Thursday, August 2, 2007

কিছুই না

এক চতুষ্পদ ঘোড়া নাকি শিক্ষিত ছিলো,সে সরল অংক, সাধারন যোগ বিয়োগ করতে পারতো, প্রানী জগতে বুদ্ধি বিবেচনার অস্তিত্ব নেই এই বিষয়টাকে ভ্রান্ত প্রমানের জন্য সার্কাসের বুদ্ধিমান অংককষা ঘোড়াকে নিয়ে গবেষনা হয়েছে, সেই ঘোড়া খুর ঠুকে অংকের সমাধান দিতো।যদি তাকে কেউ প্রশ্ন করতো 2 এবং 3 এর যোগফল কতো তাহলে সে 5 বার খুর ঠুকে উত্তর দিতো যোগফল 5। কিন্তু ঘোড়ার মাথা অনেক বড় হলেও ঐকিক নিয়ম কিংবা সুদকষার হিসেব সে শিখতে পারে নি, শুনেছি ডলফিনরা নাকিনিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে, মাঝে মাঝে পরচর্চাও করে শুনেছি, তিমি বাঁদর মাছি, পিপড়া সবাই নিজ প্রজাতির মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে এবং মাঝে মাঝে তাদের আচরন দেখে বাকি প্রানীরাও বুঝতে পারে ঘটনা কি? বাঁদর এবং হরিণের মধ্যে একটা গোপন চুক্তি আছে, বাঘ হরিন ধরতে গেলে বাঁদরেরা উপর থেকে চিৎকার করে হরিনকে সাবধান করে দেয়, হরিন ছুটে প্রাণ রক্ষা করে, এসব আন্তঃ প্রানীয় যোগাযোগ বাদ দিলে সব প্রানীর যোগাযোগ মূলত অন্তঃপ্রানীয়, মানে নিজেদের মধ্যেই যোগাযোগ করতে পারে, এবং এই ভাষাটা আবার সার্বজনীন, একটা বিলাতি কুত্তাও আমাদের নেড়ি কুত্তার কথা বুঝে, কিন্তু মানুষের বিষম সমস্যা তারা সবার ভাষা বুঝতে পারে না, পশুপাখীর ভাষাতো দুরের কথা একদেশের মানুষ অন্যদেশের মানুষের ভাষা বুঝে না। কিন্তু এই অক্ষমতা নিয়েও মানুষের ভাবচককর কম না, নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব বলে দাবী করে, ইচ্ছা মতো অন্য প্রানী ধরে মেরে কেটে খায় কিংবা নিছক বিনোদনের উদ্দেশ্যে শিকার করে। কোনো প্রানীই আমোদের ছলে শিকার করে না, এমন কি অর্থহীন রক্তক্ষরণে বিশ্বাসি নয় প্রানীসমাজ, অযথা জীবহত্যা করে না বনের কোনো প্রানী কিন্তু মানুষকে প্রানী হত্যা বিরত রাখার জন্য ধর্মের আইন প্রয়োজন হয়। স্বাজাতি হত্যার উৎসব নেই কোনো জীবের কিন্তু মানুষ রীতিমতো সুসজ্জিত নৃসংশতায় বিশ্বাসী। মানুষ স্বাজাতি নির্যাতনের বিভিন্ন ফন্দিফিকির বের করেছে, এসব করেই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হয়ে উঠেছে। ঘোড়া যা পারে মানুষ পারে না, ঘোড়াকে ট্রেনিং দিয়ে যোগ বিয়োগ শিখানো হয়েছে কিন্তু আমাদের ত্রিপদ দাদা কষ্ট করে 0 আর 1 গুনতে শিখেছে, তিন পায়ের একটা উঠিয়ে ঠুকতে পারে না, ওটা দিয়ে শুধু সামনে গুতানো যায়, ওটা দিয়ে টোকা যেহেতু দেওয়া যায় না সুতরাং 0 এবং 1 নির্দিষ্ট করার জন্য ত্রিপদ দাদা অন্য একটা ইঙ্গিত ঠিক করেছে,যখন উত্থিত তখন 1 যখন অবনমিত তখন 0। এভাবে উত্থান এবং অবনমনে ত্রিপদের তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথ্যা, এবং ইত্যবসরে ডারউইনকে দেখে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠে