিজের প্রয়োজনে হলেও যাই।
এমন সময় দেখা হলো পরিচিত কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে। সব কয়জনই পরিচিত। তবে কেন যেন এই দলটির সাথে কখনোই মানিয়ে নিতে পারিনি নিজেকে। তারাও কখনো আপন মনে করতে পারেনি আমাকে। তাই ভদ্রতার খাতিরে সালাম দিলাম। উত্তরে তাকিয়ে দক্ষিনের কয়েকজনের সাথে হ্যান্ডশেক করে পা বাড়ালাম বিজনেস সেন্টারের দিকে।
বিজনেস সেন্টারে ততক্ষনে প্রেস কনফারেন্স প্রায় শেষ। ইন্টেলের বাংলাদেশ অংশের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ইন... একজনকে দেখলাম সেখানে। আমার পুর্ব পরিচিত। একসময় কাজ করতো ই-বিজে।
অবাক হয়ে দেখলাম সে যেন আমাকে চিনেই না। ভাবখানা এমন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মে গিয়ে তার নতুন বাল গজিয়েছে এবং আমি বোধহয় সেটা দেখার জন্য ছুটে এসেছি। সে জানালো আপনি না অর্থকন্ঠে আছেন? হাসলাম, মনে মনে বলি ব্যাটা তুই আমাকে এখন চিনিস না। আমি যথাসম্ভব ভদ্রভাবে বললাম, আমি সাপ্তাহিক ২০০০ এ কাজ করি। তখন নতুন বাল গজানো সাহেব সহাস্যে বললেন, সাপ্তাহিক ২০০০ একমাত্র ম্যাগাজিন যেখানে আমরা নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেই। আবার হাসলাম মনে মনে, ব্যাটার ধারনা বিজ্ঞাপনের লোভে আমি ছুটে এসেছি। কিছুই বললাম না।
বদরাগী হিসেবে আমার যথেষ্ট দুর্নাম আছে। সেটা ঘোচানো দরকার। আর তাই সহাস্যে তাকে বললাম, আজকে এত গুরুত্বপুর্ন একটা প্রেস ব্রিফিং করলেন কিন্তু ডাকলেন না। বিষয়টিতে আমারও আগ্রহ ছিলো।
উত্তর দিলেন নতুন বাল গজানো ব্যক্তিটি, বস সাপ্তাহিক ২০০০ এ কার্ড পাঠালেতো কেউ আসে না। অমুক প্রোগ্রামে ডাকছিলাম তমুক প্রোগ্রামে ডাকছিলাম কেউ আসে না। ইত্যাদি কাসুন্দি ...।
আমি আরেকটু আগালাম, আজকে ডাকলেন না যে। জবাবে তিনি, আজকে সিলেক্টেড কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকেছিলাম। এইটা তেমন কিছু না। ইন্টেলের চেয়ারম্যান বাংলাদেশে আসছে একটি বড় বিনিয়োগ নিয়ে আর এই ব্যাটার কাছে সেটা কোনও ঘটনা নয়।
আমি সেখানে দেখা সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, ইন্টেলের চেয়ারম্যান বাংলাদেশে আসবে এবং সেটা যদি মিডিয়াকে ঠিকমতো জানানো হতো তাহলে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া'র অনেকেই থাকতো সেখানে। এই যদি হয় ইন... (ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের নাম) সিলেক্টেড মিডিয়া'র তালিকা তাহলে দুঃখের সাথে বলতে হয় তাদের সিলেকশন খুবই নাজুক। ওখানে যেই সাংবাদিকরা ছিলো তাদের ৯০% এর কোন সরকারী এক্রিডিটেশন কার্ড নেই এবং ইন্টেল চেয়ারম্যান দুরে থাক, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঢুকতেও তাদের গেটে গিয়ে পাসের জন্য বসে থাকতে হয়। আর এরা হচ্ছে ইন... সিলেক্টেড মিডিয়া !!!
