Thursday, August 9, 2007

মহাস্মার্ট লোকের কৌতুক --- পুনশ্ছাগভব

১.

এক মুনির আশ্রমে ছিলো তাহার এক পালিত ইদুঁর। মুনিকে তাহাকে বিশেষ স্নেহ করিতেন। একদিন সেই ইঁদুর কাঁদিতে কাঁদিতে মুনিকে বলিলেন, আপনার আশ্রমের বিড়াল আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে। আমি জীবন সংকটে আছি, আপনি আমাকে বিড়াল করিয়া দিন। মুনি সদয় হইয়া মুশিককে বিড়ালে পরিণত করিয়া দিলেন। কিছুদিন অতিবাহিত হইলে, সেই বিড়াল আসিয়া আবার কাঁদিতে লাগিল। মুনি কারণ জিজ্ঞাসা করিলে কহিল, আশ্রমের বাইরে গেলেই রাস্তার মোড়ের কুকুর তাড়া করে, আমি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করিতে পারি না। আপনি আমাকে কুকুর করিয়া দিন। মুনি তাহাকে তখনি কুকুরে পরিণত করিয়া দিলেন। কিছুদিন অতিবাহিত হলে আবার কুকুর আসিয়া মুনির পদযুগল ধরিয়া কাঁদিতে লাগিল। মুনি কিছুটা বিরক্ত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আবার কি হইয়াছে? কুকুর কহিল, আমি জঙ্গলের ভিতর ঢুকিলে আমাকে ব্যাঘ্র তাড়া করে। আপনি আমাকে ব্যাঘ্র বানাইয়া দেন। অতপর, মুনি তাহাকে ব্যাঘ্র বানাইয়া দিলেন।

ব্যাঘ্র হইয়া সে আশ্রমের চারপাশে ঘোরাঘুরি করিতে লাগিলো। এভাবে দিন চলিয়া যেতে লাগিল। একদিন তাহার প্রচন্ড ক্ষুধা পাইল। চারপাশে সন্ধান করিয়া কিছু পাইল না। আশ্রমে হাতের নাগালে একমাত্র রহিয়াছে মুনি। সে মুনিকে খাইবার জন্য উপস্থিত হইলো। মুনি তাহার মনোবাসনা বুঝিতে পারিলেন। হুংকার ছাড়িয়া কহিলেন, তবে রে পামর, এইজন্য তোকে ব্যাঘ্র করিয়াছি। যা, আবার তোকে আগের জীবন ফিরিয়া দিতাছি। পুন: মুশিক ভব। পুনরায় মুশিক হ।

সাথে সাথে ব্যাঘ্র আবার ইঁদুরে পরিণত হয়ে গেলো।


২.