ত্রিপদ, গন্ধমের প্রভাবে হয়তো, জ্ঞানের প্রভাবে উত্থিত হয়ে যাওয়া ত্রিপদ দাদা ডারউইনের কব্বর খুঁজে বের করে সেখান থেকে ডারউইনের হাতে লিখা পান্ডুলিপি নিয়ে বিভিন্ন মানুষকে দিয়েছিলেন, অনেক অনেক রথী মহারথী ডারউইনের তত্ত্বকে ভ্রান্ত বলেছেন, এইটা বড় কোনো বিষয় না আমার বাসার সামনের ইমাম প্রতি জুম্মাবারে পুরা সৃস্টিতত্ত্ব বিশদ ব্যাখ্যা করে, সঙ্গম প্রানালী শিখায় 5 বাচ্চার বাপ কে যদিও ইমামের নিজের বিয়ে হয় নাই তার পরও তার অভিজ্ঞতার ঝুলি কম না,এমন ইত্রিপদ দাদার অবস্থা, নিজের পঠনে তেমন কিছু নেই বরং অনয় একটা জায়গা থেকে ডারউইনিজমের চোথা কপি পেষ্ট করেছেন এবং অংশত উল্লেখ করেছেন, এমন আংশিক বর্ননা তুলে ধরা আসলে একটা চালিয়াতি প্রয়াস, কথার অর্থ ভূল ভাবে পরিবেশিত হয়, তবে ত্রিপদ দাদার সমস্যা নেই, 0 1 00001 0010111011 এই জটিল সমীকরন মিলানোর প্রচেষ্টা করছেন এখন, তবে সমস্যা হলো হাতে রাখা প্লেবয় দিয়ে 1 নির্দেশ করতে পারেন কিন্তু এর পরের 00 গুলো আসে না সারাক্ষন 1111111 রিডিং দেয় মানুষ সঠিক তথ্য পায় না।এই প্রসঙ্গে অনেক পুরোনো একটা কৌতুক মনে পড়লো।এক শেখ মার্কিন মুল্লুকে গিয়েছে, এবং পয়সা দিয়ে এক সুন্দরি হট সেক্সি মেয়েকে নিয়ে এসেছে ঘরে।যথারীতি পূর্বরাগের পর শেখ সাহেব তার আলখাল্লা খুললেন.শেখ সাহেবের উত্থিত অঙ্গ দেখে মার্কিন মুল্লুকের অনেক জিনিষ দেখা মেয়ের মুখ দিয়ে বের হলো ওয়াওশেখ মনক্ষুন্নএইটা ওয়াও না এইটা আলিফ।
(রাসেল ( ........))

এক গবেষকের উদ্দেশ্যে

ভাই তিনহাতী, খাটলেন তো ভালোই, তবে হুদা কামে। ডারউইন তার পুস্তকের অধ্যায়ের পর অধ্যায়ে কী বলেছিলো আপনি পড়ে দ্যাখেন নাই। অত বিদ্যা আপনার মোটা মাথায় নাই, আমরা জানি। প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব কী বলেছে সেটা আপনি না জেনেই কোমরে গামছা বেঁধে নেমে পড়েছেন ডারউইনকে বিভ্রান্তিকর বলে জাহির করার জন্য। প্রাণীর শরীরগত পরিবর্তন হয় যেসব ফ্যাক্টরের কারণে, সেসব ফ্যাক্টরের মান ও পরিমাণ যদি কোন কারণে হেরফের হয়, তাহলে প্রাণীও চেষ্টা করে সেই পরিবর্তনের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে। যারা খাপ খাইয়ে নিতে পারে, তারা টিকে থাকে, যারা পারে না তারা টিকেও থাকতে পারে না। এভাবে সেই প্রাণী ও প্রজাতি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে, যার খাপ খাইয়ে নেবার ক্ষমতা বেশি। আর এই খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে প্রাণীর শরীরগত পরিবর্তন ঘটে। যেহেতু এক এক অঞ্চলে ঐ ফ্যাক্টরগুলোর মান ও পরিমাণগত পরিবর্তন এক এক রকম, তাই খাপ খাইয়ে নেবার ধরনটাও হয় এক এক রকম। তাই এক সময় দেখা যায় একই প্রাণীর বংশধর দু'টি ভিন্ন পরিবেশে দু'টি ভিন্ন প্রজাতি হিসেবে বিকশিত হয়েছে। একে বলে স্পেসিয়েশন, একেই ডারউইন তাঁর