আগামী মাসে ইন্টেলের প্রোগ্রামের পুরো দ্বায়িত্বে থাকবে এসএসএফ এবং আমি যতটুকু জানি, বিদেশী একজন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আসলে যে সিকিউরিটি প্রটোকল পায়, ইন্টেল চেয়ারম্যানও সেই প্রটোকলই পাবে। আর সেখানে এসব সাংবাদিকের অধিকাংশই ঢুকতে পারবে না সরকারী ক্লিয়ারেন্স এর অভাবে।
আমি সেখানে থাকা সাংবাদিকদের কোনভাবে ছোট করছি না। অবাক হচ্ছি প্রোগ্রামের ধরন অনুপাতে ইন... সিলেকশন দেখে।
যাইহোক, জিজ্ঞেস করলাম, কি বিষয়ে আলোচনা হলো? তার জবাব, ইন্টেলের চেয়ারম্যান আসবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে। ব্যস তার উত্তর শেষ।
বিদেশী এক সাংবাদিক বন্ধু আরো সপ্তাহ খানেক আগে আমাকে জানিয়েছে ইন্টেল চেয়ারম্যান বাংলাদেশে আসার কথা। কারন ইন্টেল চেয়ারম্যানের সাথে যে মিডিয়া টিম আসবে, সেও আছে সেই গ্রুপে। ফলে ইন্টেলের চেয়ারম্যানের এই টু্রের খুটিনাটি জানি আমি।
আমি জানতে চাইলাম, তিনি কেন আসবেন? এবার ইনপেস ম্যান একটু বিরক্ত। কি একটু শব্দ করলেন। বুঝলাম না। আমি তখন বললাম আগামী ... তারিখে ইন্টেল চেয়ারম্যান ... ঘন্টার জন্য বাংলাদেশে আসছে। এবং তিনি হোটেল ... এবং হোটেল .... প্রোগ্রাম করবেন। আপনি কোনটার ব্যাপারে আজকে জানিয়েছেন। এবার কিছুটা বদলেছে নতুন বাল গজানোর চেহারা। সে বিশ্ময় চেপে রেখে বললো, পরেরটার কথা। আমি বললাম পরেরটার জন্যতো মিডিয়া এক্রিডিটেশন লাগবে, এসবি পাস লাগবে। সেগুলোর অ্যারেঞ্জ করবে কে? ইন... কর্মকর্তা জানালো সেটা তারা করে দেবে।
আমি আর কথা বাড়ালাম না। তাদের সিলেক্টেড লিস্টে আমি নেই। সুতরাং এরপরও দাড়িয়ে থাকা বোকামি।
আজকে মনোযোগ দিয়ে কয়েকটি প্রথম শ্রেনীর পত্রিকা দেখলাম। ইন্টেল চেয়ারম্যান আসছে ... এরকম কোন নিউজ পড়লো না আমার পোড়া চোখে। কি জানি হয়তো ইন... সিলেক্টেড মিডিয়া পার্সনরা এখনো বিষয়টি নিয়ে লেখার প্রয়োজন মনে করেনি ...।
তবে আমি কিন্তু আমার পত্রিকার জন্য লিখবো। সেজন্য আমার ইন... আশীর্বাদপুষ্ট সাংবাদিকদের তালিকায় থাকতে হবে না। কারন আমি জানি কোন নিউজের নিউজ ভেলু্ কি এবং কোথায় কার কাছে সেই বিষয়ে তথ্য আছে আর কিভাবে সেগুলো বের করতে হয় ... ।
সুতরাং ইনশাল্লাহ কোন সমস্যা হবে না।

