Monday, January 28, 2008

গালিবাজি বনাম সুশীলিগিরি (সুশীল-ব্লগারদের দৃষ্টি-আকর্ষণ করছি)

[ভূমিকাঃ এ বিষয়টি নিয়ে লেখাটা সবসময়ই কঠিন, কিন্তু ব্লগে এ নিয়ে বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক প্রতিনিয়তই বেশ জমে উঠতে দেখে আমার ভাবনাটি সকলের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো। এনিয়ে আরেকটি লেখা পাবেন আমার "গালির রককমফের" শীর্ষক পোস্টে ( Click This Link) এবং মিরাজের কিছু পোস্টের কমেন্টে।]

বাংলা সাহিত্যের শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস গভীর সমাজমনস্কতা আর তীর্যক ভাষাভঙ্গির মাধ্যমে একটি নিজস্ব রচনারীতি নির্মাণ করেছেন, যে রচনারীতি আমাদের বাংলা ভাষাকে ড্রয়িংরুম থেকে সাধারণ পট্টিতে নামিয়ে অনন্য এক গতি দিয়েছে- দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। এর আগে মানিক বন্দোপাধ্যায়, তারাশংকর, সমরেশ বসু প্রমুখেরা একাজে ব্রতী হলেও- ইলিয়াসের আগে আর কেউ আমাদের ঢাকাইয়া কুট্টির জীবনকে এত সার্থক ভাবে সাহিত্যে স্থান দিতে পারেননি- এবং আরবানাইজেশনের অ্যাফেক্টকে সাহিত্যে মুর্তও করতে পারেননি।
তো, আখতারুজ্জামানকে নিয়ে আলোচনা আজকের পোস্টের মূল উদ্দেশ্য নয়- ওনার এক সাক্ষাতকারে একটি মজার কথা পড়েছিলাম। তাঁর লেখাতে অশ্লীলতা বা গালিবাজি- যাকে বলে খিস্তি খেউর করা নিয়ে প্রশ্ন করাতে তিনি বলেছিলেন- "অশ্লীলতা? কাউকে হেয় করা বা বকাঝকা করাই কিন্তু এসব শব্দ ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য নয়। এটা যে তাদের স্বভাবের অংশ। যেমন আমার 'ফেরারী' গল্পটার লোকটা চাঁদের আলোয় এক অপূর্ব সুন্দরী পরীর নগ্ন পা দেখেছে, সেটার বর্ণনা দিতে গিয়ে সে বলেছে, 'চান্দে হালায় চুতমারানীর পায়ের মইধ্যে ঢুইকা বারাইবার পারতাছে না'। কিংবা ধরো কোনো একটা মেয়েকে কোনো ছেলের দারুন পছন্দ হয়েছে, তো সে বলবে 'চুতমারানী মাইয়াটারে এমুন পছন্দ হইয়া গেছে হালায় খানকির পুত কি কমু' তো এগুলো সে বলছে গালাগালি দিয়ে মোটেও না। ......... নিজের ছেলেকেও অত্যন্ত মমতার সঙ্গে ডেকে বলবে, 'হালায় গেছিলি কই?' .......।"

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস 'ফেরারী' গল্পটিতে ড্রয়িংরুমের ভাষা ব্যবহার করে বলতে পারতেন- "মাঘের রূপালী জ্যোতস্নায় হে নগ্নিকা- তোমার অপরূপ মোহনীয় পদযুগলের সৌন্দর্য আমার হৃদয় মাঝারে ঝংকার তুলিতেছে"..... বা অন্যকিছু- কিন্তু তাতে কি ঢাকাইয়া কুট্টির মনের ভাব পূর্ণাঙ্গ হতো বা তাদের চিত্রায়ন কি সম্পূর্ণ হতো?

কিছুদিন আগে একটি ডকুমেন্টারি দেখছিলাম- 'কানসাট' আন্দোলন নিয়ে। সেখানে, কানসাটের এলাকাবাসী যখন পল্লীবিদ্যুতকে গালি দেয়, খারাপ ভাষাতেই গালি দেয়- তাতে একবারো মনে হয়নি সে গালি দিয়ে কোন অন্যায় করছে, বরং মনে হয়েছে- এ গালিটুকু এখানে না থাকলে হয়তো ওদের ইমোশনটিই বুঝতে পারতাম না! যাহোক, পরিচালকের সাথে কিঞ্চিত ব্যক্তিগত পরিচয় থাকায় তার সাথে এধরণের ভাষাগুলো ব্যবহার করা নিয়ে কথা হচ্ছিল। জিজ্ঞাসা করেছিলাম- এ ভাষা রাখার উদ্দেশ্য কি? তিনি দুটো কথা বলেছিলেন- প্রথমত- ওদের ইমোশনটিকে ধরা এবং দ্বিতীয়ত আমাদের মিডিল ক্লাসের একধরণের অস্বস্তিবোধ আছে- এ ভাষার মাধ্যমে, সেটাকে কিছুটা আঘাত করা।

অস্বস্তিবোধকারী সেই মিডিল ক্লাস বা সুশীলদের সম্পর্কে কিছু বলার আগে-মিডিল ক্লাসেরই আরেক ধরণের লোকদের সম্পর্কে একটু বলে নেই। যারা গালাগালি নিয়ে নানারূপ যুক্তি করতে গিয়ে বলেন- আমাদের গ্রামবাংলার ভাষা, আমাদের সাধারণ মানুষের ভাষা এসব খারাপ হবে কেন, যৌনতা জীবনের স্বাভাবিক অংশ- এটি নিয়ে কথা বললে অশ্লীল হবে কেন, এমনকি একবার এমন একটি পোস্টও দেখেছিলাম- 'মাগি' শব্দটি আমাদের মা-নানিরা মেয়ের প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহার করেছেন- তা খারাপ হবে কেন.... ইত্যাদি।

এসব যুক্তির বিপরীতে, আমাদের সুশীলরা হিপোক্রেট, ধান্দাবাজ, ... এসবকে গালি না মনে করলেও ঐ চ-বর্গীয় শব্দসমূহ বা- বাল, মাঙ্গের পুত, চুতমারানী, চুদা-চুদি- খানকি এসব যৌনাঙ্গ, যৌনতা ও যৌনকেন্দ্রিক-জন্মপরিচয় সম্পর্কিত শব্দসমূহ শুনলেই কানে আঙ্গুল দিয়ে বসেন- যেন কানের ভিতর ফুটন্ত পিচ ঢেলে দেয়া হয়েছে!! কিন্তু তারপরেই তাদের শ্রেণীগত অবস্থানটি পরিস্কার করে ফেলেন এসব কথা দিয়ে- 'এসব বস্তিবাসীর কথা'- 'ভদ্র সমাজে এসবের অবস্থান নেই'- 'যারা এসব গালি দেন তাদের বাপমা ঠিকমত শিক্ষা দিতে পারেননি'- 'মুখের ভাষা দিয়েই বোঝা যায়- কার বংশ কেমন' .... ইত্যাদি। সুশীলদের এসব কথার সাথে আমি শতভাগ একমত, কারণ আমাদের দেশে প্রথম থেকেই শিক্ষার সুযোগ ও অধিকার সবার জন্য অবারিত নয়, এবং আমাদের যে শ্রেণীটি এই শিক্ষা-দীক্ষার আওতায় এসেছে- একদম শুরু থেকেই তাদের প্রথম ও প্রধান কাজটিই হচ্ছে- এদেশের মূল স্ট্রিম থেকে নিজেদের আলাদা করা ও নিজেদের আলাদা ভাবা; আর সে আলাদা ভাবনাটা হচ্ছে অবশ্যই নিজেদের উচ্চপদের কেউকেটা গোছের কিছু একটা হিসাবে ভাবা।

যাহোক, যেটি বলছিলাম- গালিগালাজ প্রসঙ্গে। দু'জায়গা থেকে একজন গালি ব্যবহার করতে পারেন বলে মনে হয়। প্রথমত কেউ কেউ যুক্তি-তর্ককে এড়িয়ে যেতে বা নিজের অবস্থানকে পরিস্কার করতে পারবেন না বুঝে বা গলার জোরে বিপরীত মতকে দমিয়ে রাখতে গালি ব্যবহার করেন (কথায় বলে- চোরের মায়ের বড় গলা)। দ্বিতীয়ত- কেউ কেউ রাগের/ ক্ষোভের বহির্প্রকাশ হিসাবে গালি ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে রাগ/ক্ষোভের প্রচণ্ডতা হিসাবে গালির ভাষার তারতম্য ঘটতে পারে। অর্থাত গালির তীব্রতা দিয়েও বোঝা যায়- তার রাগের বা ক্ষোভের পরিমাণ কতখানি। এসব ক্ষেত্রে মনে হয়, গালির ভাষাকে দেখার চেয়ে গালিদাতার ইমোশনটি বা যেটিকে কেন্দ্র করে সে ক্ষিপ্ত সেটিকে কেন্দ্র করে তার বিচার করা উচিত। কেননা, ধরেন- কোন একজনের সহায়-সম্পত্তি সব জবর-দখল করে কেউ তাকে সর্বশান্ত করে দিলে- সেই লোকটি আর যখন কোন আশা দেখে না- তখন যদি সে তার মনের আক্রোশ ঝাড়তে দখলকারীকে 'চুদির বেটা'- (তার শব্দভাণ্ডারের সবচেয়ে খারাপ গালি) বলেও ফেলে- তবে কি আমরা সাথে সাথে কেন এই গালি দিল তার জন্য লোকটির বিচার করতে বসবো? বা যদি গালি দেয় 'কুত্তার বাচ্চা' তবে আমরা কি গালির মানেও বিশ্লেষণ করতে বসবো- কেন বাপকে গালি দিল- ওর বাবাতো কোন দোষ করেনি...... ইত্যাদি??? না-কি, এসব গালির ভিতর দিয়ে তার মনের ক্ষোভটিকেই অনুধাবন করার চেস্টা করবো???? আমার একটি পোস্টে মুহাম্মদ সা. এর স্ত্রী আয়শার নামে কলংক বিষয়ে নিরুদ্দেশ নীহারিকার একটি মন্তব্যে যে পরিমান গালি পড়েছিল (যারা আজ গালিবাজির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলেন তারাও গালি দিয়েছিলেন!!), তা থেকে কিন্তু আমি শুধু এটাই বুঝতে পারি- মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে এনাদের ইমোশন কতখানি।

এবার আসি- গালি দেয়ার প্রথম কারণটি নিয়ে। আমার মনে হয়- এ কারণটিতে যারা গালি-বর্ষণ করে, তারা নির্বোধ প্রকৃতির, এবং তারা গলার জোরেই নিজ মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলেই নির্বোধ। এ ধরণের গালিকেই আমি অপছন্দ করি সবচেয়ে বেশি, সেটির ভাষা যেমনই হোক- তা সে চ-বর্গীয় শব্দযোগের গালি হোক আর- অতি ভদ্র গোছের সুশীলিয় গালিই হোক (যেমন, আপনার বাজে কথা, আপনার নোংরা মন, আপনাদের সাথে আর কত প্রশ্ন-উত্তর খেলবো.... ইত্যাদি- এসব যদি যুক্তিহীনভাবে আরোপ করা হয়)।

তবে- যারা নিজেদের গালির পক্ষে যুক্তি করে বলেন- এসব ভাষায় আমাদের দেশ-বাংলার লোকজন কথা বলেন, তাদের সম্পর্কেও মনে হয়- তারা কি আমার দেশের মানুষকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করছেন না? তাদের ক্ষেত্রেতো এ ভাষা শুধু গালি নয়- নর্মাল কথোপকথনের ভাষা, সাধারণ মনের ভাব প্রকাশেরও ভাষা, তারা রেগে গিয়েও যেমন বলে 'খানকি', আবার নিজেদের মধ্যে খোসগল্পের সময়ও হয়তো তার পছন্দের মেয়েটিকেই খানকি বলছে। তখন কিন্তু এই খানকি শব্দটি তার মূল অর্থ হারিয়ে অন্য একটি অর্থ ধারণ করেছে। অমোঘ অনলের এক মন্তব্যে দেখেছিলাম- তিনি বলছেন, ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর আঞ্চলিক ভাষার অভিধানে 'পাছা/গোয়া মারা খাওয়া' মানে ঠকা, প্রবঞ্চিত হওয়া, ধরা খাওয়া ইত্যাদি। এখানেও কিন্তু অর্থের পরিবর্তন ঘটেছে। একই ভাবে তারা যখন রেগে গিয়ে কাউকে 'চুদ'তে চায়- তার মানে এটা নয় যে- তার সেক্স করার ইচ্ছা থেকে সে এটা বলেছে- সে তার রাগের ভাবটি ঐ শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। কিন্তু প্রান্তিকজনের ভাষার দোহাই দিয়ে যারা এসব শব্দ ব্যবহার করেন- কাউকে গালি দেয়ার উদ্দেশ্যে- তখন মনে হয় এর মাধ্যমে আমার প্রান্তিকজনকে খণ্ডিত ভাবে উপস্থাপন করে তাদের অপমান করাই হলো (তারা তো প্রতিনিয়ত আমাদের হাতে অপমানিত হন, লাঞ্ছিত হন- কি সুশীল কি অসুশীল সবার হাতেই)। আর ঐ যে মজার যুক্তি মাগ বা মাগি নাকি আমাদের মা-নানিরা ব্যবহার করতেন!! এ সম্পর্কিত আমার কিছু স্মৃতি আছে। গ্রামে নানি- দাদিদের কাজের মেয়ে টাইপের মানুষদের 'মাগি-ধাগরি' বলার কথা মনে করতে পারি। সে সময়ে জেনেছিলাম- এই মাগ বা মাগি মানে মেয়ে, কিন্তু গালির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত। কিছুটা বড় হয়ে এ শব্দটিকে অন্য অর্থে ব্যবহৃত হতে দেখলাম। 'মাগির দালাল' তো নাটক-সিনেমাতেও ব্যবহৃত হয়- 'মাগি' শব্দটিকে প্রস্টিটিউট অর্থে ব্যবহৃত হতে দেখলাম। যাহোক, মনে হয়েছিল- যে ব্যক্তিটি এ শব্দের পক্ষে পোস্ট দিয়ে বলেছিলেন- এ আমার মা-নানিদের ব্যবহার করা শব্দ, তখন মনে হয়েছিল- মা-নানির ব্যবহার করা শব্দটিই তিনি তার মা-নানি-মেয়েকে বলতে পারবেন কি-না!!!!!

হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের এক কর্মীকে অবশ্য যুক্তি করতে দেখছিলাম- সাহিত্য বাড়িতে মা-বোনের সামনে পড়তে পারলাম কি-না তার দ্বারা নিরুপিত হয় না- কেননা- মা-বোন কিরূপে একটি বিষয়কে গ্রহণ করবে তা সম্পূর্ণই নির্ভর করে ওনাদের মানসিকতা ও আমার সাথে তাদের রিলেশনের উপর। এটিকে মেনে নিয়েও মনে হয়- সাহিত্য করার উদ্দেশ্যে এসব শব্দরাজি প্রাসঙ্গিক মনে হলে আসতেই পারে কিন্তু- আরেকজনকে গালি দেয়ার ক্ষেত্রে এসব শব্দ ইউজ করে তার যুক্তি হিসাবে ওসব বলা নিতান্তই অপরিপক্ক চিন্তার ফসল।

এবারে দেখা যাক, যৌনাঙ্গ- যৌনতা- জন্মপরিচয় কেন্দ্রিক শব্দসমূহ নিয়ে সুশীলদের এই অস্বস্তির কারণ কি? এই গালি বা শব্দ সমূহকে বিশ্লেষণ করলে মনে হয়- এশব্দসমূহ গালি হিসাবে বিবেচিত হওয়ার পেছনে পুরুষতান্ত্রিকতাই দায়ি। কেননা- এসব গালির ভারকেন্দ্র নারী। আরও পরিস্কার করে বললে- নারীর যৌনকেন্দ্রিক অপবিত্রতা (খানকি, চুতমারানী, মাগি, লটি, বেশ্যা, চুদানী, চুতিয়া), এবং অশুদ্ধ জন্ম। এবং অশুদ্ধ জন্ম-কেন্দ্রিক গালি দেখলেও দেখা যায়- অপবিত্র/অসতী(!) মাকে টেনে আনা হয় (খানকির পোলা, চুতমারানীর পোলা, হারামীর বাচ্চা, চুদানীর পোলা)। এসব গালির সাথে আছে যৌনতা কেন্দ্রিক (চুদি, চুদাচুদি, ঠাপাবো, লাগাবো, ...) এবং যৌনাঙ্গ কেন্দ্রিক (বাল, চ্যাট, মাঙ্গ, বিচি, ভোদা...)। কেউ কি ভেবেছেন এসব কেন গালি হবে?? যৌনাঙ্গ তো সবারই থাকে- তাই বলে সেটা কেন গালি হবে- কই হাত, পা, মাথা এসব তো গালি নয়? যৌন-ক্রিয়াও তো মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া, তাহলে তোমার সাথে সেক্স করবো- এটির বিভিন্ন কথ্য রূপ কেন ভয়াবহ গালি?? মানুষের জন্মের কারণ এই যৌন ক্রিয়া, তার বাবা-মার বৈবাহিক বৈধতা আছে কি-না এবিষয়টি কেন গালির বিষয়বস্তু হতে যাবে?? বা, নারীকেই কেন শুধু অবৈধ সম্পর্ক জনিত গালির লক্ষবিন্দু করা হবে???
আসলে- আদিকালের নারীকেন্দ্রিক তথা মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ভেঙ্গে যখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার গোড়াপত্তন ঘটে তখন থেকেই এবং যখন থেকে নারীর উপর পুরুষের পসেসিভনেস প্রতিষ্ঠিত হলো (অর্থাত আমি স্বামি, মানে এই নারী আমার) - সেই তখন থেকেই- পুরুষরা তথা সমাজব্যবস্থা যৌনতা নিয়ে কিছু ভ্যালুজ তৈরি করে নেয়। নারীর শুদ্ধতার(খেয়াল করবেন- নারীর মনোগ্যামি- পুরুষের নয়) উপর অত্যধিক জোরারোপ পুরুষের বংশ বা পুরষের জন্মানুক্রমিক রক্তপ্রবাহের নিশ্চয়তার নিমিত্তেই আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। এবং ধীরে ধীরে মানুষের স্বাভাবিক যে প্রবৃত্তি সেটাও নেগেটিভলি উপস্থাপিত হতে থাকে। যৌনতাকে কেন্দ্র করে এক ধরণের অজ্ঞানতা, বা লুকোচুরি- এবং অপরাধবোধ এসব জেনারেট করতে শুরু করে এই সমাজ। এবং এভাবে এসবই একসময় মানুষের মাঝে নানারকম ট্যাবু বা সংস্কার হিসাবে বাসা বাঁধে। আর এসব গালিরও উতপত্তি এসব ট্যাবু বা তথাকথিত ভ্যালুজকে কেন্দ্র করে।

তাইতো- আমাদের মিডিল ক্লাস বা সুশীলরা এসব শব্দ শুনলে আঁতকে উঠেন- অস্বস্তি বোধ করেন- আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে শংকা বোধ করেন।
এখন এটা ঠিক যে, এসমস্ত গালি- নারীর উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্বকে ইণ্ডিকেট করে, এ সমস্ত গালি নারীর জন্য প্রচণ্ড অপমানকর, তাই এসব থেকে মুক্ত হওয়াটাও জরুরী- কিন্তু এ গালিকে কেন্দ্র করে সুশীলদের তথা সমাজের যে অস্বস্তিবোধ বা ট্যাবু - তাকে একইরকম অবস্থায় রেখে কোনদিন এসমস্ত গালি থেকে সমাজকে মুক্ত করাও যাবেনা। অর্থাত- যৌনতা ও নারীর পবিত্রতা বা সতীত্ব কেন্দ্রিক সমাজে যেসব ট্যাবু, সংস্কার বা তথাকথিত মূল্যবোধের ধারণা বিরাজ করে সেগুলোকে অক্ষত রেখে কোনদিনও এ সব গালিকে আমাদের সমাজ জীবন থেকে দূরে রাখা যাবে না। এবং সবচেয়ে বড় কথা এ সমস্ত গালি নির্মূল করার চেয়ে ঐসব ট্যাবু-সংস্কার দূর করা অনেকগুন বেশী জরুর।
(কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ মাথামোটা ও মাদারি- মাথামোটার "যৌনতা নাকি গালাগালি, আমরা কাকে অশ্লীল বলব? (লোকে বলে নিধিরাম অশ্লীল)" শীর্ষক পোস্টে তাদের তর্ক-বিতর্ক, অমোঘ অনল এবং মিরাজ, মৃদুল মাহবুব সহ সুশীল ব্লগারবৃন্দ)
এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন
--------------------------------------------------------------------------------

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৩৮ এম.এ.হামিদ বলেছেন: এ সব বলে গালিবাজদের বিরুদ্ধে এ সংগ্রাম আটকাতে পারবেন না
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৫০ নরাধম বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর বিশ্লেষন। প্লাসাইলাম।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৫৫ বিবর্তনবাদী বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ করবার ক্ষমতা অসাধারণ। প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। আপনার সাথে যোগাযোগ হলে ভাল লাগত। ধন্যবাদ। আমার মেইল আইডি।

nisshongo_dhakabashi@yahoo.com
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১৬
লেখক বলেছেন:
আমার সাথে যোগাযোগ মানে??

যাহোক, একটি মেইল করবো আপনাকে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৪৭
লেখক বলেছেন:
মেইল পেয়েছেন???

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ২:৫৯ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
রাজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অমি ভাই অগ্রণী সৈনিক। এমনকি আনব্যানের দাবিতেও ওনার কলমবিরতিতে আমরা সবাই সাড়া দিয়ে দাবি আদায় করেছিলাম।

সেই অগ্রণী যোদ্ধাকে এখান থেকে ব্যান করা হলো- এমনকি তার মন্তব্য করার অধিকারও কেড়ে নেয়া হলো- আর আমরা চুপচাপ বসে থাকবো- ব্লগিং করে যাবো????