পর্যবেক্ষণ থেকে সূত্রিত করেছেন। এ কারণেই ন্যাচারাল সিলেকশন লোকালাইজড, এ কারণেই স্পেসিয়েশন হয়। আপনি ফিটেস্ট এর অনুবাদ করেছেন শক্তিমান ও উপযুক্ত, এটা বোঝেন নাই যে প্রাকৃতিক দুযের্াগ একেক প্রাণীর জন্য একেক রকম হতে পারে, দাবানল জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও ঐরকম দুযের্াগ শুধু কয়েকটি প্রাণীর জন্যে দেখা দিতে পারে, বোঝেন নাই সেটা আপনার নিজের অজ্ঞতা, ডারউইনের কাঁধে বিভ্রান্তি চাপান কেন? খড়গদন্ত বাঘের নাম তো শুনেছেন বোধহয়, সেই বাঘ কোন প্রাকৃতিক দুযের্াগে লুপ্ত হয় নাই, লুপ্ত হয়েছিলো জলাশয়ের তীরবর্তী এক জাতের লম্বা ঘাসের অপলুপ্তির কারণে। এই বাঘের শারীরিক গড়নের কারণে তার গতি ছিলো শ্লথ, তাই সে লম্বা ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে জলাশয়ে পানি খেতে আসা পশুপাখিকে আক্রমণ করে পেট চালাতো, সেই ঘাস যখন পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে লুপ্ত হয়েছে, তার আড়ালটিও হারিয়েছে, আর খড়গদন্তবাঘের শিকারের ফন্দিটিও মাঠে মারা গেছে। এই বাঘের মূল প্রজাতি পারেনি নিজেকে পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে, অত সময় তার জোটেনি, তার আগেই সে বিলুপ্ত হয়েছে। এ-ও তার জন্যে দুযের্াগ, তা আপনি বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই? ফিটেস্ট তো শুধু আগুন পানি ভূমিকম্প থেকে পালিয়ে বাঁচার ফিটনেসের জন্যে নয়, তাহলে দৌড়বাজ আর কুস্তিগীরেরাই টিকে থাকতো দুনিয়াতে, এই ফিটনেস হচ্ছে ফিটনেস অফ অ্যাডাপটেশন, আপনি যতো খাপ খাওয়াতে পারবেন নিজেকে, আপনি ততো ফিট। আপনার পিপি গ্রাশে ডারউইনকে মিসইন্টারপ্রেট করেছেন, কিংবা আপনি ইংরেজি বোঝেন নাই।দেবদারুর পোকামাকড় আকর্ষণের জন্য রস বার করার কথা যা বলছেন পড়ে মনে হচ্ছে আবারও সেই ইংরেজির গলদ। আপনি শুধু এটুকু বলুন, দেবদারু কি নিজের পরবর্তী প্রজন্ম, অর্থাৎ বীজ ছড়িয়ে না দিয়েই এই খুদখুশি করে? পোকামাকড়ের মাধ্যমে যে পরাগায়ন ঘটে তা তো জানেন নিশ্চয়ই? বলছেন বিবর্তনের ধারায় সর্পকূল তার অঙ্গ খুইয়েছে, তা অঙ্গ খুইয়েও টিকে থাকতে কি তাদের কোন অসুবিধে হচ্ছে বলে মনে করেন আপনি? আবারও সেই একই জিনিস, টিকে থাকার জন্যে সাপের এই অঙ্গহানিই হয়তো ফিটনেসের চূড়ান্ত লক্ষণ। আপনি সাপকে নিজের সাথে তুলনা করছেন হয়তো। করবেন না। আপনি একজন ম্যামাল, সাপ রেপটাইল। দুজনের কারবারে তফাৎ আছে, তাই না? নাকি নাই?তেলাপোকা আদিম অবয়বে থেকেই যদি টিকে থাকতে পারে, তাহলে সে বিবর্তিত হবে কেন? এ কথা খাটে আপনার ক্যোলাকান্থের ক্ষেত্রেও। খাটে শৈবাল আর স্পঞ্জ-এর ক্ষেত্রেও। তাদের প্রতিবেশের এমন কোন দারুণ বিপর্যয় ঘটেনি যা তাদেরকে আকৃতি পালটে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য করবে।