রেটিং:১.৯/৯
রেটিং দিতে লগ ইন করুন

* Send to your friend
* মন্তব্য লিখুন
* ৩৩টি মন্তব্য
* ১৮৮বার পঠিত



comment by: ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৪৪:২২


comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৪৪:৪২

ভাই আপনে শেরাটনে আড্ডা মারেন?

ইস...আমরা যদি পারতাম...
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৪৫:০৩

ঈর্ষান্বিত হইয়া ১ দিসি।
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৪৮:৪৪

থ্যাংকু! আপনাদের কাছ থেকে এক পাইয়্যা নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৪৯:৩২

তো আড্ডা মারতে মারতে কি কি খাইলেন শেরাটনে ?
comment by: ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৫০:০৩

শেরাটনে কি?
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৫০:৩৯

হট্টগোল @ পপকর্ন আর কয়েক প্যাগ রেড ওয়াইন, সাথে সিগারেটও আছিলো।
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৫৩:১৫

কি ব্রান্ডের সিগারেট? কয় প‌্যাকেট পপকর্ন আর ওয়াইন কি পেগ হিসেব অর্ডার দিচিলেন না পুরা বোতল লইছিলেন ?
comment by: ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৫৪:২৮

হেবো, প্যাগ জিনিষটা কি?
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০০:৫৮:০০

সিগারেটের ব্রান্ড হচ্ছে ব্যানসন। ফ্লেভার হচ্ছে ম্যানথল। ওইখানে প্যাকেট হিসেবে পপকর্ন ব্যাচে না। ওয়াইনের সাথে প্রিচে দেয়। আর ওয়াইন নিয়া হইছিলো প্যাগ হিসেবে, পুরো বোতল না।
comment by: হাসিব বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০১:১৩

হেবোরে খেলায় না নেয়ার জন্য ইন্টেলরে ১ । হেবো আপনে ইন্টেলের সাথে আপনারে খেলায় না নেওয়ার ব্যাপারে কবে বসতেছেন ? গ্রামীনের সাথে বসার আগে নাকি পরে ?
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০২:১৬

তো যে সার্ভ করচিল হেয় কি পোলা না মাইয়া আচিল?
comment by: হাসিব বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০২:১৭

ভালো কথা, প্যাগ, প্রীচ এগুলা কি ? খাবারের নাম ?
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০৩:২৭

হা হা হা। প‌্যাগ, প্রীচ। বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ যোগ হইতাচে।

আইচ্চা বিল দিচিল কেডা ?
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০৬:৪২

হট্টগোল @ বিল না তুমি দিছিলা। এত হক্কালে ভুইল্যা গেলা?
হাসিব @ তুমি যেইখানে আছো আমিও সেইখানে আইতাছি। সামনা সামনি কমুনে এইগুলা কি জিনিস।
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০৮:২৮

এই যে ভাই মজা লইতাচ। আমি সিরিয়াসলি জিগাইতাচি। তুমি না কইলে আর কি ...
comment by: ডাক্তার আইজউদ্দিন বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:০৯:১৫

আচ্ছা ব্যবসায়ির লগে প্যাগ খাওন কি উচিত
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:১০:০২

হট্টগোল @ ব্যাপার না। এতকিছু ঝিগানো ভালো না। তো তুমি কেমন আছো?
comment by: হট্টগোল বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:১২:১২

আচি ভালোই। আইচ্চা কম্পুস্ক্রিণে ওইডা কার ফটুক ?
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:১৫:৫২

আমার ফটো। আইটিইউ টেলিকম ফেয়ারে আমি একটা ভিডিও ক্যামেরার ছবি নিতেছিলাম। পরে দেহি আমার ছবিও নিতেছে ক্যামেরাটা। অটোমেটিক সেন্সর লাগানো ছিল। সামনে যাইতেই ছবি ওঠা শুরু হইলো ...
comment by: তোমাদের-ই-লোক বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:১৭:১০

আপনার ইমপ্রেশন ভালো লাগেনি। বিরক্তি উপস্থাপনেরও মার্জিত ভঙ্গি আছে। একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে সেটাই কাম্য।
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:২০:৩১

তোমাদের-ই-লোক @ আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত। বিরক্তি উপস্থাপনের অবশ্যই মার্জিত ভঙ্গি আছে এবং উপযুক্ত জায়গায় আমিও সেটা রক্ষা করে চলি। আচ্ছা আপনি কি কালকে ছিলেন নাকি ওখানে?
comment by: হাসিব বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:২১:২৮

জার্মানি আইতেছেন ঘটুনা কি । আঙ্গেলা মারকেল চাচীর লগে বইবেন ?
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:২৫:০৭