কোনমতেই আমি এটা মেনে নিতে পারছি না।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:১৬ ভাইটামিন বদি বলেছেন: লম্বা বিসলেসন....বালা অইচে......মাগার মেলা গালি ভি হিকলাম।।।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:২৫ েবহাগ বলেছেন:
দারুন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৩৮ শান্তির দেবদূত বলেছেন: Showcase - এ নিয়ে গেলাম................. দারুন পোস্ট
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৪:৪৩ এস্কিমো বলেছেন: অসাধারন।

অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন।

আপনার কাছে দাবী - আপনার আলোচনাটা বিশ্বসাহিত্যের দিকে প্রসারিত করুন।

সমরেশ বসুর "প্রজাপতি" - যা মামলায় জিতে এসেছে - কিন্তু অশ্লীলতার জন্যে নিষিদ্ধ ছিলো দীর্ঘ সময়।

কিংবা ল্যাডি চাটার্লিস লাভার - যা এখন ক্লাসিক সাহিত্য হিসাবে বিবেচিত হয় - তাও এক সময় নিষিদ্ধ ছিলো।

সমস্যা গালি না - সমস্যা হলো মুখোশ।

আমার এক বন্ধু বলতো - দেখ এই লোকগুলো - যারা সুটেট বুটেট হয়ে ভদ্রলোকের মতো হাটছে - একসময় এরাও নগ্ন হয় প্রকৃতির আদিম খেলায় - আর এই ৬০০ কোটি মানুষের জন্ম যে প্রক্রিয়ায় তাও কিন্তু অশ্লীল হিসাবে বিবেচিত। সেইটা কি হিপোক্রেসী?

বাংলাদেশে তো আগে শরীরবিদ্যা পড়াতো না অশ্লীল বিবেচনায়...এখন কি পড়ানো হয়?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:১০
লেখক বলেছেন:
এস্কিমো,
বিশ্বসাহিত্যকে রিলেট করে লেখার মত ক্ষমতা হয়তো আমার নেই। এ কাজ আপনার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে- কেননা, বিভিন্ন সময় মনে হয়েছে- আপনার বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে ভালো পড়াশুনা আছে, এবং আপনার বিশ্লেষণী ক্ষমতাও দারুন।

এ পোস্ট লিখেছি শুধু- মিরাজ ও অমি রহমানের পিয়ালের কথপোকথনকে কেন্দ্র করে। আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না- অমির ব্যান এবং কমেন্ট করার অধিকার কেড়ে নেয়াকে। এবং অমির এই ব্যানকে কেন্দ্র করে আমাদের নিশ্চুপ থাকাটাও আমি মেনে নিতে পারছি না।

অথচ, সহযোদ্ধাদের আনব্যানের আন্দোলনে উনিই আমাদের লিড দিয়েছিলেন- ওনার কথা শুনেই আমরা কলম বিরতিতে গিয়েছিলাম। আজ কি আমাদের কিছু করার নেই???

আর, মিরাজদের অবস্থানকে কোনভাবেই গ্রহণ করতে পারছি না। যে একজন পিয়ালকে গালি দিতে প্রভোক করলো- তাকে এবং গালিদাতাকে একই পাল্লায় বিচার করা- একই সাথে উভয়ের বিরুদ্ধে বলা কোন নীতি এটা আমার মাথাতেই আসে না!!!!!

এই লোকই- কালোবিড়ালকে রেসিস্ট বলে চিতকার চেচামেচি শুরু করেছিল- আরে, আরিল যে বারবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে- সেই রাগে কেউ যদি আরিলকে গালি দেয়ই- তবে কি সে গালির ভাষা বিশ্লেষণ করতে বসবো?????

আরো চিন্তার বিষয়- এনাদের মত লোকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ধারী শিক্ষক!!!!!!!!!!!!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২১ বিবর্ণ বলেছেন: সাবাস.....ভাই'গো সাবাস......
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৫ রুদ্র আনোয়ার বলেছেন: অসাধারন আপনার বিশ্লেষন ক্ষমতা ।
পর পর বেশ ক বার পড়লাম । মানবিক অভিব্যক্তি প্রকাশের নানা মাধ্যমে রুক্ষ ভাষার প্রয়োগ আজকাল যে আমলে না নেবার মতো কথ্যরীতিতে পরিনত হয়ে গেছে তা এই বিশ্লেষনটি দ্বারা পরিষ্কার ফুটিয়ে তুলেছেন ।

আসলেই সমস্যা গালি না - সমস্যা হলো মুখোশ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৭ অেমাঘ অনল বলেছেন:
যাহাদের উদ্দেশ্যে লিখিয়াছেন- তাহাদের মন্তব্য আশা করিতেছি।

দুইজনকে মাইনাস দিতে দেখা গিয়াছে।
তাহারা শুধু রেটিং না করিয়া তাহাদের মতামত জানাইলে অধিকতর ভালো করিতেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২২ রিকো বলেছেন: প্রিয়তে যুক্ত করলাম।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫ হলদে ডানা বলেছেন: মাননীয় সভাপতি, আমার অবস্থান বিপক্ষে। শুরুতেই মাইনাস দিয়ে নিচ্ছি। এটি আমার দায়িত্ব। কতৃপক্ষ এত কষ্ট করে মাইনাস দেয়ার ব্যাবস্থা রেখেছেন এজন্য যে যাদের ভালো লাগেনি তারা যেন প্রতীকিভাবে জানান দেয়। অবশ্য আলোচনার সুযোগ দেয়ার জন্য আমার একটা প্লাসও দেয়া উচিত। আপাতত সে সুযোগ নেই।

কথা চলছিল গালাগালি বিষয়ে। শুরুতে কয়েকটা উদাহরণ দেই। মানুষের যৌনাঙ্গ শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংগ এবং যৌন ক্রিয়া তার স্বাভাবিক ক্রিয়া। মানলাম, সবাই মানবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন কেউ কি তার যৌনাঙ্গ সকলের সামনে উম্মেচিত করে চলে। আমার দেশে তো কল্পনাতীত, উম্মত্ততার দেশ আমেরিকাতেও কি কেউ সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে রাস্তায় চলে? অবশ্যই না। কেউ কি প্রকাশ্যে যৌন ক্রিয়া করে? অবশ্যই না। অবিচ্ছেদ্য অংগ ও স্বাভাবিক ক্রিয়ার যুক্তি দেখিয়ে আপনার কি সাহস হবে সম্পূর্ন নগ্ন হয়ে চলার অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে? তাহলে কি পাবনা ছাড়া আর কোথাও জায়গা হবে? মনে হয় না।

তাহলে কি সেই কারন যে কারণে মানুষ স্বাভাবিক বিষয় হওয়া সত্তেও প্রকাশ্যে উম্মোচন করেনা, প্রকাশ্যে সে ক্রিয়া করেনা? কারনটা এ পৃথিবী যিনি সৃষ্টি করেছেন, পৃথিবীতে মানুষ যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন, এবং বলেছেন। সুরা আল আরাফের দ্বিতীয় রুকুতে আপনি পাবেন, 'হযরত আদম ও হাওয়া আ, আল্লাহতায়ালার আদেশ লংঘনের কারণে তাদের দেহ থেকে জান্নাতি পোশাক খুলে যাবার পর দ্রুত জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজেদের লজ্জস্থান ঢাকতে লাগলেন।' কেন? আসলে আল্লাহ তায়ালা মানুষের মানব প্রকৃতির মধ্যেই লজ্জাস্থান বিষয়ে লজ্জা দিয়ে রেখেছেন। সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত তাই মানুষ সবসময়ই এ লজ্জা অনুভব করবে।

যৌনাঙ্গ বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রেও একই কথা। সেখানেও আল্লাহতায়ালা মানুষের অন্তরে লজ্জা খোদাই করে দিয়েছেন। আর শয়তান পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকেই তাদের এ লজ্জা বোধ দূর করার 'দায়িত্ব' নিয়েছে। এটি পাবেন একই সূরার তৃতীয় রুকুতে। এখন শয়তানের যে যতখানি আনুগত্য করে, সে ততখানি নির্লজ্জ হবে এটাই স্বাভাবিক।

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে নির্লজ্জ হবার বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন। একদিকে মানব প্রকৃতির মধ্যে নিহিত চিরন্তন লজ্জা বোধ, অন্যদিকে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা এই দুইয়ের সংমিশ্রণেই মানুষ যৌনাঙ্গ বিষয়ে খামোখা কথা বলাকে অশ্লীলতা বিবেচনা করে। যার মনে আল্লাহর ভয় নেই সে অন্তত সংকোচ বোধের কারণে একে অশ্লীলতা বিবেচনা করে। সেই সংকোচটুকুও দূর করে মানুষের মনুষ্যত্ব চুড়ান্তভাবে বিকিয়ে দেবার চেষ্টা করবেননা দয়া করে।

ধন্যবাদ মাননীয় সভাপতি, ধন্যবাদ বিচারক মন্ডলি, ধন্যবাদ সবাইকে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৪ সামী মিয়াদাদ বলেছেন: নির্বাক মুগ্ধতা....অত:পর প্রিয়তে
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৬ ফেলুদা বলেছেন: সেটাই অতি সুন্দরীও কমোডে প্রাকৃতিক কর্ম সারে, তখন সেই নগ্নতা কতই অশ্লীল। সম্পূরক প্রশ্ন : চতুর কি বায়ুত্যাগ করে?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৩ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হলদে ডানা,

আপনার আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

আপনি ধরেই রেখেছেন- লজ্জা স্থান ঢাকার রীতি মানুষের আদিকালের। এটি সঠিক নয়।

আপনার আজ যে লজ্জা বা লজ্জা কেন্দ্রিক ধারণা তৈরি হয়েছে- তা সোসাইটি ড্রাইভেন। একদম শুরুতে মানুষ দীর্ঘদিন কোন পোষাক ব্যবহার করেনি বলেই জানা যায়- বিভিন্ন গুহা চিত্র থেকে। এরপর- ধীরে ধীরে যেসব পোষাক দেখা যায়- তা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই কোমরের নিচ থেকে নিম্নাঙ্গ ঢাকার রীতি দেখা যায়। তখন কি নারী ও পুরুষ কোমরের নিচের অংশ ঢেকে রেখে যে বাকি অংশ অনাবৃত রাখতো- তাতে কি তারা আজকের মত লজ্জা বোধ করতো??

আজও অনেক ট্রাইবে দেখবেন- মেয়েদের উর্ধাঙ্গ অনাবৃত। সেসব ট্রাইবে জন্মগ্রহণকারী কেউ কি আপনার-আমার মত লজ্জা বোধ করে??? আপনার জন্ম সেখানে হলে কি আপনার লজ্জা কেন্দ্রিক বোধ একই রকম থাকতো????


আমি বলছি না- তাই বলে এখন সকলকে উলঙ্গ হয়ে ঘুরতে হবে। কারন এই সংস্কৃতি অর্জন মানুষের দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের ইতিহাসের ফসল। লজ্জা কেন্দ্রিক বোধও মানুষের অর্জন। সেটিকেও তুলে দয়ার কথা বলছি না। আমি যেটা বলছি- সেটা হলো- এসব যখন মানুষের মধ্যে সংস্কার হিসাবে দানা বাঁধে- তখনই বিপদ। আজ জনসম্মুখে উলঙ্গ হওয়া যেমন ঠিক না তেমনি প্রয়োজনে- যেমন ডাক্তারি অপারেশনে- বা ডাক্তারি চেকআপে- উলঙ্গ হওয়াটাই সর্বাধিক প্রয়োজন- সেক্ষেত্রে ঐ লজ্জাটা যদি সংস্কারের মত বদ্ধমূল হয়- তবে সমূহ বিপদ।


আর যৌনতাকে ওপেন করার কথা কি বলা হয়েছে একবারো??
পৃথিবীতে কুকুর- বিড়ালের মত এই কর্মটি এত ওপেনলি খুব কম প্রাণীই করে। বিভিন্ন পাখি- হরিণ-বাঘ- এরাও যৌনক্রিয়ার জন্য আড়াল খোঁজে। এতে মানুষের কোন বিশেষত্ব নেই। বিশেষত্ব হলো- যৌনতাকে মানুষ ভালোবাসার স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে- এটাই মানুষের বড় অর্জন। এই ভালোবাসা সম্ভবই নয় দুজন মানুষকে সমান অধিকার ও সমান মর্যাদায় দেখতে না পারলে। তাই বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা - এই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:১১ হলদে ডানা বলেছেন: আপনি যদি নিক নেমে না হয়ে সত্যিকারের নাস্তিক হয়ে থাকেন তাহলে আলোচনার ধরন পরিবর্তন করতে হবে আমাকে। ধারণা করছি সম্ভবত না।

দেখুন মানুষ শুরুতে উলঙ্গ ছিল এটি সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর। এর সাথে সত্যিকারের ইতিহাসের কোন সম্পর্ক নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রামাণ্য ইতিহাস পাওয়া যাবে আল কুরআনে। মানুষের সৃষ্টি পোষাক সম্পর্কিত বিষয়ে তার কি অবস্থান ছিল তা আল্লাহতায়ালা কুরআনে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। সুরা আল আরাফের ২য় ও ৩য় রুকুতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সৃষ্টির শুরুর মানুষটি ছিলেন সভ্য। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দিকভ্রান্ত করে পাঠাননি। স্পষ্ট পথনির্দেষণা দিয়েই পাঠিয়েছেন।

সময় গড়িয়ে যায়। মানুষ আল্লাহর নির্দেশনা, নবীদের পথপ্রদর্শণ ভুলে যায়। শয়তানের কুমন্ত্রণায় পড়ে পোষাকের ব্যাপারে গাফেল হয়। তেমনই কোন জাতি উলঙ্গ সভ্যতা ধারণ করে। তাতো আজো করছে। হাজারো বছর পরেও আজও পশ্চিমা সভ্যতার টুকরো কাপড় পরিধান প্রমান করে আল্লাহর নির্দেশ ভুলে মানুষ অসভ্যতার কত নিম্নে পৌছতে পারে তা সহজেই বোঝা যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের কোন মানুষ পশ্চিমাদের ড্রেস দেখলে হয়তো আপনার মতই ধারনা করবে যে ওরা সভ্যতার কোন আলো পায়নি।

আবারও বলছি, পোশাক মানুষের গবেষনালব্ধ কোন অর্জন নয়। সৃষ্টির শুরু থেকে আল্লাহ মানুষকে পোশাকের জ্ঞান দিয়ে পাঠিয়েছেন।


২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৩ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হলদে ডানা,

আপনার জন্ম পরবর্তি সময় থেকে শুনতে শুনতে যে বিশ্বাস আপনার মধ্যে বাসা বেঁধেছে- সেটি আপনাকে প্রায় জ্ঞানান্ধ বানিয়েছে। ফলে- সাধারণ যুক্তি- সাধারণ চিন্তা এসব আপনার মস্তিস্কে স্থান পায় না। আপনি ইসলাম- কোরআন- হাদীসের বাইরে তাই চিন্তাও করতে পারেন না।


এই আপনার জন্ম অন্য ধর্মের পরিবারে হলে- আপনিই হয়তো জোর গলায় যুক্তি করতেন- ভগবান কি করেছেন- কৃষ্ণ কি করেছেন- রাম কি করেছেন- বেদ-উপনিষদে কি লেখা আছে- অথবা অন্য কোন একটি বিশ্বাস আপনি আকড়ে ধরতেন।


ধর্ম বিশ্বাস লোকজনকে এমনই অন্ধ বানায় যে, তারা বুঝতেও পারে না- মানুষ একটি পরিমণ্ডলের সংস্পর্শেই আসলেই কেবল সে সম্পর্কে অভিহিত হতে পারে। ......... যাহোক বিশেষ কি বলবো!!


আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন- এ ছাড়া আর কি-ই বা বলার আছে!!!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০৭ হলদে ডানা বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে আপনি প্রকৃতই কুরআনে বিশ্বাসি নন। ধন্যবাদ।
এবার দেখি কিভাবে আলোচনা করা যায়। অনেকগুলো পয়েন্ট মাথায় আসছে, বুঝতে পারছিনা কোন দিক থেকে শুরু করলে ভাল হয়।


পৃথিবীর শুরুর ইতিহাস আমরা কিভাবে জানবো? মানব সৃষ্টির ইতিহাস জানতে আমরা কোন উৎসের উপর নির্ভর করবো? সৃষ্টির শুরুর মানুষটি উলংগ ছিল, পরে ধীরে ধীরে নিজের পথ অনুসন্ধান করে করে গবেষণা করে করে পথ চিনতে পেরেছে, সভ্যতা চিনতে পেরেছে এইতো আপনি বলতে চাচ্ছেন? আচ্ছা আপনি এ ইতিহাস কোথায় পেয়েছেন? ছোট সময় থেকে সমাজ বই পড়ে, আপনার আশেপাশের আলাপচারিতা শুনেই তো আপনি এ সিদ্ধান্তে পৌছেছেন। আপনার কাছে কোন প্রামান্য দালিল কি আছে? গুহার দেয়ালে উলঙ্গ মানুষের চিত্র যে প্রথম মানুষের এ সিদ্ধান্তে পৌছার মত যথেষ্ট প্রমাণ কি মানুষের হাতে আছে?

বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার পূরাকীর্তিগুলোর দিকে তাকান, সব নগ্ন নারী মূর্তি। আপনি কি বলবেন তাদের আগে মানুষ পোষাক পরা জানতোনা? সম্ভবত তা বলবেননা। আপনার উপরের উদাহরণের বিষয়টাও তেমনই অনুমান নির্ভর।

ধরুন আপনার কাছেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, আমার কাছেও নেই। অর্থাৎ আপনিও লিটারেচার নির্ভর, আমিও। এবার আসুন কার লিটারেচার কতটা অথেন্টিক তার বিশ্লেষণ করি। আমার ইতিহাসের সূত্র যে গ্রন্থ তার প্রারম্ভ আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগে। আজ পর্যন্ত তার একটি নোকতা পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। আমার সূত্রের গ্রন্থকার বলেছেন এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। চ্যালেঞ্জ এটি আসমানী কিতাব। আপনার ঐতিহাসিক গ্রন্থের লেখক বলেছেন এই বইয়ের কোন ভুল দেখলে পাঠকদের কাছে সবিনয় অনুরোধ ভুল ধরিয়ে দেবেন, পরবর্তী সংস্করণে তা সংশোধন করা হবে।

যুক্তি কোন গ্রন্থটিকে সত্যের কাছাকাছি দাবী করে?

আর কুরআন যে অবিকৃত তা বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সবার দ্বারা স্বীকৃত।


আরেকটা বিষয়। স্রষ্টা গ্রহ নক্ষত্র সৌরজগত আকাশ পাতালের প্রত্যেকটি সৃষ্টির একটি অমোঘ নিয়ম বেধে দিয়েছেন। সেই স্রষ্ঠা মানুষকে কি কোন পথনির্দেশনা না দিয়েই অন্ধের মত হাতড়ানোর জন্য ছেড়ে দিয়েছেন? যুক্তিতে বলেনা। সভ্যতা রুচিবোধ এগুলো মানুষের প্রতি পায়ে পায়ে প্রয়োজন হয়। তাই এগুলো আল্লাহতায়ালা শুরুতেই দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। আর বিমানে চড়বে না ঘোড়ায় চড়বে এ বিষয়টি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। তাই আল্লাহ এ বিষয়গুলো মানুষের গবেষণার অধিনে ছেড়ে দিয়েছেন।

আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুন। আমি প্রতিদিন অন্তত ৫০ বার আল্লাহর কাছে আমার মঙ্গল ও সঠিক পথ চেয়ে আবেদন করি।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩৪ এখন ক্ষনিকের অতিথী বলেছেন:

হলদে ডানা = নাস্তিকের ধর্মকথা = মাদারী
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪১
লেখক বলেছেন:
থ্যাংকিউ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪১ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হলদে ডানা,
আপনি যদি ঐতিহাসিক দলিলকে অস্বীকার করতে চান- কি আর করা!!!
দেখি বর্তমান দিয়েই আপনাকে বোঝানো যেতে পারি কি-না।

আপনি যে বললেন- মানুষ সৃষ্টির আদি থেকে লজ্জাকেন্দ্রিক বোধ নিয়ে আসে- বা প্রথম থেকেই পোশাক-আশাক পরতো- দেখা যাক বর্তমান প্রেক্ষিতে বিচার করি।


আপনি চোখ-কান খোলা রাখলেই দেখতে পারবেন- পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের নানারকম ভাষা-কৃষ্টি-কালচার-ভাষা। এই ভাষা-কৃষ্টি-কালচার-রুচি-বোধ এসবের দিকে তাকালে বা পর্যালোচনা করলে দেখবেন- সবকিছুই একটি একজনের জন্মকেন্দ্রিক ভৌগলিক পরিমণ্ডল দিয়ে পরিচালিত। যে মানুষটি বাংলা ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তার ভাষা কি হিব্রু হওয়া সম্ভব?? পুর্তগীজ ভাষার সম্পর্কে আসার আগে কি কখনও জানা সম্ভব এই ভাষাটি কেমন??? আজ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোন একটি মেয়েকে বা মহিলাকে পাশ্চাত্য কালচারের মত করে জিন্স আর টিশার্ট পরাতে চাইলে সে কি পরবে কোনরূপ লজ্জা পাওয়া ছাড়াই। ইউরোপে বাচ্চাকাল থেকে ছেলেমেয়েরা সবাইকে কিস করতে দেখে দেখে বড় হয়- ফলে একটি কিসের দৃশ্যে তারা যেভাবে নিস্পৃহ থাকে- যে সোসাইটিতে যারা এ দৃশ্য নাদেখে দেখে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে কি একইরকম নিস্পৃহতা থাকে???
আরো পরিস্কার করে বললে- যে অঞ্চলে বা যে ট্রাইবে মেয়েরা উর্ধাঙ্গ অনাবৃত করে রাখে- সেখানকার পুরুষদের সাধারণভাবে স্তনকে দেখে যে যৌনাকাঙ্খা তৈরি হয়, সেটা কি যে অঞ্চলে- সম্পূর্ণ আবৃত করে রাখা হয়- সে অঞ্চলে অনাবৃত স্তন দেখে কি একইরকম আকাঙ্খা তৈরি হবে???