একই প্রাণী প্রজাতির কম বেশি অভিন্ন থাকা .... বুঝলাম না। কী বলতে চাইলেন? নাকি ইংরেজি জ্ঞানের গলদ আবারও? চোথা কোত্থেকে মেরেছেন ভাই, ইউআরএলটাও দেবেন এর পর।আপনার রামছাগলামি বোঝা যায় অ্যাবসেন্ট মাইন্ডে এসে। মানুষের কৃত্রিম নির্বাচন আর প্রাকৃতিক নির্বাচন আপনি গুলিয়েছেন, ডারউইন গোলাননি। আপনি কি ক্রসব্রীডিঙের কথা বলতে চাইছিলেন? সেটার ফল তো কয়েক প্রজন্ম পরই হাতে নাতে পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক নির্বাচনের কারণে স্পেসিয়েশন ঘটে কয়েক হাজার বা কয়েক লক্ষ প্রজন্ম পর, সেটা কি আপনি জানেন?আর স্পেসিয়েশন বলতে আপনি শুধু বোঝেন নতুন অঙ্গ গজানো, নতুন ইন্দ্রিয় সংযোগ? ভাই কিছু লেখাপড়া করে লিখবেন দয়া করে, নাহলে মূর্খ ভাববে মানুষ। প্রজাতির সংজ্ঞা আপনি নিজে জানেন কি না তা জানতে আগ্রহী আমি।আর শেষে গিয়ে কী বললেন কিছুই বুঝলাম না। বললেন যে প্যালিয়ন্টোলজি আর জেনেটিকসের সুবাদে আমরা বিবর্তন সম্পর্কে আরো ভালো করে জানতে পারি, অথচ তা-ও ডারউইনের দেড়শো বছরের পুরনো "বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব" আঁকড়ে ধরে পড়ে আছি। কথাটার মানে কী দাঁড়ালো? ডারউইনের কোন বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব? বিবর্তনের প্রকিয়া আর উদাহরণ ছাড়া আর কোন তত্ত্ব বাতলে গেছেন ডারউইন? ডারউইন নিজেও তাঁর ধমর্ান্ধ সমাজের কথা জানতেন, মানুষের বিবর্তন নিয়ে তিনি টুঁ শব্দ করেননি, তবুও তাঁর জীবদ্দশায় খ্রিষ্টান পাদ্রীরা তুমুল হল্লা করেছিলো, ডারউইন মানুষের ওপর তাঁর তত্ত্বের প্রয়োগ নিয়ে চুপ করে থাকতেন। কিন্তু হোয়াট ইজ গুড ফর গুজ ইজ গুড ফর গ্যান্ডার, ডারউইনের তত্ত্ব দিয়ে পরবর্তীতে মানুষের বিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন টমাস হাক্সলি। নিও-ডারউইনিয়ানরা চুপ করে থাকেননি সমাজের ভয়ে। সবশেষে অনুরোধ করবো, কোন কিছু সম্পর্কে এমন "গবেষণা" করার আগে অন্তত একটা ধারণা নেবেন ব্যাপারটা সম্পর্কে, চোথা অনুবাদ করে লিখতে গেলে আবর্জনাই বাড়বে। আপনার কায়দাটাও আমি জানি, বলবেন ... হাহাহা আমার লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন আমি কী বলতে চেয়েছি ... কিন্তু ভাই, দুঃখের সাথে বলি, আপনার লেখা মন দিয়ে পড়েই লিখতে বসেছি। আপনি নিজেও কিছু বোঝেন নাই, কাউকে বোঝাতে পারার মতো করে কিছু লিখেও ফ্যালেন নাই। কিছু পড়ুন, বিদ্যায় কুলালে ডারউইনের মূল বইটাও পড়ুন, ওখানে কিন্তু চমৎকার বর্ণনা আছে বীগলের যাত্রার, বিভিন্ন পর্যবেক্ষণের। ডারউইন একজন ভিক্টোরিয়ান ছিলেন, তাঁরও সীমাবদ্ধতা ছিলো, সেগুলো সম্পর্কেও জানতে পারবেন। ক্লাবে গিয়ে ডানস করেন না, ড্রিঙ্ক করেন না, কাজেই হাতে প্রচুর সময়, কিছু পড়ালেখা করলে মাথা খুলবে, চিন্তা করতে সুবিধা হবে।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। ধন্যবাদ।
(মুখফোড়)