হাসিব @ হেই জায়গাতো তুমি আগেই খাইয়া রাখছো, নতুন কোন জায়গা থাকলে কও ...
comment by: জায়দান বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:২৬:৩১

১ দাগানো হইল।
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:২৭:৫৭

থ্যাংকু জায়দান। তোমার এই দাগ আমি কখনোই মুছবো না।
comment by: জায়দান বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:২৮:৪৮

হেবো মুইছো না।
comment by: অমিত বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:৪৯:৩৪

ইসস। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ফার্ম যদি জানত যে ইন্টেলের চেয়ারম্যান ঢাকায় আসার আগে টুরের যাবতীয় খুটিনাটি হেবোকে মেইল করে দিসে আর হেবো সেটার জন্য ১ মাস আগে থেকে হোটেলে বইসা মুফতে প্যাগ হিসাবে ওয়াইন আর প্রিচে করে পপকর্ন খায়, তাইলে কি অরা আর এই ভুল করে !! যাই হোক, হেবো ভাই। মনে দুঃখ নিয়েন না। গুণির মান আর কেউ না রাখুক, উপরে আল্লাহ আর নিচে এ-টিম রাখে।
এরপর কিন্তু ওয়াইন এর লগে আর পপকর্ণ খাইয়েন না। দুটা মিলমিশ খায় না। চিজ্‌ খাইতে পারেন।
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:৫১:০৩

আইজউদ্দিন @ তোমারে আমার রুম থেকে বের করার কোন ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু তুমি ভদ্রতার লিমিট ক্রস করছো। সুতরাং গেট লস্ট ...
comment by: মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:৫৪:৪৭

অমিত @ পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আমি এটাতেই কম্ফোর্ট ফিল করি। আরেকটি কথা অমিত, আমি হেবো না। তুমি ভদ্র মানুষ হয়ে থাকলে আশা করি আমার নামটাই ব্যবহার করবা।
comment by: পোলাপান বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০১:৫৯:৫৯

ওয়াইন এর সাথে পপকর্ণ!!!!!ভালো।
comment by: অমিত বলেছেন :
২০০৭-০৮-১৪ ০২:০৩:৩০

আইচ্ছা যাও, তোমারে হেবো ডাকবো না। তাইলে তোমারে একটা অ্যাসাইনমেন্ট দেই। ঢাকাতে তো আইটি জার্নালিস্টদের সংখ্যা তেমন একটা না।তাইলে একটু বাইর করো তো, আসলে হেবোটা কে ? পাবলিকের মুখ বন্ধ রাখতে এইটুকুতো করতে পারো , নাকি !!



(চলবে?)

কবি মারহাবা মশহুদের কয়টা খারাপ দিন

কবি মারহাবা মশহুদ একটা চেইন ইস্টোরে অধ্যাপনা করেন। পন্ডিত মানুছ, বহুত বইয়ের নাম, সিনামার নাম মুকস্ত করছে একসময়। পেরায়ই উনারে বই হাতে ঘুরতে দেকা যায়। তবে বই পড়তে দেকছে এমন কতা কুনো বাপের পোলায় কয় না। বই হাতে রাইকা ঘুরলেও নাকি অনেক কিছু শিকা যায়, মারহাবা মশহুদ কহেন।

মারহাবা মশহুদ কিন্তু কবিতা লেইকা কবি হন নাই। উনি বড় বড় কবিদের নিতম্বে তৈল ডলতেন লেগুরার। বড় কবিরা ভরমণ বা আড্ডায় তাই উনারে বগলে রাকেন। মারহাবা মশহুদ স্মিতমুকে ঘুরাফিরা করেন, আর সময়মত জায়গামত তৈল ডলা দেন। তৈল ডলার ব্যাপারে উনার এই স্তান আর কাল বোদ উনারে অনেক সুবিদা দিছে। বড় বড় কবিরা অন্য বড় বড় কবিদের লগে আলাপ করাইয়া দ্যান, এই হইতেছে মারহাবা মশহুদ, ছোট কবি, তবে হাত ভালো। শুইনা বড় বড় অপর কবিরা মুচকি মুচকি হাসেন, বলেন, আইসো বাসায় কবিতা লইয়া। মারহাবা মশহুদ চুয়াডাঙ্গা থিকা আমদানি করা সরিষার তৈল লইয়া উনাদের বাসায় যান। কবিদের নিতম্বও কবিতা লিকার জন্য খারাপ না, যদি লগে তৈল আর তৈল ডলার হাত থাকে।