আসলে- সব কিছুই নির্ভর করছে- মানুষটির রুচি-সংস্কৃতির উপর, যেটা গড়ে উঠে তার পারিপার্শিকতা থেকে- বা সমাজ ব্যবস্থা থেকে। ফলে- এই লজ্জাও নির্ভর করে যে সামাজিক পরিমণ্ডলে সে জন্মগ্রহণ করে- যেখানে সে বেড়ে ওঠে- তার উপর।

আরেকটু ভেবে দেখবেন- একটি বাচ্চার গড়ে ওঠা- বেড়ে ওঠা ক্লোজলি অবজার্ভ করে দেখতে পারেন। আপনি যদি কোন বাচ্চাকে একদম শুরু থেকে সম্পূর্ণ লোনলি- একা একা বেড়ে ওঠার একটি পরিবেশ দেন- তবে দেখবেন সে কোন ভাষাই তার হবে না- সে যদি জঙ্গলে বড় হয়- তবে বড় জোর কিছু পশুপাখির শব্দ অনুকরণ করা আয়ত্ব করতে পারে- তাকে জন্ম থেকে কোন পোশাকের সন্ধান যদি দেয়া ন হয়- তবে তার লজ্জা নিবারণের জন্য পোশাক আবিস্কার করার সম্ভাবনা খুবই কম- এমনকি একঝাঁক পুরুষ-নারী বাচ্চাকে এরকম একটি পরিবেশে বড় করে তুললে- তাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তারা যেটা করবে- বেচে থাকার জন্য সংগ্রামে লিপ্ত হবে- যদি বেচে থাকতে পারে- তবে, ধীরে ধীরে বেচে থাকার উপযোগি বিভিন্ন বিষয় আয়ত্বে আনার চেস্টা করবে- ধীরে ধীরে এক দুই বা আরও কিছু বংশ পরে অনেক কিছুই আয়ত্বে আনবে হয়তো। এটাকেই বলে- সমাজ বিকাশের বিজ্ঞান।

আশা করি বুঝতে পারছেন। আপনার কোরআন নিয়ে পরে বলছি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হলদে ডানা,

দেখুন কোরআন সম্পর্কে আপনার বিশ্বাস সব ধর্মগ্রন্থ পড়ে না কি জন্মের পর থেকেই এটিকেই সঠিক বলে জেনে এসেছেন- বলে- একেই একমাত্র অভ্রান্ত গ্রন্থ হিসাবে গণ্য করছেন?? আপনার কি মনে হয়- আপনার জন্ম অন্য কোন পরিবারে হলে- সেই পরিবারের ধর্মগ্রন্থকে কি একইরূপ ভাবে অভ্রান্ত মনে করতেন না???

এ বিষয়ে আমার কয়েকটি পোস্ট আছে।
পড়ে দেখতে পারেন। অবশ্য বিশ্বাস দূর্বল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে- ভিন্ন কথা।

বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর........১, ২, ৩, ৪....

Click This Link

Click This Link
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১০ মৃদুল মাহবুব বলেছেন: আমার মতামত রইল

আমার ব্লগবাদ বা ব্লগীয় ম্যানিফেস্টো : গালিগালাজের পক্ষ বিপক্ষ এবং ব্লগীয় রাজনীতি
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩১ সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:

'যারা গালি-বর্ষণ করে, তারা নির্বোধ প্রকৃতির, এবং তারা গলার জোরেই নিজ মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলেই নির্বোধ।'-একমত

'কেউ কি ভেবেছেন এসব কেন গালি হবে?? যৌনাঙ্গ তো সবারই থাকে- তাই বলে সেটা কেন গালি হবে- কই হাত, পা, মাথা এসব তো গালি নয়? যৌন-ক্রিয়াও তো মানব জীবনের একটি স্বাভাবিক ক্রিয়া, তাহলে তোমার সাথে সেক্স করবো- এটির বিভিন্ন কথ্য রূপ কেন ভয়াবহ গালি?? '- সোজা উত্তর, ট্যাবু বা সংস্কার বা মুল্যবোধ বা দৃষ্টিভঙ্গি বা রুচিবোধ। আচ্ছা বলতে পারবেন পৃথিবীতে এমন কোন সভ্য মানুষ আছে যে তার বন্ধুকে বা ভাইকে জিগ্যেস করবে স্বাভাবিকভাবে-'কি রে আজ কি তুই আর তোর বউ চু..... করেছিস?' করে না। কেন করে না? জনসমক্ষে এভাবে বলা বিশ্রী।

আর গালিগালাজ প্রসঙ্গে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্য কর্ম তুলে ধরা অপ্রাসঙ্গিক। কেননা, তিনি চরিত্র চিত্রায়নে যেটুক তুলে এনেছেন প্রান্তিকজন থেকে সেটার যৌক্তিকতা আছে। কিন্তু এখানে আমরা গালি প্রসঙ্গে বলছি। ইলিয়াস গালি দেন নি বা গালির পক্ষেও বলেন নি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
লেখক বলেছেন:
কমেন্ট করার আগে পোস্ট ভালো করে পড়ে বুঝে তারপর কমেন্ট করা উচিত। ইলিয়াসের আলোচনা আনার প্রাসঙ্গিকতা সেখানেই- অনেক সুশীল ব্লগার - চ-বর্গীয় শব্দ নিয়েই একধরণের এলার্জিতে ভুগে। শেষের দিকে- তার কারণ উদঘাটন করার চেস্টা করেছি। ইলিয়াসের 'চুতমারানি' শব্দটি তাদের কেমন লাগে সেটাও দেখা দরকার মনে হয়েছিল।


আমার পোস্টের মূল কথা- কিন্তু অহেতুক গালির বিরুদ্ধে সেটা চ-বর্গীয় শব্দ ব্যবহার করেই হোক- আর খুব ভদ্র গোছের শব্দ ব্যবহার করেই হোক।

আবার ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হিসাবে যখন গালি ব্যবহার করে- তখনও বিচার টি একইরকম হওয়া উচিত নয়- এসবই বলতে চেয়েছি আমার পোস্টে।

সারসংক্ষেপ বলতে গেলে এভাবে বলা যায় ইলিয়াসের ভাষাতেই- শিল্প/সাহিত্যে চুমুর একটি চিত্রায়ন অশ্লীল হতে পারে যদি তা অপ্রয়োজনীয় হয়- যেকারণে বাংলা সিনেমা অশ্লীল, কেননা সেখানে অহেতুক নায়ক নায়িকাকে জড়িয়ে ধরে। আবার অন্যদিকে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের একটি ডিটেইল এক্সপ্রেসনও শ্লীল হতে পারে- যদি তা প্রয়োজনীয় হয়।


ইলিয়াসের উদাহরণ বারবার আনছি এ কারণে যে- বিষয়টি সম্পূর্ণতায় বুঝতে সহযোগিতা হতে পারে। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন- সেটি শ্লীল/অশ্লীল কি-না তাও নিরূপিত হবে প্রয়োজনিয়তার উপর। আপনার বন্ধুর যৌন-ক্রিয়ার খবরাখবর যদি আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় হয়- তবে তা অবশ্যই অশ্লীল। কিন্তু আপনি যদি একজন গাইনী ডাক্তার হন- বা যৌন চিকিতসক হন- তখন আপনার বন্ধুর কোন সমস্যায় চিকিতসা পরামর্শ দিতে আপনার বন্ধুর যৌনক্রিয়ার বিষয়-আশয় জানা আবশ্যক হলে- না জানতে চাওয়াই অশ্লীল হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪ সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:

আপনার এই আলোচনায় অনেক নারী ব্লগার ইচ্ছা থাকা সত্তেও অংশ নিতে চাইবেন না। কারণটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪
লেখক বলেছেন:
অনেক নারী ব্লগার এবং অনেক পুরুষ ব্লগার এ পোস্টের আলোচনায় অংশ নিতে চাবে না-

তবে আপনি সেই অনেক নারী/পুরুষের বলয় থেকে এট লিস্ট বের হতে পেরেছেন বিধায় আপনাকে অভিনন্দন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩ রোকন বলেছেন: ক্যান, এই পোষ্ট পড়লে নারী ব্লগারদের সমস্যা কি? মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখুন। @সারওয়ার
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪ সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:


না.ধর্মকথা

'এবং সবচেয়ে বড় কথা এ সমস্ত গালি নির্মূল করার চেয়ে ঐসব ট্যাবু-সংস্কার দূর করা অনেকগুন বেশী জরুর।'-----এই বাক্যে আপনার চেতনায় এক্সট্রিমিজম আছে বুঝা যায়।


প্রতিটি ধমীয় সংস্কারের (বেসিক মুল্যবোধ) ইতিবাচক দিকও আছে। ওগুলো মনে হয় কেয়ামত পর্যন্ত কেউ চেষ্টা করেও দূর করতে পারবে না।
হ্যাঁ বলতে পারেন, কুসংস্কার দূর করে পরিশীলন আনা দরকার।



গালি বিষয়ক আমার পোস্ট পড়ে আপনি কোনো মন্তব্য করলেন না। আমি তো কয়েকটা মন্তব্য করলাম
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫
লেখক বলেছেন:
এক্সট্রিমিজম মানে কি?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫০ নাভদ বলেছেন: +, প্রিয় পোস্ট
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২ ফেলুদা বলেছেন: মুরালি ভেটকিটা সুন্দর হইছে
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৩ হমপজদ বলেছেন: ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬

ফেলুদা বলেছেন: হারামজাদা সরি হমপজদ ঠিক বলেছে
_____________________________________

হারামজাদা সরি ফেলুদা কেমন আছ?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২ ফেলুদা বলেছেন: দেখো হারামজাদা, আমাকে হমপজদ বলবানা। আর প্রশ্নের উত্তর হইলো আমি ভালো আছি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪ হমপজদ বলেছেন: ২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫২

ফেলুদা বলেছেন: দেখো হারামজাদা, আমাকে হমপজদ বলবানা। আর প্রশ্নের উত্তর হইলো আমি ভালো আছি।
________________________________________

তোরারে কি রাজাকার রা কুত্তার বাচ্চা বানাইছে?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৮ মিরাজ বলেছেন: নাস্তিকের ধর্মকথা,
আলোচনা শুরুর জন্য দুইপক্ষের অবস্থান শুরুতে একই অবস্থানে থাকা উচিত। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে না থাকায় আলোচনায় খুব বেশী উতসাহী নই । আপনি শুরুতেই আমাকে ভন্ড, ধর্মান্ধ, এর মত লোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক !! এইসব কমেন্ট করে আমার একটি অবস্থান তৈরী করার চেষ্টা করেছেন, সেই বিপরীত স্রোতে সাতার কাটার ইচ্ছা খুব একটা নাই । আর একটি সমস্যা হচ্ছে এই ধরনের আলোচনায় ব্যবহৃত বক্তব্যকে out of context ব্যবহার করার প্রবণতা। এটাও আলোচনাকে নিরুতসাহিত করে।

প্রথমে কিছু ব্যাপার পরিস্কার করে নেয়া প্রয়োজন, কারো ধর্মবিশ্বাস নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই, কে আস্তিক আর কে নাস্তিক তা আমি জানার আগ্রহও বোধ করিনা এবং তা কোন কারনে জানা হলেও তা আমার তার সাথে সম্পর্ক বা আলোচনায় কোন প্রভাব ফেলেনা। ধর্মকে আমি ব্যক্তিগত জীবণাচারণের অংশ মনে করি যেটা মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার । তাই ব্লগে ধর্মীয় আলোচনায় কখনোই উৎসাহ পাইনা ।

ধর্ম যেহেতু বিশ্বাসের অন্তর্গত, এটাই ধর্মের সবচাইতে একাধারে সবচাইতে সবল আবার সবচাইতে দুর্বল দিক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আস্তিক বা নাস্তিক যাই হইনা কেন, ধর্ম বা নাস্তিক্যবাদ যে কোন বিশ্বাসকেই অহেতুক আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির বিপক্ষে। আর সেজন্যই আমার ধর্মীয় উস্কানি বন্ধে পোষ্ট দেয়া যেটা আপনাকে অনেক ইরিটেট করেছে এবং আমাকে বিবিধ বিশেষণে অভিহিত করেছেন। এই ক্ষেত্রে আপনার সহনশীলতার অভাবও লক্ষণীয় ।

আমি যদি আস্তিক হই সেক্ষেত্রে মুল সমস্যা হলো আপনার সাথে আমার ধর্ম নিয়ে তর্ক কখনোই সঠিক হবেনা কারণ আমি যাকে স্ট্যান্ডার্ড মনে করি আপনি তাকে মানেন না। তাই এইসব অনর্থক আলোচনায় যাবার কোন প্রেরণা আমি পাইনা । এইসব আলোচনার অধিকাংশই কোন পরিণতি ছাড়াই শেষ হয়, মাঝ থেকে ভন্ড ধর্মান্ধ এইসব উপাধি পাওয়া।

এবার আসি গালি প্রসঙ্গে, আপনি ভালো বিশ্লেষণ করেছেন কিন্তু কিছু বাস্তবতাকে এড়িয়ে গেছেন।

সাধারণ দৃষ্টিতে যে সব শব্দ গালি হিসাবে বিবেচিত হয় তার অনেক শব্দই প্রান্তিক জনপদের মানুষের সাধারণ ভাষা। এবং শুধু আখতারুজ্জামান ইলিয়াস নন আরো অনেক সাহিত্যিকের সৃষ্টিতে এই সব শব্দ কথোপকথনে উঠে এসেছে অবলীলায়। কোন অবস্থাতেই সেই সব শব্দ গালি মনে হয়নি কারন শব্দগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে প্রেক্ষিত ঠিক রেখে। এক্ষেত্রে যে শব্দগুলি বলছে এবং যাকে উদ্দেশ্যে করে বলছে তাদের চিন্তা একই তরঙ্গে অনুরণিত হয়। আমরা সেই সব সাহিত্য কর্ম পড়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চিন্তাভাবনার প্রকাশকে জানতে পারি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই একই শব্দ এই ব্লগে কারো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে সেটা গালি হবে কিনা। হবে এবং একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করি কেন হবে। আপনি বিভিন্ন যৌনতা নির্ভর গালির সাথে একটি শব্দ উল্লেখ করেছেন যেটি হলো "মাগী" । এই শব্দটি পুরাতন ঢাকার মানুষ হরহামেশা ব্যবহার করেন, গ্রাম গন্জেও প্রচলিত। এই ক্ষেত্রে তারা যখন কোন মেয়েকে বলেন " মাগীকে আজ সুন্দর লাগছে" তখন যাকে বলা হচ্ছে সেও বুঝতে পারে যে এটা তার জন্য প্রশংসাসুচক একটি কথা, তাই সে কথাটিতে আহত হয়না। কিন্তু সেই একই "মাগী" শব্দটি যদি কোন ব্লগার অপর কোন নারী ব্লগারকে উদ্দেশ্য করে বলেন তাহলে তা নিশ্চিতভাবেই গালি হবে কারণ যিনি বলছেন তিনিও সেই জনগোষ্ঠীর ভাষায় কথা বলেননা (এই ক্ষেত্রে পুরাতন ঢাকার) এবং যাকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে তিনিওনা । একটি শব্দ কি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাই নির্ধারণ করে শব্দটি গালি হবে নাকি প্রান্তিক জনপদের ভাষার উদাহরণ হবে । তাই প্রান্তিক জনপদের ব্যবহৃত যে কোন শব্দই সু-নির্দিষ্ট প্রেক্ষিত ছাড়া ব্যবহার করা যায় না । এই একই উদাহরণ আপনি "খানকি" সহ অন্যান্য যে সব উদাহরণ দিয়েছেন তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

এবার আসা যাক আপনার উল্লেখ করে চ-বর্গীয় বিভিন্ন গালি যেগুলি নারীকে অবমাননার জন্য এবং পুরুষের ধর্ষকামী মানসিকতার প্রকাশ ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হয় । আপনি বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে এগুলি প্রকৃতপক্ষে তথাকথিত বিভিন্ন সোশ্যাল ভ্যালুজ বা ট্যাবুর জন্য আপত্তিকর লাগে কারণ নারীর যৌনতাকেন্দ্রিক আক্রমণ গালি হিসাবে বিবেচনা করছি কিন্তু হাত পা মাথা অন্যান্য অঙ্গ কেন্দ্রিক কথাকে আপত্তিকর বা গালি হিসাবে বিবেচনা করছিনা।

আসলে এখানে আপনার স্ব-বিরোধিতা এবং বিষয়টিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন না করাটা লক্ষণীয়। সমাজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পুরুষ নারীকে নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌনতাকে ব্যবহার করছে এবং সভ্যতার ক্রমবিকাশের হাত ধরে নারীকে এইসব হিংস্রতা থেকে রক্ষার জন্যই বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় ট্যাবুর উদ্ভব হয়েছে । এরপর পুরুষ যখন সরাসরি শারীরিকভাবে নারীকে আক্রমণ করতে পারেনি তখন আশ্রয় নিয়েছে যৌনতাকেন্দ্রিক বিভিন্ন শব্দের যা নারীর জন্য অবমাননাকর, এরপর এইসব শব্দকে সমাজে উন্মুক্ত ব্যবহারের বিরুদ্ধেও ট্যাবু গড়ে উঠেছে। এটা সভ্যতার বিবর্তনের একটা অংশ, একে অস্বীকার করার মানে হলো সেই আদিম ব্যবস্থায় ফিরে যাবা যেখানে কোন ট্যাবু বা রোস্ট্রিকশন আরোপিত ছিলোনা এবং সব কিছুরই স্বাধীনতা ছিলো। আধুনিকতার প্রয়োজন আছে কিন্তু সকল সোশ্যাল ট্যাবুকে অস্বীকার করে আধুনিকতা আনয়ন করা যায়না বরং অনেক ক্ষেত্রে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে অর্জন করা অনেক কিছুকে অস্বীকার করে পুনরায় সেই অ-সভ্য অবস্থায় যাবার মানসিকতা প্রকাশ পায়।

এ ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার খেয়াল করতে হবে, আপনার আলোচনায় মনে হচ্ছে যে কোন সোশ্যাল ট্যাবুই মুক্ত চিন্তার বা মুক্ত কর্মের জন্য ক্ষতিকর এবং সেই জন্য আপনি বলছেন "যৌনতা ও নারীর পবিত্রতা বা সতীত্ব কেন্দ্রিক সমাজে যেসব ট্যাবু, সংস্কার বা তথাকথিত মূল্যবোধের ধারণা বিরাজ করে সেগুলোকে অক্ষত রেখে কোনদিনও এ সব গালিকে আমাদের সমাজ জীবন থেকে দূরে রাখা যাবে না। "

আসলে এখানেই মুল সমস্যাটি। অনেক সামাজিক ট্যাবু আছে যেগুলিকে অক্ষত রাখাটাই অনেক ক্ষেত্রে সভ্যতা এবং সামাজিক সহনশীলতা ও সমাজের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠার জন্য দরকারী। ট্যাবু শব্দটিকেই নেগেটিভলী নেবার কারণ নেই। অধিকাংশ ট্যাবুই গড়ে উঠেছে যৌনতাকন্দ্রিক সম্পর্ক এবং বিধিনিষেধকে কেন্দ্র করে। অবাধ যৌনতা সমাজ স্বীকৃতি দেয়নি দেখেই এইসব ট্যাবুর উৎপত্তি । যেমন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইউরোপে "সমকামীতা" একটা সোশ্যাল, রিলিজিয়াস ও মোরাল ট্যাবুর আওতায় নিন্দনীয় হিসাবে দেখা হতো । যেটা এখনও বিশ্বের অনেক সমাজে দেখা হয়। একইভাবে "পেডোফিলিয়াও" বিশ্বের প্রায় সব সমাজেই সোশ্যাল, রিলিজিয়াস ও মোরাল ট্যাবুর আওতায় নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য । এই ট্যাবু গড়ে উঠেছে মানুষের দীর্ঘ সময়ের বিবেচনাবোধ এবং সামাজিক বিবর্তনের ক্রমধারাবাহিকতায়। এখন আপনি যদি নারীর যৌনতাকেন্দ্রিক ট্যাবু সংস্কারের একই যুক্তিতে এই ট্যাবুকে যদি অক্ষত রাখতে না চান, তাহলে তা কিন্তু সামাজিক বিপর্যয়ই ডেকে আনবে। তাই শুধুমাত্র ট্যাবুকে আক্রমণ না করে সেই ট্যাবু সমাজ সভ্যতায় কি ভূমিকা রাখছে সেটা সর্বপ্রথমে বিবেচ্য হওয়া উচিত।

সর্বশেষে গালি বিষয়ে আরো দুএকটি কথা । সামহোয়্যার এর মত ব্লগ একটি সামাজিক কমিউনিটি, যেটা সমাজের একটা নির্দিষ্ট অংশকে প্রতিনিধিত্ব করেনা (যদিও বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় সিংহভাগ মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে প্রতিনিধিত্ব করেন) । এইরকম একটি সামাজিক কমিউনিটিতে নিজে কথা বলার সময় বার কারো উদ্দেশ্যে কথা বলার সময় অডিয়েন্স যেই ভাষায় স্বচ্ছন্দ সেই ভাষা ব্যবহারের দিকে খেয়াল করা উচিত। অডিয়েন্সের ভাষা ব্যবহার করেই তার কাছে কোন মেসেজ পৌছানো সবচাইতে সহজ। সে যেই ভাষায় পরিচিত নয়, তাকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণের ক্ষেত্রে (তা যৌনতাকেন্দ্রিক হোক বা না হোক) সেই ভাষার ব্যবহার এক ধরণের অভদ্রতা। শব্দের ইনসেনসিটিভ এবং পরিপ্রেক্ষিত বিহীন ব্যবহার সাহসিকতা বা বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষতাকে নির্দেশ করেনা বরং ভীরুতা, নীচতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াপনা বা বোঝার অক্ষমতাকেই নির্দেশ করে। শুধুমাত্র নীচ এবং কাপুরুষরাই প্রেক্ষিত ছাড়া শব্দ ব্যবহার করে তাকে জায়েজ করার জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাষার সাথে তুলনা করে। এটা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চূড়ান্তভাবে অপমান করা ছাড়া আর কিছু নয়।

একজন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাষা ব্যবহারের উদ্দেশ্য এবং ব্লগে নানা জনকে উদ্দেশ্যে সেই সব ভাষার বিভিন্ন খন্ডাংশকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যের পার্থক্য যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আমার মন্তব্য অরণ্যে রোদন ছাড়া কিছুই হবেনা এবং সেক্ষেত্রে আপনার সময় নষ্ট করার জন্য দু:খিত ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৪২
লেখক বলেছেন:
দেখুন,
আপনি মূল আলোচনায় যাবার আগে- out of context চারটি প্যারা আলোচনা করেছেন- আপনার ধর্মীয় পোস্ট বন্ধ করার দাবিতে দেয়া পোস্টে ( Click This Link) করা আমার মন্তব্য নিয়ে। out of context বললাম এ কারণে যে- আপনি যেসব বিশেষণে অভিহিত করার কথা বললেন- সেটির উদ্দেশ্য বুঝতে চাচ্ছিলাম এবং যেটা মনে হয়েছে- এ বিষয়ে তো আপনি আপনার পোস্টেই উত্তর দিতে পারতেন!! যাহোক- আপনি পোস্টে ধর্মান্ধ, out of context এসব শব্দ ব্যবহার যখন করেন তখন সমস্যা হয় না- আর আমি নিচের কেমন্ট করলেই আপনার আপত্তি তৈরি হয়......

