Sunday, July 29, 2007

ছাগুরামের তালিকা বড় হচ্ছে

অদ্য ব্লগ খুলিয়াই দেখি তেলেসমাতি। গতকালকের পোস্ট গায়েব। গুগল হইতে উদ্ধার করিয়া দিলাম। আবার ডিলিট। এইবার একেবারে প্রথম পাতা থিকা ব্যান। অণৃন্য দিলো। সেও ব্যান। তীতুমীর দিলো সেও ব্যান। তারপর শুরু হইলো মন্তব্যে কপিপেস্ট। এইটাও যাইবোগা মনে হয় একটু পরে।

ঘটনা হইলো এগুলা কার কাম? মডুরাম এখন ক্যাঠা? আরিল নিজে এগুলা করবো কি? কিংবা দেবরা? মনে হয় না। করার সম্ভাবনা সব মিলাইয়া দুইজনের। ছাগুরাম আর সুফীরাম। কালকে কলু মোর্শেদের লেখা দেইখা মনে হইলো সেও কোন কেউকেটা হইতারে।

তারমানে ঐখানে লগইন করাই এখন অসম্ভব হইয়া যাইবো। কিন্তু তাতে তো যেই কথা আমি আমার ডিলিট খাওয়া পোস্টে কইছি তাই সত্য প্রমাণ হয়। এইভাবে মাঠ ছাড়া তো বিপজ্জনকই। মাঠে সোজাসুজি থাকতে দিতাছে না যখন তখন ছাগুপোন্দানীর নতুন নতুন কায়দা বাইর করা ছাড়া আর উপায় কি?

আরবের ঘোড়ায় রিয়ার ভিউ মিরর এবং একজন মুসলিম বিজ্ঞানী By Russel........