আমাদের সুপরিচিত ছাগুরাম সামহয়্যারের এ টিম কর্তৃক চরম অপমানিত হইয়া ইশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিল অন্তত তাহাকে যেন ছাগু বানাইয়া হলেও ইশ্বরের নিকট রাখেন। এহেন নিয়ত হরিদাস হইয়া থাকিতে থাকিতে সে বড় বিমর্ষ। ইশ্বর তাহার মনোবাঞ্ছা পূরণ করিলেন। বেহেস্তী হুর লইয়া ছাগুরাম কয়েকদিন ভালোই কাটাইল। হঠাত একদিন সে ইশ্বরের নিকট আসিয়া কাঁদিতে লাগিলো। ইশ্বর জিজ্ঞাসা করিলেন, কি হইলো ছাগু? কান্দো ক্যান? ছাগু কহে, উটুরামের এছলামি জ্ঞানে হুররা মুগ্ধ। সবাই উটুরামের ওয়াজ শুনিয়া দিনরাত তাহার সাথে রমণক্রিয়াতে রত। আমি একা একা বৃক্ষ ছিদ্রে আর কতো বীর্যপাত করিব? আপনি আমাকে উটুরামে পরিণত করে দিন। ইশ্বর তাই করিলেন। উটু হইয়া কিছুদিন ভালোই ছিলো। কিন্তু হঠাত সেখানে আশুরাম আসিয়া সব ভন্ডুল করিয়া দিলো। উটু আবার ইশ্বরের সমুখে অশ্রুপাত করিতে লাগিলো। হে মাবুদ-ই-ইলাহি। আমি তো আশুরামের জন্য কিছুই করিতে পারিতেছি না। যেখানে যাই সেখানে আংকেল শুনিতে পাই। আমি ডাবল ডোজ নিয়াও তাহার রমণ ক্ষমতার ধারেকাছে পৌঁছিতে পারিনা। রমণই যদি করিতে না পারি তবে এই বেহেস্তে থাকিয়া লাভ কি। আপনি আমাকে আশুতে পরিণত করে দিন। ইশ্বর তাহাকে আশুতে পরিণত করিয়া দিলেন। এখন ছাগু আশু হইয়া ডাবল জোশে রমণ করিতে লাগিলো। এভাবে বেশ কিছুদিন কাটাইবার পর, সে আবিষ্কার করিলো, কিছু হুরমতী বাণু আছে যাহার কেবলমাত্র সুফীর দ্বারা রমনিত হইয়া থাকে। তাহাদের জন্য সে বড়ই আকুলিত হইলো। একই জিনিস তাহার প্রতিদিন ভালো লাগে না। তাই সে আবার ইশ্বরের কাছে ফরিয়াদ জানাইলো, আপনি আমাকে সুফী করিয়া দেন। ইশ্বর তাহাকে সুফী করিয়া দিলো। সুফী হইয়া সে যেমন খুশি তেমন করিতে লাগিলো। কিন্তু কপালের লিখন না যায় খন্ডন। একদিন সুফী ইশ্বরকে দেখিলেন এক দাসীর সহিত রমণ করিতে। তাও আবার পশ্চাতদেশ দিয়া। সুফী সাথে সাথে ইশ্বরকে আক্রমণ করিয়া বসিলো। হে মাবুদ-ই-ইলাহি। আপনি দাসীর সহিত রমণ করিতেছেন তাও আবার পশ্চাতদেশে। ইহা তো সর্ম্পূর্ণ গর্হিত। আপনার এহেন কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে হইবে। রমণকার্যের সময় বাধাগ্রস্ত হইয়া ইশ্বর বড়ই কুপিত হইলেন। তিনি বললেন, হে ছাগু, ওই গ্রন্থ আমি তোমাদিগের জন্য রচিয়াছি, আমার জন্য নয়। তোমার ওই মস্তিষ্ক লইয়া সুফী হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই। তোমার এহেন ধৃষ্টতার জন্য তোমাকে আমি পুনরায় ছাগুতে রূপান্তরিত করিয়া পাঠাইয়া দিতাছি। তুমি বেহেস্তের উপযুক্ত নও। পুন: ছাগ ভব। পুনরায় ছাগুতে পরিণত হও।

ছাগুরাম পুনরায় সামহয়্যারে আসিয়া ভ্যা ভ্যা করিতে লাগিলো।





সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কাহারো সাথে মিলিয়া গেলে নিতান্ত কাকতাল।



তোমাদের-ই-লোক কর্তৃক লিখিত।

শেষ বিচারের দিনে এ-টিম আর তৃনভোজ যেদিন মুখোমুখি

ঈশ্বর খাতা উল্টাইয়া কইলেন ,আসামি তো অনেকগুলা।একটা কম দেখি কেন?

তাকাইয়া দেখি নূরা পাগলা নাই।সে গেছে এই গোলমালে সুমন চৌধুরীরে বিচরাইতে।তার মামলা অনেকগুলা,গুরুতর মামলা হইলো সে সুমন চৌধুরীর পরিচয় নকল করছে।অভিযোগ দাতা এক সূফী সাহেব,এক্ষন সুমন চৌধুরীরে খুইজা না পাইলে প্রমান করা যাইব না যে নূরা পাগলা আর সুমন চৌধুরী দুই জন আলাদা আলাদা,কেইস যাইব নূরার বিরুদ্ধে।জান বাচাইতে সে এই হট্টগুলের মইধ্যে সুমন চৌধুরীরে খুইজা বেড়ায়।সুমন চৌধুরী তার জার্মান রুমমেটগো লগে কই বইসা গাঞ্জা খায় কে জানে।ব্ল্যাকে শরাবন তহুরা বিক্রী হইতাসে,সেইডা দুই এক ঢুক গিইলা ফালাইলে সুমন চৌধুরীরে আর খুইজা পাওন মুশকিল।

শমশের সানগ্লাসের আড়ালে অনেকগুলা মাইয়ার দিকে তাকায়া আচে।কোর্টের দিকে মনোযোগ নাই।বেহায়ার বেহায়া।

হোসেইন ঝিম মাইরা আছে।কেস আরেকটা আচে।সেইডা দিচে রুবেল হালায়।মানসিক রুগিরে লইয়া ফাইজলামির কেইস।পশু ক্লেশ নিবারনীর ধারা লাগাইছে,বাচন সহজ হইব না।