"আপনার পোস্ট সম্পর্কে এটুকুই বলা যায়-

আপনি যে দাবি তুলেছেন- তা গলা চিপে ধরার মতই স্বৈরতান্ত্রিক।
বিপরীত মতকে রুদ্ধ করে নয়- পারলে যুক্তি খণ্ডানোই কাম্য।

আমার পোস্টসমূহে আপনাকে আমন্ত্রণ ও চ্যালেঞ্জ।" এ বলে আমার কিছু পোস্টের লিংক দিয়েছিলাম। এবং আমি এখনও মনে করি- বিপরীত মত যারা শুনতে পারে না- তাকে স্তব্ধ করে দিতে চায়- তারা অন্ধ ও স্বৈরাচারী।

আর, পিএইচডি-র বিষয়টি নিয়ে যখন কথা বললেন- তখন বলতেই হয়- ওপেন তর্ক-বিতর্কে বিশেষ পরিচয় জানিয়ে দিয়ে নিজের প্রতি ফেভার তৈরি করার সমস্যাটাই হলো- যখন আপনার অবস্থানকে স্পষ্ট করতে পারবেন না- বা নিজের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলবেন, তখন আপনার ঐ বিশেষ পরিচয়ের দিকেও তীর ছুটে যাওয়াটাই স্বাভাবিক!!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫৭
লেখক বলেছেন:
আসলেই মনে হলো- আমার সময় নষ্ট করেছেন!!!
আপনি কি আমার পোস্ট পুরো না পড়েই মন্তব্য করেছেন?? আমি এই পোস্টে খুব সচেতনভাবে দুধরণের ট্রেণ্ডকেই খণ্ডন করার চেস্টা করেছি- সেটি কি আপনার চোখের আড়ালে চলে গেল??
'মাগ' শব্দটি নিয়ে আমি নিজেই তো উদাহরণ দিয়েছি- আমি নিজেই তো বলেছি- এ সব শব্দসমূহকে যারা প্রান্তিকজনের ভাষা বলে যুক্তি দিয়ে অন্যকে গালি দেয়ার স্বার্থে ব্যবহার করে- তারা খণ্ডিত ভাবেই উপস্থাপন করে ও অপমান করে প্রান্তিকজনকে।

আমার কথাই আমার বিরুদ্ধে যুক্তি হিসাবে উপস্থাপন করা কতখানি সুবুদ্ধিজাত????

২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪০ রোকন বলেছেন: পিএইচডি মিরাজের বক্তব্য শেষ হল নাস্তিকের ধর্মকথার বুঝার ক্ষমতা নিয়ে একরাশ সংশয় প্রেকাশের মধ্য দিয়ে। তার নিজের বোঝার ক্ষমতা প্রায় ত্রিভুজ ভাইয়ের কাছাকাছি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫ অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং পোষ্ট। যে কোন বির্তকের জন্য অসাধারণ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২২ শয়তান বলেছেন: +, প্রিয় পোস্ট
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:০৪ মৃদুল মাহবুব বলেছেন:
আপনি আমার পোষ্টে লিখেছেন

"মৃদুল,
আপনি যদি আপনার নিজস্ব কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তা-ভাবনা হিসাবে এই পোস্ট দিয়ে থাকেন- তবে আমার কিছু বলার নেই; তবে- যদি আমার পোস্টের উত্তরে এই পোস্ট দিয়ে থাকেন (যেমনটি আমার পোস্টে এই পোস্টের লিংক দিয়ে এখানে দেখতে বলেছেন)- তখন বলতেই হয়- আপনি আমার পোস্ট আবার পড়েন। আমি কি বলতে বলতে চেয়েছি- ইলিয়াসের সাহিত্যকর্ম কিভাবে উপস্থাপন করেছি- গালি প্রসঙ্গে আমার অবস্থান কি সেসব একটু ভালো করে পড়ে বুঝে তারপর উত্তর দেয়াটা সমীচীন।

আর, আমার আলোচনা খুবই স্পেসিফিক- আশা করবো স্পেসিফিক পয়েন্ট ধরেই আমার আলোচনার ভিত্তিতে আপনার মতামতটি জানাবেন।"

আমার কথা খুব পরিস্কার। আমিতো আপনার সাথে প্রায়ই একমত। আর যে কোন কিছুর আকারণ বিরোধীতা আমার ভালো লাগে না। আমার মনে হয়েছে আপনার লেখায় যেখানে যেখানে গ্যাপ থেকে গেছে (ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে যা মনে হয়েছে) আমি সে সমস্ত আমার মত করে পরিস্কার করার চেষ্টা করেছি। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না।

আর সবার ভাবনার স্তর সমান নয়, নয় তার প্রকাশ ভঙ্গি। এর মানে এই নয় যে কেউ আমার থেকে নিম্ন স্তরের। আমি সবার কাছ থেকেই কিছু নিতে চেষ্টা করি। আপনার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। আপনার কাছে আমার লেখা বিছিন্ন মনে হতে পারে। এটা আমার তেমন কিছু নয়। আপনার স্তরে যেমন আমি নই তেমন আমি অবশ্যই আশা করি না আপনি আমার মত ভাববেন এবং কথা বলবেন। আর স্পেসিফিক কোন বিষয়ে কথা বলতে চান, জানালে ভালো হতো। কেননা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে নতুন করে। আমিতো আমার কথা বলেছি। আমার কথাকে বিরোধভাষা হিসাবে না নিলে খুশি হবো।

ধন্যবাদ। আশা রাখি আলোচনা চলবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:১০ মিরাজ বলেছেন: দেখুন আপনি বললেন "ওপেন তর্ক-বিতর্কে বিশেষ পরিচয় জানিয়ে দিয়ে নিজের প্রতি ফেভার তৈরি করার সমস্যাটাই হলো- যখন আপনার অবস্থানকে স্পষ্ট করতে পারবেন না- বা নিজের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলবেন, তখন আপনার ঐ বিশেষ পরিচয়ের দিকেও তীর ছুটে যাওয়াটাই স্বাভাবিক"

আপনার এ কথাটি মানতে পারলামনা। আমার এই পর্যন্ত লেখা ১০৬টি ব্লগ পোষ্টে বা ২৪৬১ টি মন্তব্যে কোথাও একটিবারের জন্য আমার পরিচয় (এটা বিশেষ কোনো পরিচয় নয়, যা করছি তাই জানিয়েছি, যদি অন্য কোন কাজ করতাম তাও জানাতে দ্বিধা করতামনা) দিয়ে নিজের প্রতি ফেভার তৈরীর সপক্ষে একটি মাত্রও উদাহরণ দেখাতে পারেন তাহলে আপনার কথা মেনে নিবো।

আপনারা আমার পেশাগত পরিচয়কে অপ্রয়োজনীয়ভাবে আমাকে আক্রমণের জন্য যেভাবে ব্যবহার করছেন সেটাকে শোভনীয় বলতে পারছিনা।

যারাই নিজ নামে লিখছেন তারাই তাদের পরিচয় উল্লেখ করছেন তাদের প্রোফাইলে । আমিও তাই করেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দুএকজন শিক্ষকও করছেন । সমস্যা প্রোফাইলে আমাদের পরিচয় লেখাতে নয়, সমস্যা হলো আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গীতে ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:১২ স্নোবল বলেছেন: কি করতে এগুলা আপনে জানান যে আপনে কেলাসের ফার্স্ট বয়, ইত্যাদি ইত্যাদি?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:২০ মিরাজ বলেছেন: @ স্নোবল
আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক লেখায় আমার ক্লাসে অবস্থান প্রাসংগিকভাবে উঠে আসলে সমস্যা কোথায়?

আর আমার ক্লাসে অবস্থান উল্লেখ করার আর একটি কারণ হলো মনিটর এর বিভিন্ন পোষ্টে আমাকে আক্রমণ করে এই কথাগুলি বলা --

"ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান স্যারের টেবিল মুছে, স্যারের বৌয়ের বাজার করে দিয়ে, স্যারের ছেলেকে পিঠে তুলে গরু-গাধা খেলে যারা টিচার হয়"

আমার প্রকৃত অবস্থান জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগতো থাকা উচিত? নাকি একটি প্রোপাগান্ডা আর মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়া উচিত?

কই আপনাদেরতো কোনদিন এইসব মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে দেখিনি!!!


২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:২৬ স্নোবল বলেছেন: আপনে যদি মনে করেন আপনার একাডেমিক পারফরমেন্সের বিবরন দিয়ে মনিটরের কমেন্ট কাউন্টার দিসেন, সেইটা আপনার ভুল ধারনা। এইটা কইরা আপনে আরো দশটা কমেন্ট দেওয়ার সুযোগ করে দিসেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:২৯ মিরাজ বলেছেন: @ স্নোবল
হয়তো আপনার কথাই ঠিক। তবে আসলে কারো সম্পর্কে না জেনে যারা এই ধরনের কমেন্ট করে তাদের আরো দশটা কমেন্টের সুযোগ দিতে হয়না, এরা এমনিতেই করবে ।

আমার কাছে মনে হয়েছে আমার একাডেমিক ফলাফল (যেটা টিচার হবার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল) উল্লেখ মনিটরের মন্তব্যের অসারতা তুলে ধরবে। আমার ভুলও হতে পারে, আপনার কথা ঠিক হতে পারে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪০ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মিরাজ,


তবে, একটি বিষয়- যেটি এই পোস্টে আলোচনা তেমন করিনি- সেটা হলো ট্যাবুকে আঘাত করা।

ইতিহাস আরো আগের, কিন্তু- ৫০/৬০ দশক থেকে দুনিয়া জুড়ে শিল্পে- সাহিত্যে- ফিল্মে শিল্পী-সাহিত্যিকরা একটি কাজ করে গিয়েছেন খুব সচেতনভাবে। বাংলা সাহিত্যে তো এ ধারা এনেছিল হাংরি জেনারেশন মুভমেন্টের কর্মীরা, পাশ্চাত্যে বিট জেনারেশন- ফিল্মে গদাররা- সেটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটি- সাধারণ গণমানুষকে অবিকল তুলে ধরা তাদের শিল্প মাধ্যমে- এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- মানুষের সংস্কারের মূলে বিশেষত ট্যাবুকে আঘাত করা। এটিকে বলা হচ্ছে- "প্লানড ভায়োলেন্স"। শিল্প-সাহিত্যের এ ধারার পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত থাকলেও এর কিন্তু একটি বড় অবদান- শিল্প-সাহিত্যকে সো-কলড ভদ্রতার মুখোশ থেকে বের হতে সাহায্য করেছে।

ইলিয়াসও সে ধারার বাইরের ব্যক্তি নন। তিনিও সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন নিরন্তর। তিনি বলেছেন, "আমি সেরকম সোসাইটি চাইছি যেখানে নারী পুরুষের সম্পর্কে কোনরকম বার থাকবে না।"

সেক্সের পেছনে যদি কোন ভ্যালু কাজ না করে তবে ব্যাপারটা অ্যানার্কি দাঁড়াবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রথম কথা হচ্ছে অ্যানার্কি কি চেইনের চেয়ে ভালো না? আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আমরা সংস্কারকেই মূল্যবোধ মনে করি। বিয়েটাকে একটা ভয়ালু হিসাবে বলা হচ্ছে কিন্তু এটাকে আমি সংস্কারও বলতে পারি। বিয়েটাকে কি সামন্ত কি বুর্জোয়া সবাই দারুন গ্লোরিফাই করেছে কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজে বিয়েটা তো অন্তত কুতসিত একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন একটা সোসাইটির স্বপ্ন দেখি সেখানে বিয়েটা কোন ইনস্টিটিউশন হবে না; একজন সভ্য নারী আর পুরুষের পরষ্পরের প্রতি যদি অনুমোদন থাকে, সেখানে তাদের মিলনে কোনো সংস্কার, অপরাধবোধ, পাপবোধ যেন বাঁধা হিসাবে না আসে,......"


আশা করি- আপনার ট্যাবু/ভ্যালু নিয়ে কথার একটা উত্তর পেয়ে যাবেন এর মাধ্যমে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪১ রোকন বলেছেন: মনিটরের কথা ঠিক। স্যারদের বাচ্চাকাচ্চা স্কুলে নিয়ে অনেকে ফার্ষ্টবয় হয়।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪২ শয়তান বলেছেন: হুমম ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫ আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন: হলদে ডানা
আপনি বেশ অনেক কথা লিখলেন যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বা গালি গালাজ না করার ব্যপারে... কিন্তু, অন্য সব গালিগুলির কি হবে? সেগুলো তো যায়েজ, না কি? নাকি সেই মর্মে কোন কোরানের স্লোক আপনার জানা নেই?

কোরান ইতিহাসের বই না, একটা ধর্মগ্রন্থ। একে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে না দেখে অন্য কোন কিছু হিসেবে দেখলে ধর্মীয় শিক্ষাটাই তো মিস হয়ে যাবে। আরেকটা কথা - মানুষ, বিশেষ করে আদম আর হাওয়ার কথা বলছিলাম, বেহেস্ত ছেড়ে এই গ্রহে আসার কারন কিন্তু পাপ - আল্লাহর কথা না শোনার ফল। এটা একটা শাস্তি যে তারা দুনিয়ায় এলো। সেই শাস্তির একটা হলো যেমন দুনিয়ায় আসা, আরেকটা হলো লজ্জা... বেহেস্তে ঐসব কিছুই ছিল না। এই সবের সাথে কষ্ট করে বেচে থাকার শাস্তি তো আছেই... অথএব - আমাদের সকল জরুরী জ্ঞান আর দিক নির্দেশনা নিয়েই আমরা এসেছি কথাটা মনে হয় ধর্মীয় দিক থেকেই ঠিক না।

এবার সবার জন্য:
গালিগালাজ ই হোক, বা জ্ঞান গর্ভ কোন সুশীল আলোচনাই হোক - ব্যান করে দেওয়ার ব্যপারটা কেমন যেন। পছন্দ হচ্ছে না - দেখেন না, পড়েন না, উত্তর দিয়েন না... অসুবিধা কি? দেখবেনও, পড়বেনও, আর উত্তরও দিবেন, আবার বলবেন এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ, ইত্যাদি ইত্যাদি... সেটার মানে কি? কেউ যদি মনে করেন তারা বস্তিবাসীদের চাইতে উচু তাই তাদের ভাষাও তাদের মত হবে না, সেটা তাদের অভিরুচি... ইগো ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে - যেমন বস্তিবাসীদের, তেমন ই প্রাসাদবাসীদের।

সাহিত্যের উদাহরন আমার দারূনই লাগলো... ধন্যবাদ না.ধর্ম কে। উদাহরন গুলা দিয়ে খুব সুন্দর করে আপনার পয়েন্টগুলা বুঝাতে পেরেছেন। আমার মনে হয় - মানুষের রুচী পরিবর্তনশীল। কাস্টমসও বদলায়। আগে করেছি গিয়েছি না বললে টিভিতে নাটক করা যেন না - সেটাই ছিল কথ্যভাষা। কিন্তু এখন করসি, গেসি তেই বেশ ভাল নাটক হচ্ছে - তাই না। এক সময় প্রাইম টাইমেও গালিগালাজ আসবে... অবশ্যই সেটা প্রাসঙ্গিক না হলে তো আর হবে না... সেতো সাধারন জ্ঞান - বলা মত কিছু না।

বেসিক কথা... ভাষা মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। কিন্তু তা যদি মনের ভাব প্রকাশের অন্তরায় হয়ে যায় - তাহলে ধরে নেওয়াই উচিৎ যে কোথাও কোন একটা ঘাপলা আছে। কি বলেন?

২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৪ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মিরাজ,

আপনি বলেছেন,-
"................সমাজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পুরুষ নারীকে নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌনতাকে ব্যবহার করছে এবং সভ্যতার ক্রমবিকাশের হাত ধরে নারীকে এইসব হিংস্রতা থেকে রক্ষার জন্যই বিভিন্ন সামাজিক বা ধর্মীয় ট্যাবুর উদ্ভব হয়েছে । এরপর পুরুষ যখন সরাসরি শারীরিকভাবে নারীকে আক্রমণ করতে পারেনি তখন আশ্রয় নিয়েছে যৌনতাকেন্দ্রিক বিভিন্ন শব্দের যা নারীর জন্য অবমাননাকর, এরপর এইসব শব্দকে সমাজে উন্মুক্ত ব্যবহারের বিরুদ্ধেও ট্যাবু গড়ে উঠেছে।....."

এখানে আপনি সমাজ বিকাশের ইতিহাসকে কিন্তু ঠিক তুলতে পারেন নি। আপনি মর্গান পড়েন, আপনি রেবতী বর্মন পড়েন অথবা নৃতাত্তিক অন্যান্য বইও পড়লে দেখবেন- মানব সমাজের প্রথম থেকেই কিন্তু নারীর উপর পুরুষ এধরণের একতরফা নির্যাতন চালায়নি। বরং আপনি দেখবেন- পুরষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার গোড়াপত্তনের আগে মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাই এ দুনিয়াতে ছিল দীর্ঘকাল। নারীর উপর যখন পুরুষের কর্তৃত্ব স্থাপিত হলো- তখন থেকেই কিন্তু নারীর যৌন পবিত্রতা বা জন্মের বিশুদ্ধতা সংক্রান্ত মূল্যবোধ চালু করে নিতে হয়েছে সমাজব্যবস্থাকে।
আপনার মত হচ্ছে- নারীর প্রতি অবমূল্যায়নকারী বা ধর্ষকামী ঐ গালির বিরুদ্ধে ট্যাবু সৃষ্টি হয়েছে নারীকে এইসব হিংস্রতা থেকে রক্ষার জন্যই; আমি এইখানটাতেই আপনার সাথে দ্বিমত করছি। অনেকটা ডিম আগে না মুরগী আগের মত ডিলেমায় অনেকে পড়তে পারে- কিন্তু একটু চিন্তা করলেই প্রকৃত চিত্র পরিস্কার হওয়ার কথা।
আমি বলছি- এই মূল্যবোধ বা সংস্কার যখন মানুষের মাঝে প্রভাব বিস্তার করলো- তখনই কিন্তু এসব শব্দসমূহ বা বিষয় গালি হিসাবে স্থান পেলো। দেখুন- যে সময়টিতে মানুষের যৌনতা ছিল অবাধ ও স্বাভাবিক ঘটনা - সে সময়ে কি যৌনতা কোন গালি হতে পারে? এখনও যেসব জায়গায় বা যেসব ট্রাইবে মেয়েদের পলিগ্যামি একসেপটেড সেখানে কি কোন মেয়েকে চুতমারানী বা এ ধরণের কোন গালি থাকা সম্ভব? যেসময়ে বিয়ে নামের কোন ইনস্টিটিউশন ছিল না, সে সময়ে কি জারজ বা হারামির বাচ্চা বলে কোন গালি থাকা সম্ভব??
না-কি, যখন মানুষের মধ্যে সংস্কার বাসা বাধলো- মেয়েদের তাদের স্বামি ছাড়া কারো সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না- তখনই মেয়েদের ক্ষেত্রে ঐ গালি প্রযোজ্য হলো- নষ্টা, ভ্রষ্টা .. ইত্যাদি, যখন বংশ গরিমা- বা রক্তের বিশুদ্ধতা সংক্রান্ত মূল্যবোধ সমাজে চালু হলো- তখন্ই তো জারজ, বাস্টার্ড এসব গালি হলো???

সেকারণে বলছিলাম- গালিগালাজ তো কিছু শব্দের বিষয়, কিন্তু এসবের পেছনে সমাজের যে চিন্তাটা বিরাজ করছে- সেটিকে ধরা অধিক জরুরি। আপনি আজ পর্যন্ত - চুতমারানী- হারামী- নষ্টা-ভ্রষ্টা এসবের বিপরীতে একইরকম সেন্স বহন করে পুরুষকে গালি দিতে পারে এমন কোন শব্দ পাবেন না। কেন? এর পেছনে সমাজ মানসিকতাটা গুরুত্বপূর্ণ।

এসব গালি আপনি তুলে দিতে পারেন- কিন্তু তা কি সমাজকে পাল্টাবে?? একজন পুরুষকে তার বিবাহবহির্ভুত কোন যৌন সম্পর্ককে যে দৃষ্টিতে সমাজ দেখে একজন নারীর ক্ষেত্রে কি একই ভাবে দেখে? এই দৃষ্টিভঙ্গি কি গালির বিরুদ্ধে ট্যাবু তৈরি হলেই পাল্টে যাবে???

আশা করি বোঝাতে পারছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মিরাজ,
আপনি বলেছেন,-
"......আসলে এখানেই মুল সমস্যাটি। অনেক সামাজিক ট্যাবু আছে যেগুলিকে অক্ষত রাখাটাই অনেক ক্ষেত্রে সভ্যতা এবং সামাজিক সহনশীলতা ও সমাজের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠার জন্য দরকারী। ট্যাবু শব্দটিকেই নেগেটিভলী নেবার কারণ নেই। অধিকাংশ ট্যাবুই গড়ে উঠেছে যৌনতাকন্দ্রিক সম্পর্ক এবং বিধিনিষেধকে কেন্দ্র করে। অবাধ যৌনতা সমাজ স্বীকৃতি দেয়নি দেখেই এইসব ট্যাবুর উৎপত্তি। ......"