তো একদা মারহাবা মশহুদ নানা জনের নানা স্থানে তৈল ডলিয়া এক শ্যাতাঙ্গু ব্যবসায়ীর মনুরঞ্জন কইরা ফালাইল। শ্যাতাঙ্গু কহিলেন, মারহাবা মারহাবা! মশহুড, ইয়ু হ্যাভ গট গুড হ্যান্ডস। ইউ ম্যানেজড মা আস ভেরি ওয়েল। কুড ইয়ু মানেঝ আ ফিউ মোর আসেস?

মশহুদ নিজের তৈলসিক্ত হাতে চুম্মা দিয়া কন, ইয়েস। নো। ভেরিগুড।

তারপর তিনি চেইন ইস্টোরের অধ্যাপক বনিয়া গেলেন। আড়ালে আবডালে থাকেন, হালকা মডারেছন করেন নানা জিনিছ, আর ভাব লন। মাঝে মাঝে বই আর সিনামার মুকস্ত করা নাম আওড়ান।

একদিন বড় ভাই ভ্যাজাল মাশকুর আইসা ডাকিলেন, মশহুদ, আহিছ আমাগ দুকানে।

মশহুদ হাসলেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি অতীতের বড় ভাইদের নিতম্বে তৈল ডলা কি সাজে? ঐ কর্ম কইরা কি ভবিষ্যতে ফায়দা লুটা যাইবেক?

সাত পাছ ভাবিয়া তিনি রাজি হইলেন, বললেন, যামু।

গিয়া দেখিলেন দুকানের দুয়ার বন্ধ। দুয়েকবার কড়া নাইড়া দেখে ভিতরে লুকের কতাবার্তা চলে বৈটকখানায়, মাগার দরজা খুলে না কেউ।

মশহুদ এন্তেজার করলেন কিছুক্ষণ, তারপর একটা বাতকর্ম ছাড়লেন। তার দুর্গন্ধে সবাই কাহিল। কিছু লোক অবশ্য দন্য দন্য করলো। মশহুদ বললেন, এইখানে সবাই ভার্চুয়াল লাইঠাল।

তা-ও কেউ দরজা খুলে না। মশহুদ তা-ও খাড়াইয়া থাকে।

শেষে কে জানি খত পাঠাইলো। মশহুদ খত খুলিয়া দেখেন, দুকানে উনার মত অদ্যাপকের দরকার নাই। এই দুকানের লুকজন সবাই মুরুক্ষু, ছিক্ষিত হইতে চায় না। তৈল ডলাডলির ইস্কুপও কম।

মশহুদ কান্দিয়া দিলেন। কইলেন, খেলুম না। এইটা কুন দুগানই না। এইটা পানের ছাপ্রা। চেইন ইস্টোর না। আমি চেইন ইস্টোরের অদ্যাপক। মায়না পাই মডারেছন টুদাই। পানের ছাপ্রায় আমারে যখন লইল না, আমি তখন যামু না।

মশহুদ অবশ্য ক্যান পানের ছাপ্রায় ঢুকতে চাইছিলেন, সেইটা চাইপা গেলেন। আর উনারে ঢুকাইলেই কি পানের ছাপ্রা রাতারাতি চেইন ইস্টোর হইয়া যাইত কি না, তা-ও কহিলেন না।

কি আর করা, মারহাবা মশহুদ চেইন ইস্টোরের অদ্যাপনায় ফিরিয়া গেলেন। ভাব লওয়া, মুকস্ত কতাবার্তা বলা, আর বড় বড় ওস্তাগরদের নিতম্বে তৈল রগড়ানি। নাইলে কবি নামটা ঘুইচা যাইব। কবিতা লিখা কবি হইতে গেলে ত মুছকিল।