যে গুলান কেইস দিসে তাগো উকিল হইল আকন্দা চাচু,এই গরমে সুট পইরা,মোচে চিরুনি দিয়া বইয়া আছে।শুধ তুলব আইজকা।এ-টিমের উকিল নাই,বিপদের কতা।

একমাত্র হারাধন আর তার গাধা আচে নিশ্চিন্ত।হারাধনের মামলা আর বাকি নাই।৪/৫টা ছিল,বেকসুর খালাস পাইছে।যেইটাই কয়,সে কয় আসামি আমি না।কুনুটাতে আসামির নাম হারাধন,কুনুটাতে হুনমানজি,কুনুটাতে আশরাফ আশরাফ,আবার কুনুটাতে আঈজুদ্দিন..কেইস পরমান করা যায় না।আকন্দা মুখ কালা কইরা বইয়া পড়ে,আসামী বেকসুর খালাস।

এই মামলা শেষ হইলে ডা.আঈজুদ্দিন স্বর্গে গিয়া লীলাখেলা শুরু করব,২ ক্রোশ হাইটা হাইটা স্তন মর্দন করব,বাকিগো টাইম কখন আইব বুঝা যায় না।

কেস শুরু হইল।
ঈশ্বর এমনইতেই টায়ার্ড।
নিজেই অভিযোগ নামা পড়লেন।

"তুমরা,এ-টিমের লুকজন বড়োই খারাপ।তুমরা দিনের পর দিন তৃনভোজরে ছাগল ডাকছ।বেচারার বেজায় অপমান হইসে।এ বিষয়ে তুমরা কিছু কইবা না দুষ স্বীকার করবা?"

হোসেইন আর কি কইব।কথা সত্য,অস্বীকার করনের উপায় নাই।শমশের মাথা চুলকায়।
আঈজুদ্দিন ভাই কইল,"হুজুরে আলা,একখান কতা আচে।তৃনভোজের তো মগজ নাই,আপনে দিতে ভুইলা গেচেন।এখন সে দুনিয়ায় গিয়া উল্টাপাল্টা কাইজ কাম করছে,তারে ডাকছি ছাগল।আপনেই বিচার করেন,তার কি মান অপমান তাকনের কতা?সে বিচার দেয় কুন মুখে?"


ঈশ্বরের চউখ মুখ লাল হয়া গেল গোস্বায়।
রাগে গজরাইতে থাকলেন।তার মুখ দিয়া থুথু বাইরাইতে লাগল।
হুন্কার দিয়া কইলেন,'চুপ থাক বেয়াদব।না বুইঝা কতা কস কেন?আমি কি তৃণভোজের কতা কইতাচি?আমি কইতাচি তুমরা দিনের পর দিন তৃনভুজরে ছাগল ডাইকা,অবলা ছাগলের অপমান করসস কেন?'

ছাগুর নতুন প্রেমিক

ছাগুর নতুন এক প্রেমিকের আমদানী হইছে। ছাগুর জ্বরে তার নাকি পুটকি জ্বলে। তাই সারা রাইত কাইন্দা এই বিশ্বসেরা কবিতা লেদেছে।
এইখানে


কবিতা : সে তখন কি করে

যখন সকাল হয় আমি পেস্ট দিয়ে দাত মাজি
সে তখন কি করে?
সে কি কোলবালিশ বুকে জড়িয়ে ঘুমায়
নাকি শুয় তার কম্পিউটারের উপরে
সারারাত ওয়েবসাইট নিয়ে কত না খেটেছে
জনগনের জন্য নিবেদিত প্রাণ এক মহান সৈনিক
অথচ তাকে কিনা শুনতে হয় গালি
আমি যখন খেতে বসি, মুরগির ঝোল দিয়ে ভাত মাখি
আমার গলা দিয়ে খাদ্য নামে না
সে তখন কি করে?
সে কি খেয়েছে, নাকি খিদে পেট নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে
এই বৃষ্টিতে সে কি ছাতা কিনেছে? নাকি আগের মোত ভিজে
অথচ তাকে গালি দেয় পাগলের দল
সে তো মানুষের ভালো চায়, ভালোর দিকে ডাকে
বিকালে যখন সুর্য্য অস্ত যায় আমি তার কথা ভাবি
সে তখন কি করে?
সে কি ঘরে ফিরে, নাকি কারো সমসস্যা সমাধান নিয়ে ব্যস্ত
কত বোঝা তার এই ছোট ঘাড়ে, বুদ্ধি দিয়ে করে সব সমাধান
সে মহান, অথচ অমানুষের দল তাকেই ভুল বুঝে