".......এই ট্যাবু গড়ে উঠেছে মানুষের দীর্ঘ সময়ের বিবেচনাবোধ এবং সামাজিক বিবর্তনের ক্রমধারাবাহিকতায়। এখন আপনি যদি নারীর যৌনতাকেন্দ্রিক ট্যাবু সংস্কারের একই যুক্তিতে এই ট্যাবুকে যদি অক্ষত রাখতে না চান, তাহলে তা কিন্তু সামাজিক বিপর্যয়ই ডেকে আনবে। তাই শুধুমাত্র ট্যাবুকে আক্রমণ না করে সেই ট্যাবু সমাজ সভ্যতায় কি ভূমিকা রাখছে সেটা সর্বপ্রথমে বিবেচ্য হওয়া
উচিত। ......." ইত্যাদি।
------------------------------>
ট্যাবু বা সংস্কারকে আমি নেগেটিভলি দেখি। যদিও মূল্যবোধকে সবসময় নেগেটিভলি দেখাকে নির্বুদ্ধিতাই মনে হয়। এটা মনে করি- মূল্যবোধ অর্জিত হয়- মানুষের দীর্ঘ সময়ের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায়। ফলে- মূল্যবোধ যা মানব সমাজেরই একেকটি অর্জন তাকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজন মনে করি না- কিন্তু সেই মূল্যবোধই যখন একসময় মানুষের মধ্যে অন্ধভাবে বাসা বাধে- মানুষের চিন্তা শক্তিকে ঢিলে করে দেয় এবং সমাজবিকাশের নিয়মকেই অস্বীকার করায়- তখন তাকে বলা হয় ট্যাবু বা সংস্কার। এটার মধ্যে কোন পজিটিভিটি খঁজে পাইনা।

সমাজ বিকাশের নিয়মটি এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়মটি হচ্ছে- কোন মূল্যবোধই চিরস্থায়ী নয়। সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথেই এটা পরিবর্তনশীল। এককালে যে মূল্যবোধ ছিল প্রচণ্ড প্রগতিশীল- এক পর্যায়ে তা-ই হতে পারে প্রতিক্রিয়াশীল। মূল্যবোধ যখন সংস্কার বা ট্যাবু হয়ে দাঁড়ায়- তখন সমাজ বিকাশের এই নিয়ম মনে থাকে না- পুরানো সেই মূল্যবোধ যতই প্রতিক্রিয়াশীল হোক- তা কে সহজভাবে গ্রহণ করতে হাজারো বাঁধা তৈরি হয়ে যায়। সেখানেই সমস্যা।

আমি একবারো বলিনি- সমস্ত মূল্যবোধই এ মুহুর্তে ত্যাগ করতে হবে। যা বলেছি- আজ আমাদের মাঝে যেসব ট্যাবু বা সংস্কার হিসাবে বাসা বেঁধেছে- যেহুলোর কারণে আমরা আমাদের চিন্তাশক্তিকে গণ্ডিবদ্ধ করে ফেলেছি- সেই ট্যাবু থেকে আমাদের চিন্তা-চেতনাকে মুক্ত করা প্রয়োজন।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি। সারওয়ার চৌধুরির জবাবে লেখা কমেন্ট গুলো পড়লে আরো পরিস্কার হতে পারে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৮ নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মিরাজের নিচের লিংকে দেয়া মজার পোস্টে বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। সেটি পড়ার আহ্বান থাকলোঃ
Click This Link
২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৩ ফাহমিদুল হক বলেছেন: "এবার আসি- গালি দেয়ার প্রথম কারণটি নিয়ে। আমার মনে হয়- এ কারণটিতে যারা গালি-বর্ষণ করে, তারা নির্বোধ প্রকৃতির, এবং তারা গলার জোরেই নিজ মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলেই নির্বোধ। এ ধরণের গালিকেই আমি অপছন্দ করি সবচেয়ে বেশি, সেটির ভাষা যেমনই হোক- তা সে চ-বর্গীয় শব্দযোগের গালি হোক আর- অতি ভদ্র গোছের সুশীলিয় গালিই হোক "

নাস্তিকের ধর্মকথা, গালি প্রসঙ্গে আমার অবস্থান মিরাজের চাইতে আপনার কাছাকাছি। কিন্তু "এনাদের মত লোকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ধারী শিক্ষক!!!!!!!!!!!!!" মন্তব্যটি সুবিবেচনাপ্রসূত মনে হয়নি। মিরাজের অবস্থান, অনেক মানুষের অবস্থান। এটাকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২০ শমশের আলম শোভন বলেছেন: নাস্তিক ভাই, আপনের লেকা আগে খিয়াল করি নাই৷ মন থাইকা কইতাছি এই মানের লিকা বল্গে খুব কম পড়ছি৷ ধন্যবাদ ধন্যবাদ৷ আপ্নের মত মেধা দর্কার আমগো এই গরিব দেশে৷ যেই সুশিলগো কথা কইলেন অগো দিয়া কাম হইবো না, পাচশ বই ুদলেও ওগো কলম দিয়া এরম লেকা আইবো না

Sunday, January 27, 2008

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া প্রয়েজন এতে কোন সন্দেহ নাই, সকল সভ্য দেশেই সেটি হয়েছে। সবাই বলছেন বিচার করবেন, কিন্ত করবেন কিভাবে? সে ব্যাপারে কি নির্দিষ্ট প্ল্যান আছে?

এখানে একটি ব্যাপার পরিস্কার করে নেই। জামাত-শিবিরের মতাদর্শধারী আর যুদ্ধাপরাধী কিন্ত এক জিনিস নয়। ৭১ এ যারা হত্যা ধর্ষণ এর মত যুদ্ধাপরাধ করেছিল তারাই যুদ্ধাপরাধী। বর্তমানে তাদের সিংহভাগই জামাতের ছত্রছায়ায় রয়েছে, কিন্তু এ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলেও এদের অবস্থান আছে।

আমরা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি শুধু এ ব্যাপার নিয়ে রাজনীতি করা ছাড়া। রাজনীতির খেলায় যুদ্ধাপরাধীরা দলবদল করে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় সেবক সেজে গিয়েছে কিন্ত রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা সেটি নিয়ে উচ্চবাচ্য করিনি।

সমাজে পরিবর্তন না আসলে দেশ উন্নত না হলে নিকট ভবিষ্যতেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে তার কোন সম্ভাবনা দেখিনা। তবে এ ব্যাপার নিয়ে বিস্তর রাজনীতি হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

এখন আমার প্রশ্ন হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হলে দেশের সমস্যা নিয়ে ভাবা যাবেনা এটা কেমন কথা হলো। দেশটা যদি পিছিয়েই থাকলো তাহলেতো ওই রাজাকার আল-বদর তথা যুদ্ধাপরাধীদরেই তো প্রকারান্তরে জয় হলো। যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, তার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখাও কিন্ত আরেকটা যুদ্ধ।

দেশটাকে যদি আমরা আমাদের নিজস্ব চিন্তা চেতনার মাধ্যমে আমাদের নানা সমস্যা (এখন পরিবর্তনের সময় পড়ুন) সমাধান করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে দেখবেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে আরো বেশী জনমত তৈরী হবে যেটি ইউরোপে হয়েছে।

আর যদি এই একটি ব্যাপারেই মগ্ন থেকে দেশের সমস্যার দিকে না তাকাই তাহলে হয়ত আর কখনই এইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হবে না। অনুন্নত দেশ ও সমাজে মানুষের ভিতর জনমত সৃষ্টি করা কঠিন এবং মানুষ তার জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করতে গিয়ে ন্যায় - অন্যায়ের বোধ হারিয়ে ফেলে।

একটু গভীর ভাবে ভাবুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমার সংগ্রাম চলবে কিন্ত সেটিকে এক ডাইমেনশনাল না করে দেশের স্বার্থে সেটিকে মাল্টি ডাইমেনশনাল করুন। উন্নত সমাজ, উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে মানুষের মনের কূপমন্ডুকতাও দুর হবে।

তখন আমরাই বাধ্য করতে পারব জামাত সহ সকল রাজনৈতিক দলকে যুদ্ধাপারাধীদের বহিস্কার করতে এবং বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতে।

আর যদি শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই বলে সারাক্ষন গালাগালির তুবড়ি ছুটাই আর কে ঘোষক, কে পাঠক এই নিয়ে মগ্ন থেকে দেশের সমস্যার দিকে উদাসীন থাকি, তাহলে ওই যুদ্ধাপরাধীরাই আমাদের অক্ষমতা দেখে দুকান বিস্তৃত হাসি দিবে এবং এখনো দিচ্ছে।

গালাগালি ছাড়া বাদবাকী সবকিছুই স্বাগতম।


৫১ টি মন্তব্য ৪৫১বার পঠিত পোস্টটি ১০ জনের ভাল লেগেছে, ৬ জনের ভাল লাগেনি
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৪৭ রূশো বলেছেন: ৫
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:০৯ কেনবলি বলেছেন: কাকে দিয়ে দেশ গড়বেন আপনি। যারা যুদ্ধাপরাধি তারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নতি করে তারপর বিচার। সোনার পাথর বাটি। আপনার কথা হাসির উদ্রেক করে। এর বেশি কিছু নয়। আগে আইনের শাসন নিশ্চিত করেন তারপর অন্যকিছু। আর জগতের সকল দেশেই আগে আইনের শাসন নিশ্চিত করা হয়েচে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৩০ মিরাজ বলেছেন: @ কেনবলি
হাসুন, গলা খুলে হাসুন।
যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় যাবার সুযোগ কে করে দিয়েছে? আমাদের রাজনীতিবিদরাই যারা মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করে তারাই।

এদের দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন দিনও হবেনা। এরা দরকার হলে আবারো যুদ্ধাপরাধীদের সাথে একসাথে আন্দোলন করবে ক্ষমতায় যাবার জন্য।

আর আমরা তরুণ সমাজ এদের দ্বারা মোহাবিষ্ট হয়ে মুল্যবান সময় নষ্ট করছি কিন্তু দেশের সমস্যায় কাজে আসছিনা।

দেশ ও সমাজ উন্নত হলে রাজনীতিবিদরা আর এভাবে মুলো ঝুলাতে পারবেনা। তখন জনগণই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করবে।
তা

আর কেনবলি কিভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করবেন শুনি?

আর গত ৩৭ বছরে আপনারা অনেক আইনের শাসন নিশ্চিত করার নামে কি করেছেন তা তো দেখছি। এভাবে চললে আগামী ৫০ বছরেও আইনের শাসন নিশ্চিত হবে না।

দেশ ও সমাজ উন্নত হলে আইনের শাসন এমনিতেই কার্যকর হবে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৪০ আমি মাহমুদ বলেছেন: অল্প বিস্তর ভিন্নমত আছে . . . । তারপরও ৫।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৪৯ মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ রুশো এবং মাহমুদ।

তবে মাহমুদ আপনার ভিন্নমতটা জানলে ভাল লাগতো।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৫৯ সোনার বাংলা বলেছেন: ভাই আপনার সাথে একমত। এই বঙদেশে দুই
ধরনের দালাল আছে।সে রকম আর কি এক কানায়
কয় আরেক কানারে .........।৫
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:১৭ কেনবলি বলেছেন: মিরাজ আপনি আসলে পি এম এস। তারা একটি রাজনীতিক শক্তি হিসাব পুনরার্ভিভাব করেছে বলেই তারা আজ রাষ্ট্র ক্ষমতার কাছাকাছি। তাদের বিচার হলে কখনোই তা হতোনা। আর আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে যতো থিওরী কপচান না কেন, কোন লাভ হবেনা যা কিছু উন্নতি সব পোকায় খাবে। ভিটায় ইদুর লাগলে আগে ইদুর মারতে হয়, ভিটা শুধু বাড়াইলে ইদুর পালায়না বরং ইদুর আরো বাড়ে
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:২৮ মিরাজ বলেছেন: @কেনবলি

ভিটা যদি মাটির রাখেন তাইলে ইদুর লাগবেই আর ভিটা যদি শান বাধানো বানাতে পারেন তাহলে চেষ্টা করেও ইদুর কিছু করতে পারেনা। এমনিতেই মারা পড়ে।

আশা করি একদিন চোখ খুলবে, সেদিন শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে কথার ফুলঝুড়ি না ছুটিয়ে কার্যকর কিছু করবেন যাতে সত্যিকার ভাবেই এদের বিচার করা যায়।

আর যদি এটিকে জিইয়ে রেখে রাজনীতি করার ইচ্ছে থাকে তাহলে আলাদা কথা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৫৯ মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ সোনার বাংলা আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে সম্ভবত: তথাকথিত স্বাধীন্তার পক্ষ শক্তি ও বিপক্ষ শক্তি দুই পক্ষেরই বিরাগভাজন হয়েছি।

যার ফলে যারা সবসময় মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতার ঘোষনা ইত্যাদি নিয়ে মন্তব্য ও গালাগালির তুবড়ি ছোটান, তাদের কারো মন্তব্য দেখছিনা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:০৩ সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: ৫

'একটু গভীর ভাবে ভাবুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আমার সংগ্রাম চলবে কিন্ত সেটিকে এক ডাইমেনশনাল না করে দেশের স্বার্থে সেটিকে মাল্টি ডাইমেনশনাল করুন। উন্নত সমাজ, উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে মানুষের মনের কূপমন্ডুকতাও দুর হবে।'

সত্য কথা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩১ কেনবলি বলেছেন: পি এম এস মিরাজ। ভিটা পাকা করলে ইদুর থাকে। উন্নয়নের সাথে সাথে ইদুর মারা ওষুধ দেয়ার কাম। এটা এক ডাইমেনসন আপনি নিজেই ভাবছেন। এ ব্লগে এখন এসে এগুলো বলা খুব সহজ। যখন অনেক খানি মুক্ত ব্লগ, নব্য রাজাকারদের থেকে। একই ভাবে এখনো ব্লগে রয়েছে, নব্য রাজাকাররা প্রতি নিয়ত বিভ্রান্ত করছে যারা। জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে রগ কাটলেও তাদের কিছু বলা যাবেনা। আগে জামাতের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করেন না হলে যে প্লাটফর্মে এসব হাদিস ফরমাইতেসেন আপনার পি এইচ ডি দিয়া সে প্লাটফর্ম একসময় আর থাকবেনা। ওকে পি এম এস মিরাজ
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩৪ এস্কিমো বলেছেন: মিরাজ,

মনে করেছিলাম আপনি ব্লগে এসেছেন সত্যই কোন একটা ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু মনে হচ্ছে আপনার মতলবটা বেশী সুবিধার না।

আমার ভুলও হতে পারে।

আপনার লেখাটা পড়ে আমি কনফিউজড। সবগুলো প‌্যারাগ্রাফ ভাসাভাসা। এর দুইটা কারন থাকতে পারে। এক - আপনি জানেন না অথবা দুই - আপনি ভান করছেন।

যতটুকু বুঝলাম - আপনার থিসিস অনুসারে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাইতে গিয়ে আমরা জাতিগত ভাবে কলহ প্রিয়তার পরিচয় দিচ্ছি - আর কাজের কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা কথা বলে তাদের সম্পর্ক আপনার ব্যবহূত বিশেষনগুলো বেশ অফেনসিভ।

যাই হোক - এবার আসুন আলোচনায় - আমি কিছু বিষয়ে আপনার কাছ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য আশা করবো।

১) তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যান্য প্রধান সমস্যা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন।
(প্রথম প‌্যারা) - আপনি কি একটা মন্তব্য দেখাতে পারবেন যা আপনার উপরের বক্তব্যকে সমর্থন করে?

এটা শেষ হলে পরেরটায় আসছি...
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৪৪ মিরাজ বলেছেন: @ কেনবলি
ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মন্তব্য অনভিপ্রেত, অন্তত: আমার ব্লগে। আপনাদের সেই কালচার থাকতে পারে কিন্তু আপনাদের কালচার আমি অনুসরণ করতে ইচ্ছুক নই। পোস্টকে আক্রমণ করুন, মন্তব্য করুন কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়।

জানিনা আপনি পি এম এস দ্বারা কি বুঝিয়েছেন, ভালো কিছু যে বোঝাননি সেটি বুঝতে পারছি।

"আপনি বলেছেন উন্নয়নের সাথে সাথে ইদুর মারা ওষুধ দেয়ার কাম"

যদি ঠিকমত পোষ্টটা পড়তেন তাহলে দেখতেন আমি ঠিক একই কথা বলেছি। আপনারা ইদুর মারা খেলা নিয়ে এত ব্যস্ত যে উন্নয়নের কথা বা প্রয়েজন বোধ করেন না।

আর জামাত শিবিরের ধর্ম ব্যবসা বন্ধ করার দায়িত্ব আমার নয়। দেশের মানুষই ঠিক করবে তারা ধর্মাশ্রয়ী দলকে, নাকি ধর্ম নিরপেক্ষ দলকে, নাকি ধর্ম বিরোধী দলকে গ্রহণ করবে। আর সেজন্যই সামাজিক ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি প্রয়োজন যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

আর অ-প্রাসঙ্গিকভাবে পি এইচ ডির কথা টেনে না আনলে খুশি হব।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৫৮ মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
আমার ব্যাপারে মন্তব্য করার আগে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে পারেন। অবশ্য যদি আপনার ইচ্ছা হয়। তবে একটি বিষয় জেনে রাখতে পারেন আমি স্বাধীনভাবে কথা বলতে পছন্দ করি এবং তাতে কারো বা কোন পক্ষের স্বার্থহানি ঘটলেও তার জন্য ভয় পাই না।

আপনার মন্তব্যের ব্যপারে বলছি। আমার পূর্বের পোষ্টে "কিন্তু কি" এর মন্তব্য দেখুন।

আর আপনি একের পর এক প্রশ্ন করবেন আর আমি তার উত্তর দিতে থাকব আপনার আস্থা অর্জন এর জন্য তা ভেবে থাকলে ভুল করছেন।

আমি আমার মতামত প্রকাশ করেছি আপনার দ্বিমত থাকলে মন্তব্য করুন। যথাসাধ্য চেষ্টা করবো তার প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা দিতে।

আর সর্বশেষে আমার কোন হিডেন এজেন্ডা নেই। আপনাদের অনেকের থাকতে পারে আর সেজন্যই হিডেন এজেন্ডা খুজছেন।

খুব কাছের মানুষকে হারিয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধকে রাজনীতির ঘুটি হিসাবে ব্যবহার করা পছন্দ করিনা।

পড়াশোনা করেছি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে বোধ করি দেখেই আমার স্বাধীন চিন্তা প্রকাশ করছি। চেষ্টা করবো তার কিছু বাস্তবায়ন করতে। কথায় নয়, কর্মে। ব্যাস এই টুকুই।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:১২ কেনবলি বলেছেন: জনাব আপনার পি এচ ডি অবশ্যই প্রাসন্গিক কেননা আপনি এটার ব্যবহার সর্বপ্রথমে করেছেন।আমি আপনাকে যাষ্ট আপনাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। আর শুনুন আপনাকে আপনার মেডিসিন দেয়া হয়েছে, আপনাকে পি এম এস বলার দরকার হতোনা যদি না আপনি নিজেকে ডক্টরেট দাবী করে সুবিধা নেবার চেষ্টা করতেন। আপনি যদি সত্যিই নতুন হন তাহলে এ ধরনের উপসংহার টানার আগে আরো দেখবেন আর শুনবেন। তবে মরনিং শোস দ্যা ডে হলে আপনার আগমন খুব আশাপ্রদ কিছু দেখতে পারছিনা। আরো দেখুন উপসংহারে টানার আগে আর নিজের হামবড়া ভাব বাদ দিলে যেমন আপনার ডিগ্রীটা ব্লগের বাইরে রেখে আসলে কথা বলা সহজ হবে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:২১ মিরাজ বলেছেন: @কেনবলি
পিএইচডি প্রসঙ্গটি অবশ্যই অপ্রাসঙ্গিক আর আমি কখনোই সুবিধা নেয়ার জন্য এটি ব্যবহার করিনি। মিথ্যা তথ্য না দেয়ার জন্য অনুরোধ করবো। জনৈক ব্লগার এর প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছি এবং সেটা প্রাসঙ্গিক ছিলো।

আর আমার কাছে ডিগ্রীতে কিছু যায় আসেনা। কথা হবে যুক্তি দিয়ে। আপনিই অ-প্রাসঙ্গিকভাবে এই পোষ্টে পি এইচ ডির কথাটা টেনেছেন। ভবিষ্যতে এই কাজ না করলে খুশী হব।

আপনি আমার আগমনে আশাপ্রদ না হবার মত কিছু দেখলে আমার কিছুই করার নেই। আর এই কথার ভিতর দিয়ে হামবড়া ভাব আপনিই দেখাচ্ছেন।

আশা করি প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক মন্তব্য করবেন। আমি অতি ক্ষুদ্র মানুষ তবুও যথাসাধ্য প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:২৬ কেনবলি বলেছেন: ডিগ্রীতে কিছু না এসে গেলে আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন কেন? আমি গত ১২ মাসে এ ধরনের কোন কমেন্ট কেউ কাকে করছে কিন কখনো দেখেনি আর আমার যতদুর মনে আছে আপনি নিজেই ভলান্টারি ইনফরমেসন দিয়েছেন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। তাই আপনার "এখনই সময় " হাম বড়া টাইপ পোষ্ট ।আমরা জাতি হিসাবে কি করি আর কি করা উচিট শুধু মাত্র ব্লগে দিন কয়েক এসে পোষ্ট করা শুধু মাত্র হামবড়া না এ ব্লগের প্রতি আপনার অসম্মান প্রদর্শনও বটে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৩৬ মিরাজ বলেছেন: আপনি মনে করছেন কেন। পোষ্টে গিয়ে দেখলেই পারেন।
কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে আপনি বিদেশে কি করছেন, তার উত্তরে আপনি যা করছেন তাই তো বলবেন নাকি?