২০০৬-০৪-১৪ ০৫:৫৬:২৩
সম্মানিত ব্লগার ত্রিপদ যার উপরে চতুর্ভূজা, উর্ফে বীনাপাণি, উর্ফে বিদ্যাদেবী উর্ফে স্বরস্বতীর কৃপা বর্ষিত হয় নি, যার বিবর্তনের মধ্যযুগ চলছে তাকে জগতের সকল অন্ধকতৃক দর্শিত হস্তিকূলের শুভেচ্ছা নববর্ষে। কেনো মানুষ ত্রিপদ? ত্রিপদের সলুক সন্ধানে নামতে হলো এই নতুন বছরের শুভলগ্নে। হুমম তিনপেয়ে কৌতুকে পৃথিবী ভর্তি, যাদের তিনটা পা' সদা উন্নত তাদের কামুক বলে চিহি্নত করা হয়েছে সব সভ্যতায়, কিন্তু এই বিংশ শতাব্দির শেষার্ধে যারা মূলত তৃতীয় পায়ের ব্যাবহার ভুলতে বসেছে তাদের জন্য এলো ভায়াগ্রা। এই ভায়াগ্রা খেয়ে মূলত দ্্বিপদ আমাদের ত্রিপদ ভায়া চোখে নীল আলো দেখছেন, তিনি ইসলামের স্বর্নযুগের বিজ্ঞানীদের কথাপ্রসঙ্গে বলেছেন তারাই মহান আবিস্কারক, আমরা জোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের কথা খতিয়ে দেখবো আজকের আলোচনায়। কি অবদান তাদের জোতির্বিজ্ঞানে? যতটুকু পড়া হলো এ পর্যন্ত তাতে এটুকু মালুম হলো তারা একেবারে বেঈমান মুসলিম ছিলেন, কোরান পড়েন নি একফোটাও। তারা গ্র ীক সভ্যতা থেকে প্রাপ্ত অনুলিপি নিয়ে প্রথমে অনুবাদ কর্মে মননিবেশ করেন, এর পর সেই অনুবাদের তালিকায় যোগ হয় সংস্কৃত থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন পুঁথিগত জ্ঞান। এসব অনুবাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পঠিত হলো টলেমির তারাপঞ্জি, যেখানে টলেমি অন্তত 1000 তারার অবস্থান নির্দিষ্ট করেছিলেন, কোরানে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, এমনটা দাবি করেছেন মিলেনিয়াম মজিদ এবং তার অনুসারিরা, কিন্তু কেনো যেনো সেই ইসলামের মহান জোতির্বিজ্ঞানীরা স্থির পৃথিবীর সত্যতা সন্ধান করেছেন, টলেমি পৃথিবীকেন্দ্রিক যে মহাবিশ্বের মডেল প্রদান করেছিলেন যার চারপাশেই স্বর্গ সেই মডেলে নতুন নতুন তারকা যোগ করেছেন, জোতিষ শাস্ত্রে ব্যাবহৃত 12 রাশির বিভিন্ন তারার সুন্নতে খাৎনা দিয়েছেন তারা। যাই হোক কিন্তু পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে এই কথা তারা বলেন নি কখনই, কখনই বলেন নি পৃথিবী আবর্তিত হয় বরং সূর্যের আবর্তনে দিনরাত্রি হয় এই অন্ধবিশ্বাস ধারন করেছেন। যেই একজন মাত্র বিজ্ঞানী এই ধারার বাইরে কিছু বলেছেন সেই বেচারা ধর্মত্যাগী হয়েছিলেন ইতিহাস এমনটাই বলে।তা তারা বিভিন্ন জায়গায় জোতইষ্কপর্যবেক্ষন ঘর তৈরি করেছিলেন, সেখানে যারা যারা কাজ করেছেন তারা আরও ভালো তারার গতিবিধি নিরূপন করেছেন, এসব বিষয়ে দ্্বিমত নেই কিন্তু তারা নতুন কোনো বিপ্লবী তথ্য দিয়ে বিজ্ঞানকে বদলে দিয়েছেন এমন নজির নেই।ওমর খৈয়াম, মহান সূফি, গণিতজ্ঞ, কবি, তিনিও একজন জোতির্বিজ্ঞানী, যখন খ্রিস্টানরা স্পেনের জোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষন ঘর দখল করলো তখন তারা সেটাকে পানশালা ভেবে ভুল করেছিলো তার কারন ওমরখৈয়ামের অবদান, যাই হোক মুসলিমদের অন্যতম অবদান প্রতিফলনের ক্ষেত্রে, তারা বিভিন্ন গোলকিয় আয়নায় প্রতিবিম্ব বিশ্লেষন করেছিলেন, অতীব চমকপ্রদ সব কাজ, কিন্তু আরবের লোকজন উত্তল-অবতল আয়নার