আমি পি এইচ ডি করছি তাই বলেছি।

ভাইরে মানুষ কি করছি জিজ্ঞাসা করলে, সব সময় এটাই বলি। পি এইচ ডি করাটা এমন বিশেষ কিছু না। আপনারা যে এই সামান্য বিষয় নিয়ে এত পানি ঘোলা করবেন আগে জানা থাকলে সুবিধা হতো। হয় উত্তর দিতাম না বা মিথ্যা বলতাম।

আর নিজের হামবড়াত্ব অন্যের মাঝে না খুজলেই কি নয়?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৪১ কেনবলি বলেছেন: মিরাজ আমি তো ব্লগে তিন দিন এসে পোষ্ট দি নাই জাতি হিসাবে এ ব্লগে আমরা কি করি আর কি করা উচিত, হামবড়া ভাব টা তো আপনার এ পোষ্টেই প্রকাশ পায়। আর কিছু বলার আছে কি? এখানে যথেষ্ট ভালো আলোচনা হয় আর সেসব না পড়ে যাষ্ট তিনদিনের আলোচনা ফলো করে সারা ব্লগকে উপদেশ খয়রাত করা কি হামবড়া নয়?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ভোর ৪:০৪ মিরাজ বলেছেন: অ-প্রয়োজনীয় আলোচনা করে প্রাসঙ্গিক বিষয় থেকে ইতিমধ্যে দুরে চলে গেছি। কেনবলি আমি আপনার সাথে এই অহেতুক বিতর্কে আর ইচ্ছুক নই।

ব্লগে অংশগ্রহণ করায় আপনাকে ধন্যবাদ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:৪৪ ওয়ামি বলেছেন: মিরাজ ভাই, আমি আবারও আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী আমার ব্লগে আপনার মন্তব্য মুছে দেয়ার জন্য। সবার উপর মেজাজ খারাপ। নিজের উপর তো বটেই। আপনি আমার পোস্ট নিয়ে কোন কথা বলেননি। আমি মন্তব্যকারীদের কাছ থেকে সেটাই আশা করছিলাম।


অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য আমার কাছে খুব বিরক্তিকর মনে হয়। সমস্যাটা পরমতসহিষ্ঞুতার না আসলে। আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন কেন আমি এটা বলছি। আপনার এই পোস্টেই কথাই ধরুন। আপনি আলোচনা শুরু করলেন কি নিয়ে আর আলোচনা ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ কেউ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে আমি আপনার সাথে শতভাগ একমত। আপনার "এখন পরিবর্তনের সময়" পোস্টটিও পড়েছি। কিন্তু মন্তব্য করিনি কারণ গালিবাজরা আপনার পিছু নিতো। সাহস করে এটাতে করে ফেললাম। এখন গালিবাজদের সামলান ;-)


চঝ: মিরাজ ভাই কি সমকালে কাজ করেন? সেখানে একজন মিরাজ আছেন আমার বন্ধুর বন্ধু।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:৪২ কেনবলি বলেছেন: জামাতের সাথী ওয়ামী আর রাজাকার বাপ কামরুজ্জামানের লেজ এক জায়গায় বাধা আর তা হলো গিয়ে জামাত। এরা ধর্মের নামে ৭১ এ মানুষ খুন করেছে, এখন রগ কাটে। এদের শাষ্তি চাই
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ভোর ৬:৫৭ কেনবলি বলেছেন: জামাতের ৭১'র অপকর্মের জন্য জামাতকে ঘৃনা আর যারা জামাতের কর্মি তাদের কে ঘৃনা। ওয়ামীর বাপ কামরুজ্জামন দেশকে বিক্রি করেছিল পাকিস্তানের কাছে। মানুষ খুন করছিল। আর ওয়ামীরা সেই পাপ হালাল করার জন্য জামাতের রাজনীতি করে। ওয়ামী নিজে জামাতের সাথী ছিল, রগ কাটার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। তাকে সে কারনের ই ঘৃনা। আর জেনে শুনের যারা এ ধরনের রগ কাটার ওয়ামীকে বন্ধু বানাই, দেশ বিক্রি করার ওয়ামীকে বন্ধ বানায় তাদেরও ঘৃনা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৭:১৩ জ্বিনের বাদশা বলেছেন: মনে হলো, এটা প্রতীয়মান করতে চাইছেন যে 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার' যেহেতু খুব কঠিন বিষয়, এটাকে আপাতত উঠিয়ে রেখে আমরা দেশ গড়ার কাজে লাগি ...কারণ 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার' নিয়ে যতই কথা বলি, বিচার তো হবেইনা বরং এই ইস্যুটা নিয়ে রাজনীতি হবে, তাইতো?

সত্যি বলতে কি, লেখাটায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক -- এই আন্তরিকতাটা পেলামনা ...
বরং সেটাকে নিরুৎসাহিত করে দেশ গড়ার বা দেশের অন্যান্য সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ...

"সামনে আগানোর জন্য যদ্ধাপরাধীদের বিচার এর কথা বলেছেন এবং তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যান্য প্রধান সমস্যা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন।"

এটা কেউ বললেও এটার মিনিং যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আর কোন সমস্যা নিয়ে আমরা মাথাই ঘামাবনা তা না ... এটা সম্ভবতঃ আপনি বুঝবেন ... এটার অর্থ ছিল 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার'টার হাইয়েস্ট প্রিভিলিজ পাওয়া উচিত ...

কেন?

কারন, এটা ভিত্তি ... বেইস ... বেইসটা খুব শক্ত হতে হয়।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪১ এস্কিমো বলেছেন: মিরাজ -
কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর কোথায় -

১) তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যান্য প্রধান সমস্যা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন।

(প্রথম প‌্যারা) -

আপনি কি একটা মন্তব্য দেখাতে পারবেন যা আপনার উপরের বক্তব্যকে সমর্থন করে?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:২৮ রিউ বলেছেন: মিরাজ,
ভাল ভাবনার সাথে আমার একাত্ততা প্রকাশ করছি। কিন্তু সমস্যা কি জানেন? এভাবে লিখতে থাকলে এই ব্লগে "দি এ টিম" নামে পরিচিত স্বাধীনতার রক্ষাকর্তারা আপনাকে কোন পরিচিতি দেবে, একটু ভাবলে ঠিক বুঝে যাবেন। এই ব্লগে আপনার মত করে যারা ভাবত, তাদের অনেকই আর এখন লেখেনা। আমি যদি এই ব্লগের ব্লগারদের চরিত্র কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারি, তবে বলব, খুব তাড়াতাড়ি আপনিও লেখালেখি বন্ধ করে দেবেন। কারণ, শুধু নিজের ভাবনাগুলো স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করার অপরাধে (?) কিছু কুৎসিৎ মানুষের নোংড়া গালি বা ব্যাক্তি আক্রমন কোন সুস্হ্য ভাবনার মানুষ বেশীদিন সহ্য করতে পারে না।


০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সকাল ১০:৫০ অশ্রু বলেছেন: মিরাজ ভাই, আমি আপনার ভক্ত হয়ে পরেছি। ব্লগে আপনার মত গানীগুনি দরকার আছে। এখানে যেসব মাতবর আছে দেখেছেন সবাই কেমন ভ্যাবচেকা খেয়ে গেছে আপনি আসায়। ত্রিভুজ ভাইর পর এই একজনকে পেলাম যার কথায় োজন আছে। চালিয়ে যান বস। ৫ দিলাম। আর কারো কথাৱয় মনে করবেন না কিছু। তারা তাদের চেয়ে বড় মাতবর পছন্দ করেনা
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২৭ মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
আপনার উদ্দেশ্যে আমার পূর্বে করা মন্তব্যে উত্তর দেয়া আছে। একটু খেয়াল করে পড়ুন।

@ ওয়ামি
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। না ভাই আমি সমকালের সাথে জড়িত নই। "যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপনি আমার সাথে একমত" জেনে ভালো লাগল।

ব্লগে অন্যান্য সকলের পোষ্ট থেকে বুঝছি আপনি জামাত-শিবিরের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। (আমার ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী)।

সেক্ষেত্রে আপনাদের দলেই তো সবচেয়ে চিন্হিত যুদ্ধাপরাধীরা । তাদেরকে নেতৃত্বে আনা ছাড়া আর কোন অবস্থান তো দেখিনা। যুদ্ধাপরাধীদের দল থেকে বহিস্কার করে রাজনীতি করুন। আপনাদের ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি গ্রহণ বা বর্জনের দায়িত্ব দেশবাসীর।

@জ্বিনের বাদশা
আপনি বোধ হয় পোষ্টটি ভালো করে পড়েননি। আপনি পোষ্টের ব্যাখ্যায় যা রলছেন সেটি সম্পূর্ণভাবে পোষ্টের বিকৃতি। আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তুলে রাখতে বলিনি। আমি বিচার নিয়ে শুধুই রাজনীতির কূটচাল না চেলে, এদের বিচারের স্বার্থেই দেশের অন্যান্য সমস্যার দিকে নজর দিতে বলেছি। দেশ ও সমাজকে উন্নত করার কথা বলেছি।
খেয়াল করবেন আলজেরিয়া, সুদান, রুয়ান্ডা বা ইথিওপিয়াতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি। যদিও এসব দেশে ঘৃণ্যতম যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিচার হয়েছে ইউরোপে। এরপরো যদি দেশ ও সমাজ উন্নত করার গুরুত্ব না বুঝেন, আমার কিছুই বলার নেই। এখন আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কোনটা চাই বিচার না বিচার নিয়ে রাজনীতি।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৩৬ জ্বিনের বাদশা বলেছেন: এখানেও একটা বিরাট প্যাঁচ আছে @ মিরাজ
আপনে যেইরকম সরলীকরণ কইরা ফেললেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে দেশের উন্নতির, ব্যাপারটা অত সোজা না ... এজন্য আরেকটু গভীরভাবে চিন্তাকরার প্রয়াস লাগে ...
আপনারে একটা প্রশ্ন করি,
এই যে হিরোশিমায় বোমা ফালাইয়া একসকালে ২ লাখ মানুষ মাইরা ফালাইল, পুরা বিনাকারণে ... যেইটার কোন দরকারই ছিলনা ... সেইটার বিচার কি উন্নত বিশ্ব করব?
এই যে উন্নত আমেরিকায়/ইউরোপে যুদ্ধাপরাধের মতোই বা কখনও তার চেয়েও বেশী রেসিয়াল অফেন্সগুলা হইছিল, এমনকি ৫০ বছর আগেও, সেগুলার বিচার কী তাগোর উন্নত সমাজ করব?

বাংলাদেশ ধরেন খুব উন্নত হইল আগামী ১৫ বছরে, আর নিজামীরা রাজনীতির প্যাঁচে ক্ষমতাশালীই থাকল, তাইলে কি নিজামীগোর বিচার করতে পারবেন বইলা আপনে মনে করেন?

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হইল,
বাংলাদেশের ইকোনোমিক বা কোন সমস্যাটার কারণে এখনই বাংলাদেশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য উপযুক্ত না বইলা আপনে মনে করেন এবং কেন?

বিচার নিয়া রাজনীতি কেউই চায়না ... বিচার চাই ... বিচারকাজ এখনই শুরু করতে দোষ কি???

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪০ মিরাজ বলেছেন: @রিউ
ধন্যবাদ। আশা করব যুক্তির পাল্টা হবে যুক্তি, গালাগালি নয়। আমি কোন গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করতে লিখিনা তাই আমাকে আক্রমণ করে খুব সুবিধা হবে মলে মনে করিনা। আর যদি কেউ ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে গালাগালি করে, সে আমার ব্লগে স্বাগত নয়।

@ অশ্রু
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। নারে ভাই আমি জ্ঞানী গুনী নই। দেশের ব্যাপারে দায়বদ্ধতা থেকে লিখি।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪১ ৈকলাশ বলেছেন: গত মাসে এই ব্লগে আসচি এবং খালি ঝগড়া দেখতাসি, কেউ কিসু বললেই বেশির ভাগ চেইতা যায়।
মিরাজ ভাই, একমত আপনার সােথ। ৫
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৫ মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ৈকলাশ সহমত পোষন করায়।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৪ অশ্রু বলেছেন: আপনার মত আর কয়েকজন পিএচডি আসলে এই ব্লগের চেহারা পাল্টা যাবে ইনশাল্লাহ। আপনার বন্ধু এবং সহপাঠীদের এখানে আনার অনুরধ জানাই
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৯ মিরাজ বলেছেন: @ অশ্রু
আমার পি এইচ ডি পরিচয়টা প্লিজ ভুলে যান। এটি ব্লগের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।

আর বন্ধু বা সহপাঠীদের তাদের নিজ উদ্যোগেই লিখতে হবে। যেমনটা আমি লিখছি। তবে এই ব্লগ সাইটির লিংক দিবো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১ এস্কিমো বলেছেন: মিরাজ,

আপনি বলছেন - উপরে উত্তর দিয়েছেন। কোথাও পেলাম না। আমি লক্ষ্য করছি - আপনি নিজের কথাই বলেছেন - ব্লগারের নামে সেটা চালাতে চাচ্ছেন।

আমি একটা মন্তব্য দেখতে চাইছি - যে বলেছে - "বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যান্য প্রধান সমস্যা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই" ।

আমি কোথাও দেখিনি। দয়া করে দেখাবেন কি?

এটা সত্য যে, এই ব্লগে রাজাকারের ছেলে/মেয়েরা আছে - সেখানে রাজাকার/দালালদের আরো নিকটাত্বীয় আছেন - তারাতো যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কথা শুনলে বিব্রত বোধ করবেই।

যেমন - জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন চালানোর সময় মনে করলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দরকার নেই - উন্নয়ন দরকার। সেই অনুসারে কাজ করলেন।

আপনার কথা যদি বুঝে থাকি - আপনিও সেই দর্শন ধারন করছেন।

একটা অনুরোধ - কথা কথায় আপনি বুঝেননি - ভাল করে পড়ুন কথাগুলো যথেষ্ঠ অপমানজনক। আপনি নিজেকে যদি একজন বিরাট লেখক মনে করেন - তা হলে অন্য কথা।

আর উত্তর দেওয়া, মন্তব্য ডিলিট করা এমনকি ব্লক করে দেওয়ার অধিকার আপনার আছে। আপনি একটা প্রভোকেটিভ কথা বলেই আমাদের মন্তব্যকে ডেকে এনেছেন। খাটিঁ বাংলা বলতে হয় - আপনি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়ার চেষ্টা করছেন।

দেখুন -

মিরাজ বলেছেন :
২০০৭-০৯-০৪ ০১:৫৯:৫৯
ধন্যবাদ সোনার বাংলা আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে সম্ভবত: তথাকথিত স্বাধীন্তার পক্ষ শক্তি ও বিপক্ষ শক্তি দুই পক্ষেরই বিরাগভাজন হয়েছি।
যার ফলে যারা সবসময় মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতার ঘোষনা ইত্যাদি নিয়ে মন্তব্য ও গালাগালির তুবড়ি ছোটান, তাদের কারো মন্তব্য দেখছিনা।

- তথাকথিত স্বাথীনতার পক্ষের শক্তি
- গলায় তুবড়ি ফোটান

এই ধরনের ফ্রেজ কারা ব্যবহার করেন সেটা আমাদের জানা আছে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৯ মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা যদি কেউ করে থাকে তাহলে সেটি আপনি করছেন এবং প্রথম থেকেই।

আপনাদের প্রথাবিরোধী লেখার কারনে আমার লেখার ভিতর আপনি হিডেন এজেন্ডা খুজছেন। আর যুক্তি তর্কের মধ্যে না এসে আমার দর্শন সম্পর্কে ঢালাও মন্তব্য করছেন এবং ব্রান্ডিং এর চেষ্টা করছেন।

আপনি ফ্রেজ ব্যবহার করা নিয়ে বললেন এটা কারা ব্যবহার করে তা আপনাদের জানা আছে।

ভাই আপনাদের জানার বাইরেও জগত আছে আর সেটা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। সেই চেষ্টা না করাতেই আপনারা নিরপেক্ষ মানুষ (যারা ভোকাল নয়) তাদের থেকে অনেক দুরে সরে গিয়েছেন এবং আরো যাচ্ছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে আমার অবস্থান স্পষ্ট এবং সেটি আমার পোষ্ট এবং বিভিন্ন পোষ্টে করা মন্তব্য থেকে আশা করি বুঝতে পারবেন।

আর আপনি যে বললেন "যে বুঝতে পারেননি বা আবার পড়ুন" কথাগুলি অপমান জনক। এতে অপমান বোধ করবেন না কারন কেউ বুঝতে না চাইলে তো তাকে কেউ বুঝাতে পারবেনা। এর সাথে বোঝার ক্ষমার কোন সম্পর্ক নেই।

আর আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে "কিন্ত কি" এর মন্তব্য দেখতে বলেছিলাম।

যাই হোক এখানে সেটি দিচ্ছি আপনার জন্য
"দুই দিনে সন্ন্যাসি ভাতেরে কয় অন্ন। আরে আগে বাড়ী ভিত স্ট্রন্গ করতে হয় তারপর ভিত বাড়াইতে হয়। এতো বেশি অন্যায় হইসে প্রথম দিকে যে সেগুলো ঠিক না করলে আইনের শাসন ঠিক করা যাবেনা।"

এই কথাটির অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। হয়ত আমার কথর প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পারবেন।

ধন্যবাদ
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১১ মিরাজ বলেছেন: " এর সাথে বোঝার ক্ষমার কোন সম্পর্ক নেই।" হবে
এর সাথে বোঝার ক্ষমতার কোন সম্পর্ক নেই
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২২ এস্কিমো বলেছেন: "বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের অন্যান্য প্রধান সমস্যা নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই" ।

এই কথাটা কোন ব্লগার বলেছে, দয়া করে বলবেন কি?

@মিরাজ
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫ মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
আপনাকে বোঝাবার সাধ্য আমার নেই। আমি চেষ্টা করেছি। আমার অক্ষমতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

আমি আমার লেখায় অন্য ব্লগারের লেখা কপি পেষ্ট করি নাই। তাই আপনাকে হুবহু মন্তব্য দেখাতে পারবোনা। সাদৃশ্যপূর্ন মন্তব্য আছে প্লিজ এইবার নিজে খুজে নিন।

আমার বক্তব্য নিয়ে কোন দ্বিমত থাকলে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করুন।

একটি ব্যাপার নিয়ে আর তেনা না পেচালে খুশী হব।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭ ধ্রূপদী বলেছেন: পিএইচডি মিরাজ ভাই, আপনার মত আরও একজন আছে ব্লগে। রিউ ভাইএর ৮ টি জার্নাল পেপার। উনিও আপনার মত একই বানান ভুল করেন। আপনি কোন বিষয়ে পিএইচডি?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭ মিরাজ বলেছেন: @ধ্রূপদী, আমার কোন বিষয়ে পি এইচ ডি তা কি এই পোষ্টের সাথে কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত?
পোষ্টের সাথে সম্পর্কিত কোন বক্তব্য থাকলে বলুন, উত্তর দেবার চেষ্টা করব।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:১৭ সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: @মিরাজ, অপ্রাসঙ্গিকভাবে মন্তব্য করা বা খিস্তি খেউড় করা কিছু ব্লগারের স্বভাব। ওদের ব্লগে সারবস্তুসম্পন্ন কোন পোস্ট নেই। দুঃখজনক হলো, ওরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে।
এ্যান্ড সাম পিপল জেনিটিক্যালি কার্ভ, নো পাওয়ার টু মেক দেম স্ট্রেট।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৮:২৬ মিরাজ বলেছেন: মনিটর
গালাগালি বা অশ্লীল কথা বলতে হলে এই ব্লগে আসার দরকার নেই। আপনার মন্তব্য মুছে ফেলতে হল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১:১২ মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ সারওয়ার চৌধুরী আপনার মন্তব্যের জন্য।

অপ্রাসঙ্গিকভাবে মন্তব্য করা বা খিস্তি খেউড় করা কোন বীরত্বের ব্যাপার নয় যেটিকে অনেক মুল্য দিতে হবে। গালি দিতে সবাই জানে কিন্তু যুক্তির সাথে তর্ক করতে সবাই পারেনা।

যাই হোক আপনার ব্লগে দেখলাম আপনি চলে যেতে চাইছেন। পাওয়ার নাকি কিছু নেই। ভাই এত সহজে হাল ছেড়ে দিলে হবে?

আর নিজের স্বাধীন চিন্তা নিয়ে লিখবেন, সেখানে পাওয়া বা না পাওয়ার কি আছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৩৫ ডক্টরপিএমএসএস বলেছেন: আরে পুরানা পাপী রিউ পুরীষের গন্ধে এখানে এসে হাজির
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৬ এস্কিমো বলেছেন: আমি আপনার লেখা বুঝতে পারছিনা, সেই জন্যেইতো আপনাকে জিজ্ঞাআ করা। রেগে গেলে কেমনে হবে?

আপনি এই লেখায় প্রথম প‌্যারাটা ব্লগারদে নামে চালিয়ে দেবেন - আর সেটার কথা বলা যাবে না..এটা কোন বিবেচনা?

"ত্যানা প‌্যাচানো" কি ভদ্রলোকের ভাষা? @মিরাজ
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:১৪ মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
আপনাকে যে আমি বোঝাতে পারবোনা সেটা আগেই জানিয়েছি আর সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। বোঝার ইচ্ছে থাকলে অনেক আগেই বুঝতেন।

আর আমি কোন কথা ব্লগারদের নামে চালিয়ে দিচ্ছি না। ব্লগারদের মন্তব্যে আমার উপলদ্ধি নিয়ে লিখছি।
আর ভদ্রতার জ্ঞান দেবার জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:২২ ডক্টরপিএমএসএস বলেছেন: ভদ্রতার জ্ঞান দেবার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ রাত ৩:৫৮ ত্রিভুজ বলেছেন: গুড পোষ্ট.... +৫
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:৫৩ মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিভুজ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৬ মিরাজ বলেছেন: সবাইকে আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। সবশেষে একটি কথার পুনরাবৃত্তি করতে চাই

"আলজেরিয়া, সুদান, রুয়ান্ডা বা ইথিওপিয়াতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি। যদিও এসব দেশে ঘৃণ্যতম যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিচার হয়েছে ইউরোপে।"

এখন আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কাদেরকে উদাহরন হিসাবে বেছে নবো এবং আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কোনটা চাই বিচার না বিচার নিয়ে রাজনীতি।

Wednesday, January 16, 2008

টিকেট কেটে অমর একুশে বই মেলায় ঢুকতে হবে?

১২ বা ১৩ জানুয়ারি সকাল বেলা চ্যানেল আইতে একটা লাইভ অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানেই প্রথম জানলাম এবারের বই মেলায় ঢুকতে দর্শকদের টিকেট লাগবে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হক এবং ফরিদ আহমেদ। আশ্চর্যজনকভাবে এ দুজন প্রবেশমূল্য নিয়ে আলোচনার সময় বিন্দুমাত্র সমালোচনা করলেন না। সকাল বেলার অনুষ্ঠানে ফোন কম আসে। সে জন্যই হয়তো দর্শকরাও কোনো প্রতিবাদ বা প্রশ্ন করলেন না। আজ বিডি নিউজে খবর দিয়েছে, অমর একুশে বই মেলায় ঢুকতে প্রবেশ মূল্য লাগবে। অন্য পত্রিকা ও টিভিতে খবরটা প্রচার হলে হয়তো সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া জানা যাবে।

খবরটা প্রথম শোনার পর ভেতর থেকে একটা প্রতিবাদ টের পেলাম। একুশে বই মেলাকে যারা স্রেফ বই বিক্রির বাজার ভাবেন তারা নিশ্চিত ভুল করেন। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ সময়ের উৎসব। পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়ে এ উৎসবে ধর্ম-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশ নেন। উৎসবের কেন্দ্রে থাকে অবশ্যই বই। লোকে বই কেনে। বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। তরুণ-তরুণীরা নানা বর্ণে সেজে মেলায় ঘোরে। দিন যতই যাচ্ছে ততোই মেলাটি লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের একটা মিলন উৎসবে পরিণত হচ্ছে।

কিন্তু এ মেলা নিয়ে শাসকদের ষড়যন্ত্রের শেষ নেই। সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক এ আয়োজনকে ঠেকাতে তারা একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। সামরিক শাসকদের সময়ে এ বই মেলার স্থান পরিবর্তনের জোর প্রচেষ্টা হয়েছিল। এ মেলাকে ম্লান করতে ডিসেম্বরেই ঢাকা বই মেলা নামে আরেক বই মেলার আয়োজন শুরু হয়। কিন্তু মানুষকে টানতে পারেনি সে মেলা। মানুষ বাংলা একাডেমির বই মেলাতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করেছেন। ফলে, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও ডাকা বই মেলা এখন পর্যন্ত ব্যর্থই। বিভিন্ন সময়ে এ বই মেলায় বিদেশী বই ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় প্রকাশকরা অনেক তদবির করেছেন। কিন্তু লেখক-প্রকাশকদের প্রতিবাদের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এ মেলা বাংলাদেশের পাঠক-লেখক-প্রকাশকদের মেলা হিসেবেই টিকে আছে।

এবার মেলায় নতুন উবদ্রব হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রবেশ মূল্য। বাংলাদেশের মতো জায়গায় টিকেট কেটে বই মেলা করা কতটা যৌক্তিক সেটা নিশ্চয়ই ভাবা দরকার। এখানকার পাঠকরা বই কিনুক না কিনুক মেলায় আসুক এটাই সবার চাওয়া। বই দেখতে দেখতে একটা কিনলেই প্রকাশকদের লাভ। যত কম দামের হোক টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়ালে অনেকের আগ্রহই হারিয়ে যাবে। এমনিতেই প্রকাশকরা বলছিলেন, এ বছর বইয়ের বাজারে মন্দা যাবে। মন্দা অর্থনীতি বইয়ের বাজারেও ধস নামিয়েছে। ক্রেতাদের ক্রয়তালিকার মধ্যে বই নেই। এর মধ্যে যদি ভাসমান ক্রেতাদের টিকেট দিয়ে ঠেকানো হয় তবে বই মেলার সাফল্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে। মন্দা বইয়ের বাজার মাথায় রেখে এ বছর টিকেট চালুর সিদ্ধান্তকে স্রেফ বোকামি ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।

পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ চায় না, তাদের সর্বজনীন উৎসবের বাণিজ্যিকীকরণ না হোক। বই মেলার সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত। গত বছর বই মেলায় গ্রামীন ফোনের স্পন্সর করা ভাস্কর্য নিয়ে মৃদু তর্ক উঠেছিল। কিন্তু মেলার খরচের কথা ভেবে সবাই মোটামুটি নীরব থেকেছেন। সবাই হয়তো ভেবেছেন, কত কিছুর জন্যই তো তারা স্পন্সর করে মেলায় করলে ক্ষতি কী? এবারও বিভিন্ন জায়গায় তাদের পোস্টার দেখা যাবে না, সে খবর এখন পর্যন্ত আমাদের কানে আসেনি। এই স্পন্সর বাড়িয়েও মেলার খরচ মেটানো যেত। প্রকাশকরাও স্টলের বিনিময়ে বড় অংকের টাকা দেন। কিন্তু ঠুঁটো জগন্নাথ মেলা কর্তৃপক্ষ সামান্য ধূলাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। পাঠক-লেখকের বসার একটু জায়গাও বের করেত পারে না। অন্য বড় সমস্যার কথা আপাতত তোলাই থাকলো।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেছেন, তারা টিকেটের টাকা দিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার কাজ করবেন। আমাদের প্রশ্ন হলো, বাংলা একাডেমিকে কি সরকার বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করেছে? আর এখন তারা কি নিয়েই বা গবেষণা করছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রকল্পের টাকা এনে তারা কোথায় খরচ করলেন? এখন পর্যন্ত একটা বইও কেন বের হলো না? মজার ব্যাপার হলো, একাডেমির জন্য সরকারি বরাদ্দ পুরেটাই অপব্যবহার করে একাডেমি। কোনো জবাবদিহিতার ধার তারা ধারে না। গত কয়েক বছরে তাদের গবেষণা ও প্রকাশনার কোঠা মোটমুটি শূন্য। বর্তমান নীতি ধরে রাখলে আগামীতে দরকারি কোনো গবেষণা প্রকাশিত হবে কি না সন্দেহ। অথচ তারা এখন জনগণের কাছ থেকে গবেষণার টাকা চায়।

বাংলা একাডেমি বছরে এখন একটাই কাজ করে। ফেব্রুয়ারির বই মেলা। সেটাও যেনতেন প্রকারে সেরে সারা বছর বসে থাকে বিপুল সংখ্যক লোকবল নিয়ে। প্রশ্ন হলো, বাংলা একাডেমির জবাবদিহিতা কোথায়? সেখানে গেলে বছরের অন্য সময় লেখক-পাঠকদের দেখাও মেলে না। লেখক-পাঠকদের আকৃষ্ট করার কোনো উদ্যোগও তাদের নেই। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটিই নাকি জাতির মননের প্রতীক।
বাংলা একাডেমি বই মেলায় প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক বা তারও বেশি লেখক-সাংবাদিক-প্রকাশক-প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট মানুষ যায়। প্রশ্ন হলো, এই লোকগুলো কি প্রতিদিন টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়াবে? প্রতিদিন শাহবাগ বা দোয়েল চত্ত্বর থেকে পাঠকরা টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়াবেন? এত লোকের টিকেট বিক্রি করবে কে?

মেলা জমে উঠলে যেখানে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পা ফেলা যায় না। সেখানে এই হাজার হাজার মানুষের কাছে টিকেট কে বেচবে, কিভাবে বেচবে?

সবকিছু বিবেচনায়, আমার মনে হচ্ছে অমর একুশে বই মেলায় টিকেট চালু করার সিদ্ধান্তটি বাতিল করা উচিত। এই মেলা পাঠকদের জন্য বই কেনার অনুশীলন কেন্দ্র হিসেবে থাকুক। তাতেও যে ব্যবসা কম হয়েছে তা কিন্তু নয়। টিকেট ছাড়া মেলা করে গত তিন দশকে কোন মেলাটা ব্যর্থ হয়েছে? কোন মেলায় একাডেমি কর্তৃপক্ষ বা প্রকাশকদের পকেটে কম টাকা ঢুকেছে?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৩ এম.এ.হামিদ বলেছেন: চমতকার লেখা
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
লেখক বলেছেন: চমৎকারের কী দেখলেন, বুঝলাম না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৭ এস্কিমো বলেছেন: খবরটা শুনে খুবই ভাল লাগলো।
ফ্রী কোন জিনিসই ভাল না। ফ্রী সার্ভিস সব সময়ই লো কোয়ালিটি হয় আর জবাবদীহিতা থাকেনা। পুঁজির বিকাশে সবাইকে সহায়তা করা দরকার।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪০
লেখক বলেছেন: আপনার জ্ঞানগর্ভ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। এখন বলেন, টিকেট চালু করলে কেমনে পুঁজির বিকাশ হবে? আপনার মা তো আপনাকে ফ্রি জন্ম দিছে, আপনি কি তাতে লো কোয়ালিটির হইছেন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪০ অপু বলেছেন: কি বলেন এইসব?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪১
লেখক বলেছেন: আপনের কথা বুঝি নাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪২ মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: খুবই ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন,এ বিষয়টিতো জানতাম না!খুবই খারাপ হবে বিষয়টি।স্পন্সরশিপ বিষয়ে একমত।আমার ধারণা টিকেটের কারণে পাঠক ও দর্শক আগ্রহ হারাবে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
লেখক বলেছেন: থ্যাংকস। সহমত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৪ এম.এ.হামিদ বলেছেন: মাহবুব মিয়া এস্কিমোর যেটা কইলেন সেটা কি শালীন। একটা অনুষ্ঠানের প্রয়োজন পয়সার আর সেটা নিয়া এস্কিমো ভাবে সেটা ব্যভারকারী দেক। অর্থাত যারা বইমেলায় যাবে। বাংলা একাডেমী দিলে তো সেটা সরকার থেকে আসবে, আর সরকার তো টাকাটা কর থেকে দিবে, করটা আসবে সব মানুষের থেকে। কলিমুদ্দি চাষা কেন আমার বই ভালোবাসার জন্য পয়সা দিবো
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
লেখক বলেছেন: অশালীন কী দেখলেন?
আর আপনেই কি এস্কিমো? এস্কিমো না হইলে কথা বইলেন না। জ্ঞানী ব্যক্তির সঙ্গে আলাপে আমি মজা পাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৪ হট্টগোল বলেছেন:

বাহ। খুব সুন্দর, চমৎকার পোস্ট।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৮
লেখক বলেছেন: ভাল বলছেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৬ মদনবাবু বলেছেন:
জংগিবাদ ঠেকাতে নিরাপত্তার খরচ বোধহয় বেশী লাগতেছে । তাই এমন টিকিট সিস্টেম । আর দুইটা টাকা কি খুব বেশী আজকাল? ফকিররাও তো নিতে চায় না দুইটাকা ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৮
লেখক বলেছেন: আপনের যুক্তিও তো দেখি খাসা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৭ এস্কিমো বলেছেন: আপনার মা তো আপনাকে ফ্রি জন্ম দিছে, আপনি কি তাতে লো কোয়ালিটির হইছেন?


- আমি সত্যই দু:খিত এই রকমের একটা কমেন্ট আপনার কাছ থেকে পাবো। একজন শিক্ষতি মানুষ তার কথা বলার জন্যে "মা" ছাড়াও আরো অনেক প্রসংগ আনতে পারে। বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলবেন - আমার মা নিয়ে আমাকে আক্রমনটা কেন করলেন?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০
লেখক বলেছেন: আপনের কাছ থেকেও ফ্রি নিয়া ওই রকম কমেন্ট আমি আশা করি নাই। আপনে জ্ঞানী ব্যক্তি। আপনেরে দেখাইলাম। পৃথিবীর সবচেয়ে দরকারি কাজটা ফ্রি হয়। আপনে দুঃখ পাইলেন কেন? মায়ের কাছে ঋণ স্বীকার করুন। ফ্রি কিছু করার চেষ্টা করুন। ফ্রি কিছু পাওয়ার চেষ্টা করুন। পুঁজির বিকাশই শেষ কথা নয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৯ স্নোবল বলেছেন: সুশীল সমাজের চেহারা ধরা পড়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১
লেখক বলেছেন: তাই তো মনে হচ্ছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৯ এস্কিমো বলেছেন: শিক্ষতি = শিক্ষিত
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫১
লেখক বলেছেন: হ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০ অমিত বলেছেন: আপনার মা তো আপনাকে ফ্রি জন্ম দিছে, আপনি কি তাতে লো কোয়ালিটির হইছেন?

এই ধরণের আক্রমণাত্মক অশ্লীল কমেন্টের কি অর্থ ?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫২
লেখক বলেছেন: ব্যাখ্যা করেন এইটা কেন অশ্লীল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৭ এস্কিমো বলেছেন: ১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫০
লেখক বলেছেন: আপনের কাছ থেকেও ফ্রি নিয়া ওই রকম কমেন্ট আমি আশা করি নাই। আপনে জ্ঞানী ব্যক্তি। আপনেরে দেখাইলাম। পৃথিবীর সবচেয়ে দরকারি কাজটা ফ্রি হয়। আপনে দুঃখ পাইলেন কেন? মায়ের কাছে ঋণ স্বীকার করুন। ফ্রি কিছু করার চেষ্টা করুন। ফ্রি কিছু পাওয়ার চেষ্টা করুন। পুঁজির বিকাশই শেষ কথা নয়।


- তাইলে ফ্রি নিয়া কমেন্ট করার অপরাধে আপনে আমাকে মা নিয়ে আক্রমন করেছেন। আপনি একটা পোস্ট দিয়েছে অপেন স্পেসে। এখানে আমি আমার মতামত দিয়েছি। আমি কোন কিছুই ফ্রিতে বিশ্বাসী না। সেটা কি আমার অপরাধ? আপনি আমার মাকে নিয়ে আক্রমনটার মাধ্যমে কি বুঝাতে চাইলেন সেটা বুঝার ক্ষমতা আশা করি আমাদের সবার আছে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৩
লেখক বলেছেন: মহান এস্কিমো,
প্রথমত আপনি অপ্রাসঙ্গিকভাবে কমেন্ট করেছেন। আপনি আমার পোস্ট পড়েননি। পুঁজির বিকাশ নিয়ে যা বলছেন তা নিয়া হংস করা সম্ভব। পরন্তু ফ্রির বিপক্ষে এমনভাবে দাঁড়াইছেন যেন সেইটা একটা সর্বজনীন ব্যাপার! শোনেন, এই সব ছাড়েন। মুক্তির আনন্দ করেন, ভাল কথা। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে কমেন্ট করবেন না।
মা সন্তানকে জন্ম দেয়, বড় করে তোলে এবং এর বিনিময়ে কিছুই নেয় না। এইটা দুনিয়ায় ফ্রির সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আপনে যুক্তিতে না পাইরা এইটা মানতে না পারলে তো হবে না। মাইনা নেন। এতে আপনার জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮ মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা দেখে খুব ভাল লাগছে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৮ হট্টগোল বলেছেন:

ফ্রি নিয়া এই ট্রেড দুনিয়ায় বহুত কিছুই হয়। একটা তো প্রবাদই আছে যে নাথিং ইজ ফ্রি ইন দিস ওয়াল্র্ড। যদিও আমি চাই বইমেলা ফ্রি থাকুক।

কিন্তু মাহবুব মোর্শদের মতো ফালতু সুশীলা ফ্রি জিনিসটার সঙ্গে 'মা'রে টাইনা আনল কোন হিসেবে।

মনে হয় থাবড় মাইরা হালার দাঁত ফালাইয়া দিই।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৪
লেখক বলেছেন: আইসেন একদিন। আমার একটা দাঁত ফেলানো দরকার।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৫৯ এম.এ.হামিদ বলেছেন: হ্যার মার লগে আলোচনার লিনক কি? হে তো হ্যার মারে আনে নাই। বইমেলার মা নাই। আপনে আবার একানে অন্য কথা টানেন কেন?

এস্কিমোর মার লগে আপনার আলোচনার লিনক কি?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৫
লেখক বলেছেন: পোস্ট পড়েন বুঝবেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০০ . . . এখনো খুঁজি বলেছেন: .

@ মাহবুব মোর্শেদ

এক্সিমোকে আপনি যা বলেছেন , তা আপনার মতো "জ্ঞানী ব্যক্তি" - এর কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল না । ( আমি ধরে নিয়েছি যে আপনি "জ্ঞানী ব্যক্তি"। কারণ আপনি বলেছেন - " জ্ঞানী ব্যক্তির সঙ্গে আলাপে আমি মজা পাই। নিশ্চয় আপনি নিজেও জ্ঞানী ব্যক্তি । "
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৫
লেখক বলেছেন: আপনার যুক্তিবোধ প্রখর।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০০ হট্টগোল বলেছেন:

আমি যদি চাই যে বইমেলা ফ্রি না থাকুক টিকেটের বিনিময়ে প্রবেশাধিকার থাকুক, তাইলে কি আপনে আমার মা-কে নিয়েও টানাটানি করবেন?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৭
লেখক বলেছেন: টানাটানি মানে কী? একটু সাবধানে কমেন্ট কইরেন ভাইজান।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০২ আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
অসাধারণ পোস্ট। বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের ইতিহাসে এই ধরনের পোস্ট এর আগে কখনোই কেউ লিখতে পারে নাই।

শীগগিরই স্টিকি করার অনুরোধ জানাই।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৭
লেখক বলেছেন: আপনে একটা লেখছেন এর বাইরে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৪ মিরাজ বলেছেন: টিকিট কেটে বইমেলায় ঢোকার ধারণা যার মাথা থেকেই বেরোক এটা পরিবর্তন করা দরকার । বইমেলার সার্বজনীননতার স্বার্থেই এটা দরকার ।

বইমেলার প্রাণ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদর নিয়মিত আড্ডা আর নতুন বই এর খোজে মেলা খুজে বেড়ানো । মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ক্লাস শেষে বা ক্লাসের ফাকে চলে যেতাম বই মেলায় । টিকিট প্রথা করা হলে এইসব স্বতস্ফূর্ততায় ভাটা পড়বে ।


১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৮
লেখক বলেছেন: থ্যাঙকস মিরাজ ভাই।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৫ . . . এখনো খুঁজি বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে, টিকেটের দাম যদি ২ টাকা হয় (মদনবাবু বলেছেন ) তাহলে সেটা ফ্রি'র-ই নামান্তর ।

অবশ্য-ই একাডেমীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৯
লেখক বলেছেন: দুই টাকা এখনও অনেকের কাছে টাকা ভাইটি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৬ এম.এ.হামিদ বলেছেন: তো সারোগেট মাদারের গর্ভে হইলে কোয়ালিটি খারাপ হয়। কে জানি কইসিল

কুপুত্র যদিও হয় কুমাতা কখনো নয়

এস্কিমোর মার সাথে কোন লাইন গুলার লিনক দয়া কইরা দেখান নাইলে মাফ চান
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১০
লেখক বলেছেন: এইগুলা কী বলেন?


১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৭ জেনারেল বলেছেন: মামো দেখি এখন ত্রিভুজের রোল প্লে করতাছে,
পুষ্ট পড়েন বুঝবেন, আপনার এই বিষয়ে আরও পড়ালেখা করা দরকার ইত্যাদী।

যাই হোক,
পোষ্ট ভাল হইছে
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৮ হট্টগোল বলেছেন:

মিরাজ @ এস্কিমোর মা-কে নিয়ে মুর্শেদের কমেন্টে আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৮ অমিত বলেছেন: শ্লীল অশ্লীল বিষয়টা সম্পূর্ণ নির্ভর করে নর্মের উপর। আপনি কি পরিবেশে অথবা কি ধরণের শিক্ষা পেয়ে মানসিক ভাবে বিকাশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন সেটা বলতে পারব না, তবে বাংলাদেশের আর দশটা সাধারণ মানুষেরটা বলতে পারি। সেখানে সাধারণত ভদ্রভাবে কোনও তর্কে অথবা কনভারসেশনে মা-বাবার যৌনসম্পর্ক অথবা মা দ্বারা সন্তানের জন্ম প্রক্রিয়ার সংগে তুলনা দিয়ে কিছু বলা ভদ্রতা বহির্ভূত শিষ্টাচার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আবারও বলছি, এইটা নির্ভর করে মানুষ যে পরিবেশে মানুষ হয়েছে সেটার উপর।এটাকে আমি খারাপ বলে ট্যাগিং করতে দ্বিধাবোধ করি। আমি আমার বাবার মুখে স্টুপিড/ ইডিয়ট ছাড়া অন্য কিছু শুনলে অবাক হবে, সেখানে হয়ত কেউ কেউ দিন শুরু করে খান.ির পোলা শুনে। যেখানে কারও কারও রাজাকার/ জামাত দেখলে শু.োরের বাচ্চা বলাটা স্বাভাকিক প্রতিক্রিয়া, সেখানে কারও কারও কাছে সেটা হয়ে যায় অশ্লীল, গালিবাজ।সুশীল লোকজন তখন সুর তোলে সুস্থ বিতর্কের !!
তর্কই যদি করতে হয়, তাহলে কি মা দ্বারা সন্তানের জন্মপ্রক্রিয়ার সংগে টিকেট কেটে মেলায় ঢোকার তুলনা করাটাকে কি সুস্থ্য বিতর্ক বলা যায় ?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:০৮ হমপগ্র বলেছেন: @এম.এ.হামিদ

আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ। এদের কিছু বলে লাভ নাই। সুশীল তো।

আর মাহবুব মোর্শেদ,
আপনার কমেন্টটে আমিও কষ্ট পাইছি। এখানে এরকম উত্তর দিয়ে প্রতিহিংসা পরায়নতার পরিচয় দিলেন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১০ . . . এখনো খুঁজি বলেছেন: .
@ এক্সিমো

ফ্রি সবসময় খারাপ হয়না ভাইয়া। ফ্রি ওপেন সোর্স অনেক ভাল
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১২ জেনারেল বলেছেন: মিরাজ সাহেব,
এস্কিমোর মা'কে নিয়া কমেন্ট সম্পর্কে কিছূ বলুন?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৩ অমিত বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা দেখে খুব ভাল লাগছে।

ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা মানে কি ?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪ মদনবাবু বলেছেন: মিরাজভাই কয় বৎসর হলো বইমেলাতে যান না?