কি ব্যাবহার করতো? এই বিষয়ে জানতে হলে জানতে হবে মরুভূমির জাহাজের উঁচুগ্র ীবার কথা, জানতে হবে আরবীয় অশ্বকথা, আরবের অশ্ব এখনও বিভিন্ন জুয়ারিদের প্রিয় , বিভিন্ন রেসকোর্সে আরবি অশ্ব জিতছে বাজি, জিতছে বাজিকর, এবং আরবের অশ্ব বিশ্বজয় করেছে, বেশ কদিন আগে একটা প্রতিবেদন পড়েছিলাম কোথাও সেখানে বলা হয়েছে বর্তমানে বিশ্বে যতগুলো রেস জয়ী অশ্ব রয়েছে তাদের পূর্বপুরুষ একটাই। রেস হর্সের বাবা আদম এসেছেন আরব থেকে, এই অশ্ব চেপে যাযাবর আরবেরা দিগবিজয়ে যেতো, তখন মুলসিম সৈনিকদের ভেতরে এত জেহাদী জোশ ছিলো মাঝে মাঝে প্রতিরক্ষা বুহ্য ভেদ করে অন্য দেশের সৈনিকদের ভিতরে চলে যেতো। মুসলিম সৈনিকেরা বলশালী হলেও অন্য যেকোনো সামরিক লোকদের মতোই নির্বোধ ছিলো তাই তাদের অশ্বের সামনে 2টা রিয়ার ভিউ মিরর লাগানো থাকতো, সেখানে তারা দেখতো তাদের পিছনে মুসলিম সৈন্য রয়েছে না কি অমুসলিম সৈন্য, এমন কি তাদের অশ্বের পিছনে লাল বাতি লাগানোর ব্যাবস্থাও ছিলো, যখন অশ্বের গতিরোধ করা হতো তখন সেই লাল বাতি জ্বলে উঠতো এবং পিছনে অশ্বও সেই অনুপাতে গতিহরাস করতো।আর আরবের উটের কদর বিশ্বব্যাপী। ওটায় উঠলে নীচের অনেক কিছুই দেখা যায় না, এই অসুবিধা নিরসনে এবং উটের ধাবন্ত ক্ষুরে যেই ধুলির আঁধার তৈরী হয় সেই আঁধারে কাফেলার পিছনের অংশ দেখার জন্য এমন কি সেই সব শিশু যারা ভবিষ্যতে উটের জকি হিসেবে ব্যাবহৃত হবে তারা যেনো উটপিষ্ট হয়ে শাহাদাত বরন না করে এজন্য উটের সমনে তিনটা আয়না লাগানো থাকতো,2টা রিয়ার ভিউ মিরর এবং একটা হেলানো আয়না যেখানে শুধু নীচের অংশের প্রতিবিম্ব ফুটে উঠে, এমন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের নিশান রেখেছেন মুসলিম বিজ্ঞানীরা তবুও তাদের অবদান কেউ স্ব ীকার করে না। যাই হোক গত লেখায় 20 প্রশ্নে বিবর্তনবাদ কাইত শীর্ষক লেখায় যেই লেখা ব্যাবহার করেছিলাম ওরা পশু পাখির মাইগ্রেশন নিয়ে লেখা, 20 প্রশ্নে বিবর্তনবাদ কাইত শীর্ষক লেখাটা ঠিক মতো পড়া হয় নি, তবে যতটুকু পড়লাম তাতে মজার একটা তথ্য পেলাম, হাইয়া হাইয়া সাহেব পৃথিবীতে জীবের জন্মের সময়সূচি নির্ধারন করেছেন এবং বলেছেন সেই একটা সময়েই মানুষ সহ সব জীব তৈরি করা হয়েছে এবং এর সপক্ষে অনেক প্রমান উপস্থিত করেছেন, কিন্তু এর আগেও যেসব সরল জীবগুলো আছে ওদের ব্যাপারে কিছু বলেন নি, তবে এইযে বিবর্ত ন তত্ত্ব ওটা যে বস্তুবাদীদর্শনের গর্ভস্রাব এই দাবিতে উচ্চকণ্ঠ হাইয়া হাইয়া সাহেব। এমন কি এত সব প্রত্নতাত্তি্বক খননে প্রস্তর যুগের বিভিন্ন নিদর্শন পাওয়া গেছে এবং আমরা যে বিভিন্ন সভ্যতার পর্যায় খুঁজে পেয়েছি এটাকেও ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভদ্্রলোক, তার ভাষ্য মতে এক ধাপেই 5 মিলিয়ন বছরের মধ্যে সকল প্রানী সৃষ্টি করা হয়েছে, এবং এর পর বিবর্তন হয় নাই কোনো, সব প্রানীই তাদের আকার অক্ষুন্ন রেখে এখনও পৃথিবীতে পদচারনা করছে। অকাট্য যুক্তি, তার ক্ষুরে ক্ষুরে নমস্কার। কিন্তু আমরা সংক্ষিপ্ত পর্যায়ে যে সব বিবর্তন দেখছি বর্তমানে , সেসব বিবর্তনের হেতু কি এটা বলেন নি হাইয়া হাইয়া সাহেব।