এই কয়েক বছরে যেভাবে মানুষকে লাইন ধরে টিএসসি থেকে কয়েক বার পেচিয়ে মেলাতে শুধুমাত্র একটা গেট দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে কই তাতে কি মেলার আকর্ষন কমছে ?

যার যাবার সে শত ঝামেলাতেও যাবে । ব্যপারস্‌ না ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪ সুশীল সমাজ বলেছেন: পোস্টটি ৩ জনের ভাল লেগেছে, ১৩ জনের ভাল লাগেনি
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৫ এম.এ.হামিদ বলেছেন: এস্কিমোর মার সাথে কোন লাইন গুলার লিনক দয়া কইরা দেখান নাইলে মাফ চান
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৫ স্নোবল বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ সাহেব পোস্ট দিলেই দেখি হিট...একঘন্টায় ৬০/৭০ টা কমেন্ট পড়ে। এনিওয়ে, মিরাজ সাহেব কি বলেন ওই কমেন্টটার ব্যাপারে? মিরাজ সাহেব কলম বিরতির সময় মাহবুব মোর্শেদের একনিষ্ঠ সাপোর্ট পেয়ে আসছেন, এবং সাপোর্ট দিয়ে আসছেন। যতদুর মনে পড়ে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৬ সুশীল সমাজ বলেছেন: মা, মু এর চাকা পাংচার হয়ে গেছে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৭ হট্টগোল বলেছেন:

মিরাজ সাহেব,
এস্কিমোর মা'কে নিয়া কমেন্ট সম্পর্কে কিছূ বলুন?

পিছলান কেন? একটাই তো প্রশ্ন করছি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৮ এস্কিমো বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ:

আপনার কথা দিয়েই বলি"

"প্রথমত আপনি অপ্রাসঙ্গিকভাবে কমেন্ট করেছেন। আপনি আমার পোস্ট পড়েননি। পুঁজির বিকাশ নিয়ে যা বলছেন তা নিয়া হংস করা সম্ভব। পরন্তু ফ্রির বিপক্ষে এমনভাবে দাঁড়াইছেন যেন সেইটা একটা সর্বজনীন ব্যাপার! শোনেন, এই সব ছাড়েন। মুক্তির আনন্দ করেন, ভাল কথা। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে কমেন্ট করবেন না।
মা সন্তানকে জন্ম দেয়, বড় করে তোলে এবং এর বিনিময়ে কিছুই নেয় না। এইটা দুনিয়ায় ফ্রির সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আপনে যুক্তিতে না পাইরা এইটা মানতে না পারলে তো হবে না। মাইনা নেন। এতে আপনার জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হবে।"


আপনি ধরে নিচ্ছেন আপনার পোস্টে আমি অপ্রাসংগিক মন্তব্য করেছি। আপনার কাছে যা প্রাসংগিক সেটা হয়তো অন্যের কাছে অপ্রসাংগিক মনে হবে। সেটাইতো বিতর্ক।


আপনি অপ্রসাংগিক মন্তব্যের শাস্তি হিসাবে আমার মাকে টেনে এনে একটা অত্যন্ত নীচ আক্রমন করেছেন। আপনি ভাল করেই জানেন - আমি আর আপনি একই দেশের মানুস হিসাবে জানি - মা নিয়ে মন্তব্য করা কতটা হীন।


ব্লগে এসে প্রচুর গালি শুনি। সবগুলোই আসে একটা বিশেষ ধরনের ব্লগারদের কাছ থেকে । কিন্তু জামাত/শিবিরের সমর্থকরাও এতো নোংরা আক্রমন করেনি কখনও।


আমি পোস্টের বিষয়ে মন্তব্য করলেও আপনি সেটাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন। আপনারই বলতে পারবেন বিতর্কের সময় মাকে নিয় আক্রমন কোন স্থরে সভ্যতার প্রতিফলন।


যাই হোক। আপনিই ভাল জানেন কেন আমাকে এতো নোংরা ভাবে আক্রমন করে সেটা "মাইনা" নিতে বলছেন। আমি জানি না মাকে বিতর্কের কেন্দ্রে এনে কোন ধরনের "জ্ঞান" বাড়বে। তবে জ্ঞান একটা হয়েছ। সেটা আপনিও জানেন - কি জ্ঞান আমাকে দিলেন।


যদি কখনও বুঝতে পারেন কোন নোংরা পথে আমাকে আক্রমনটা করেছেন - এক মুহূর্তের জন্যে হলেও নিজের কাছে দু:খিত হবেন - এটাই আশা করি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২০ মিরাজ বলেছেন: মাহবুব ভাই ফ্রি এর তুলনা হিসাবে মায়ের সন্তান জন্ম দেয়ার যে উদাহরণ দিয়েছেন তা কেন দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা উনি দিয়েছেন । আমার দৃষ্টিতে তার ব্যাখ্যা যথেষ্টই সন্তোষজনক।

তবে এটা নিশ্চিতভাবেই ফ্রি কোন কিছু বোঝাবার জন্য খুব আদর্শ উদাহরণ নয় বিশেষ করে 'মা' এর ব্যাপারটা যেহেতু সেনসিটিভ এবং চাইলে এই ধরনের একটা কমেন্টকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। আমার মতে এই ধরণের উদাহরণ না দেওয়াই উচিত।

তবে সেই কমেন্টের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেবার পরেও আপনারা যা করছেন তাকেও সাধুবাদ জানাতে পারছিনা । মন্তব্যটি অনভিপ্রেত হতে পারে কিন্তু এটি অশ্লীল নয়, এটাকে অশ্লীলতার সাথে ইচ্ছা করে গুলিয়ে ফেলার অর্থ হয়না ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২০ . . . এখনো খুঁজি বলেছেন: ।

@ মাহবুব মোর্শেদ

যাকে বা যাদের আপনি বকা ঝকা করতে চান, তাদের বলার মত অনেক কিছু-ই আছে । যদ্দুর মনে পড়ে এর আগে আপনি "ভার্চুয়াল গুন্ডা" ব্যবহার করেছেন ।

প্লিজ, কাঊকে তিরষ্কার করার জন্য এমন কিছু ব্যবহার করেন না যাতে "মুক্তিযোদ্ধা" শব্দটা আছে ।

ঋণাত্মক কোন অর্থে "মুক্তিযোদ্ধা" শব্দটাকে মানায় না ।

...........................................................

ঠিক আছে, মেলা ফ্রি থাকলেও ভাল। দুটো ব্যপার-ই আমার কাছে প্রায় সমান ।

তবে হয়তো আপনার কথা-ই ঠিক "দুই টাকা এখনও অনেকের কাছে টাকা" ।


১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২২ মদনবাবু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: দুই টাকা এখনও অনেকের কাছে টাকা ভাইটি।

ঠিক বলেছেন । একটা বেনসন সিগারেট দুইবার টানার মত কষ্টকর ব্যপার আর হয় না । হা হা হা ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৩ মনিটর বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারের ইতিহাসে এই ধরনের পোস্ট এর আগে কখনোই কেউ লিখতে পারে নাই।

কাগজ সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলা সাহিত্যের শুন্য দশকের সাহিত্য সমপাদকের মুখে এ কি কথা? শফিক রেহমান ভাল ট্রেনিং দেয়াইছে।

এই না হৈলে সুশীলের জোব্বা স্খলন? আজ আরও এক সুশীল জোব্বা খুলছে।

আপনাকে ওভিনন্ধন মাহবুব মোরশেদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৪ হট্টগোল বলেছেন:

মিরাজ @ মন্তব্যটি অনভিপ্রেত এইটা তো মাহবুব মুর্শেদ বলছে না। আপনি বুঝছেন কি করে।

আপনি আরো সোজা করে উত্তর দেন। ফ্রি বিষয়ে এস্কিমোর তর্কের সঙ্গে তার মা-কে জড়ানো কোন ধরনের চিন্তাভাবনা।

আপনি যদি এটাকে সমর্থন করে তাহলে ভবিষ্যতে কোন তর্কের খাতিরে আমি যদি আপনাকে মা-কে টেনে আনি, আপনি সমর্থন দেবেন তো?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫ এম.এ.হামিদ বলেছেন: মীরাজ ভাই এর যু্ক্তি তর্ক বড় ভালা
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫ হাসিব বলেছেন:

মিরাজরে দেখে আমি ঢাবির ভবিষ্যত নিয়া চিন্তিত ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫ হমপগ্র বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা দেখে খুব ভাল লাগছে।

"আপনার সমস্যা কী? কর্তৃপক্ষের তোষণ করে লাভ হয় নাই তাই"? কি হইছি কী আপনার?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৬ স্নোবল বলেছেন: মিরাজ বলেছেন: মাহবুব ভাই ফ্রি এর তুলনা হিসাবে মায়ের সন্তান জন্ম দেয়ার যে উদাহরণ দিয়েছেন তা কেন দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা উনি দিয়েছেন । আমার দৃষ্টিতে তার ব্যাখ্যা যথেষ্টই সন্তোষজনক।
---------------------------------------------------------------------------
মিরাজ সাহেব, আপনার সম্পর্কে আমার একটা ধোঁয়াটে ভাব ছিল। ঠিক বুঝতাম না আপনি কি খুবি নম্র ভালো মানুষ, নাকি বেশ কিছু ব্যাপারে যথেষ্ঠ হিপোক্রিট। এই কমেন্টের পর আপনার সম্পর্কে আমার কনফিউশন দূর হয়ে গেলে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৭ মুকুল বলেছেন: এস্কিমোর প্রতি "মা" নিয়ে এ ধরনের নোংরা উক্তির তীব্র প্রতিবাদ করছি।

আশা করি আপনি দূঃখপ্রকাশ করবেন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩০ হট্টগোল বলেছেন:

দুঃখপ্রকাশ মিরাজকেও করতে হবে।

দালালির একটা সীমা থাকা দরকার।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩১ নরাধম বলেছেন: মিরাজভাই, আপনার যুক্তির বলিহারি। আপনাকে নিয়ে খুবই হতাশ হলাম। আপনি যে গালি নিয়ে এত পোস্ট দিলেন তাদের গালি এর থেকে অনেক কম অশ্লীল। I am very very disappointed with you আপনার অনুরোধে গালিবাজি কমানোর চিন্তা করেছিলাম, কিন্তু এই যদি হয় সুশীলদের অবস্থা, তাহলে সুশীলদের মুখে থু। গালিবাজ থাকতে চাই। গালিবাজি করলেও কোনদিন মা নিয়ে কথা বলিনি এভাবে। আমি জানি এস্কিমোর প্রতি আপনি একটু রুষ্ট আছেন এবং তার যৌক্তিকতাও আছে। কিন্তু তাই বলে এরকম অশ্লীল এক কমেন্টকে আপনি সমর্থন করে গেলেন? I can't express how bad I feel now.
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩২ সু-শান্ত বলেছেন: এস্কিমোর প্রতি "মা" নিয়ে এ ধরনের নোংরা উক্তির তীব্র প্রতিবাদ করছি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩২ এস্কিমো বলেছেন: মিরাজ বলেছেন: মাহবুব ভাই ফ্রি এর তুলনা হিসাবে মায়ের সন্তান জন্ম দেয়ার যে উদাহরণ দিয়েছেন তা কেন দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা উনি দিয়েছেন । আমার দৃষ্টিতে তার ব্যাখ্যা যথেষ্টই সন্তোষজনক।


মিরাজ - আপনিও? ছিঃ

আপনার সাথে আমার অনেক মতের অমিল হয়। তা বলে এখানেও ....ছিঃ
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৩ হাসিব বলেছেন:

অপ্রাসঙ্গিকভাবে এস্কিমোর মাকে টেনে এনে নোংরা উক্তি করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি । এইসাথে মিরাজের নির্লজ্জ সমর্থনকেও ঘৃনা জানালাম ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৪ মিরাজ বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন : মা সন্তানকে জন্ম দেয়, বড় করে তোলে এবং এর বিনিময়ে কিছুই নেয় না। এইটা দুনিয়ায় ফ্রির সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
--------------------------------------------------------------------------------
মিরাজ বলেছেন : মাহবুব ভাই ফ্রি এর তুলনা হিসাবে মায়ের সন্তান জন্ম দেয়ার যে উদাহরণ দিয়েছেন তা কেন দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা উনি দিয়েছেন । আমার দৃষ্টিতে তার ব্যাখ্যা যথেষ্টই সন্তোষজনক।
------------------------------------------------------------------------------

মিরাজ আরো বলেছেন : তবে এটা নিশ্চিতভাবেই ফ্রি কোন কিছু বোঝাবার জন্য খুব আদর্শ উদাহরণ নয় বিশেষ করে 'মা' এর ব্যাপারটা যেহেতু সেনসিটিভ এবং চাইলে এই ধরনের একটা কমেন্টকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। আমার মতে এই ধরণের উদাহরণ না দেওয়াই উচিত।

তবে সেই কমেন্টের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেবার পরেও আপনারা যা করছেন তাকেও সাধুবাদ জানাতে পারছিনা । মন্তব্যটি অনভিপ্রেত হতে পারে কিন্তু এটি অশ্লীল নয়, এটাকে অশ্লীলতার সাথে ইচ্ছা করে গুলিয়ে ফেলার অর্থ হয়না ।

---------------------------------
স্নোবল খন্ডিত কমেন্ট দিবেননা । অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়েও খারাপ । আর আমাকে নিয়ে আপনার কনফিউশন দুর হওয়াতে খুশী হলাম ।


বাদবাকীদের বলছি (যারা মিরাজকে প্রশ্ন করছেন) : মিরাজ তার মত তার চিন্তভাবনা অনুযায়ী বলে এবং সত্য কথা বলতে ভয় পায় না।

এখানে যা বলার আমি বলেছি এবং এর বাইরে আর কোন কথা বলাটা আমি প্রয়োজন মনে করিনা ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৪ জেনারেল বলেছেন: মিরাজ @ মন্তব্যটি অনভিপ্রেত এইটা তো মাহবুব মুর্শেদ বলছে না। আপনি বুঝছেন কি করে।

আপনি আরো সোজা করে উত্তর দেন। ফ্রি বিষয়ে এস্কিমোর তর্কের সঙ্গে তার মা-কে জড়ানো কোন ধরনের চিন্তাভাবনা।

আপনি যদি এটাকে সমর্থন করে তাহলে ভবিষ্যতে কোন তর্কের খাতিরে আমি যদি আপনাকে মা-কে টেনে আনি, আপনি সমর্থন দেবেন তো?


১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৪ অপু বলেছেন: এইনা হেল সুশিল? মাশাল্লাহ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৪ মুকুল বলেছেন: মিরাজ ভাই, আপনার গালির বিপক্ষে অবস্থান যদি এই হয়, তাহলে আপনাকে বড় একটা "না বললাম।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৫ মিরাজ বলেছেন: @ জেনারেল, আমি মন্তব্যের ব্যাপারে আমার অবস্থান আগেও বলেছি ।

তবে এটা নিশ্চিতভাবেই ফ্রি কোন কিছু বোঝাবার জন্য খুব আদর্শ উদাহরণ নয় বিশেষ করে 'মা' এর ব্যাপারটা যেহেতু সেনসিটিভ এবং চাইলে এই ধরনের একটা কমেন্টকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। আমার মতে এই ধরণের উদাহরণ না দেওয়াই উচিত।

আর মন্তব্যটি আমার কাছে অনভিপ্রেত । মাহবুব ভাই এর অবস্থান তার কাছ থেকেই জানুন ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৮ বহুরূপী মহাজন বলেছেন: ছিঃ.................! থুহ........ !!!

সুশীল....!!!!!!!!!!!!............স্টিকি = স্টিংকি ব্লগার
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫০ গুড ফর নাথিং বলেছেন: মাইনাস । "মা" নিয়ে এমন কথা বলার জন্য উনার এই পোস্টটাকে স্টিকি করা হোক । ভন্ডদের মুখোখ উম্মোচন হচ্ছে ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৩ হট্টগোল বলেছেন:

মিরাজ @ মন্তব্যটি অনভিপ্রেত হতে পারে কিন্তু এটি অশ্লীল নয়
---------------------
কেমনে না। ফ্রি বিষয়ক তর্কে মা সংক্রান্ত বিষয়টা মাথায় কেমনে আসে। অশ্লীলতা মাথায় খেললেই তবে এরকম কমেন্ট করা যায়। আর আপনি তারে সাপোর্ট দিতাছেন। ডাইরেক্টলি কইতে পারলেন না যে, মামো তোমার এই তুলনা আমার খারাপ লাগছে।''

জামাতীগো মতো প‌্যাচাইলেন। দয়া কইরা আপনে শিক্ষকতা ছাইড়া দেন। অনেকগুলা পোলাপান নষ্ট হইয়া যাইব।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৪ সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:

পুঁজির বিকাশের পেছনে ছুটছে সবাই। বইমেলা আর এ থেকে বাদ পড়বে কেন?
মনন মেধা চর্চায় এখন মেকিত্ব বেশি। বৈষয়িকতা খেয়ে ফেলছে সব কিছু। টিকিট সিস্টেম করলে বই বিক্রিও কম হবে।
ভলো পোস্ট। জানা হলো অনেক কিছু।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৫ মনিটর বলেছেন: ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান স্যারের টেবিল মুছে, স্যারের বৌয়ের বাজার করে দিয়ে, স্যারের ছেলেকে পিঠে তুলে গরু-গাধা খেলে যারা টিচার হয় তাদের মেরুদন্ড কিংবা নৈতিক অবস্থান বলে কিছু থাকে না। এরা বরাবরই সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী, চতুর হয়।

মিরাজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পোস্ট দেয়, কিন্তু ওর স্পষ্ট কোন অবস্থান নাই। সে ব্লগের ছুপা রাজাকারদের প্রশ্রয় দেয়, লালন করে।

আর এখানে যেইটা হৈছে - তা হৈল সে মাঝামাঝি পথ নিতে গেছে। কারো মা'কে কিভাবে সম্মান করে কথা বলতে হয় সেই বিবেচনা বোধ তার নাই। তার প্রিয় মাহবুব ভাইয়ের মন রক্ষা করতে হবে। তাই ডাইনে বামে দিকেই গেছে।

মিরাজের মতো দুমুখো সুশীলের জন্য করুণা।


১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:১৭ এস্কিমো বলেছেন: সারোয়ার,

ঠিক আছে। এর চাইতে বশী কিছু আশা করিনি।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৬ রাশেদ বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিকভাবে এস্কিমোর মাকে টেনে এনে নোংরা উক্তি করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি । এইসাথে মিরাজের নির্লজ্জ সমর্থনকেও ঘৃনা জানালাম।

সুশীলদের মাথা গরম হয়ে গেছে, কান লাল হয়ে আছে লজ্জার চোটে, স্টিকি বল্গার এর দাম না থাকায় আর আরেকজন স্টিকি বল্গার হবার খায়েসে প[নি পইড়া গেছে যে তাই!!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৬ কালপুরুষ বলেছেন: মা. মোর্শেদ,

আপনার পোষ্ট পড়লাম সাথে এই পোষ্টের মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্য। আমি তর্ক বা বিতর্কে যেতে চাইনা। তবে ব্লগার "এস্কিমো"-র মন্তব্যের বিপরীতে তাকে পাল্টা যে মন্তব্যটি করেছেন তা আমার কাছে মোটেও শোভন মনে হয়নি বরং তা তাকে হেয় বা লাঞ্ছিত করার জন্যই করেছেন বলে অনুমেয়। পৃথিবীর কোন সার্ভিসই ফ্রী নয়, ফ্রী হওয়া ভাল নয়- এমন যুক্তির কাছে মায়ের সন্তান উৎপাদন ও লালনের তুলনা করা নিতান্তই অমূলক। একজন বন্ধ্যা নারীর মনের কষ্ট জানলে বুঝতেন, একজন সন্তানহীন দম্পতির সন্তান পাবার আকুলতা এবং তার পেছনে পীর-ফকির-আউলিয়া-দরবেশ থেকে শুরু করে কত ডাক্তার-কবিরাজ-হেকিম-বৈদ্য এমন কী "টেষ্ট-টিউব বেবী" পর্যন্ত নেবার চেষ্টা করে যায় এবং তা করতে অনেক খরচ হয়। সুতরাং সন্তান উৎপাদনে ফ্রী সার্ভিস বলে কিছু নেই। আর মায়ের আদর যত্ন ভালবাসাকে ফ্রী সার্ভিস বলছেন? কোন ভিত্তিতে? একজন মায়ের কাছে সন্তানের "মা" ডাক কোটি টাকার চেয়েও মূল্যবান। আপনার মাকে যদি রাস্তার কোন ছেলে "মা" বলে ডাকে তবে সহানুভূতি হবে হয়তো- কিন্তু আপনাকে যেমন আদর-যত্ন করে মানুষ করেছেন তেমনটা করবেন কী? তাহলে সার্ভিস ফ্রী হলো কোথা থেকে? পৃথিবীর সবচাই মূল্যবান যে সম্পদ তা হলো ভালবাসা- সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা, সেটা কী এতোই সস্তা? যেখানে সেখানে কী তা কুড়িয়ে পাএয়া যায়? নাকি চাইলেই পাওয়া যাবে? এক পতিতাও তার সন্তানের জন্য রুজি-রুটি-কামাইয়ের পথ থেকে সরে আসে- তা কী এতই মূল্যহীন? আর এই সম্পর্কে যারা অর্থের গন্ধ খোঁজে তার জীবনটাই অর্থহীন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩১ নরাধম বলেছেন: কালপুরুষদা, আপনার কমেন্টে বিপ্লব।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩৪ মাথামোটা বলেছেন:
"মা" মানে যে বোঝে না তার জন্য করুনা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩৯ মদনবাবু বলেছেন:
যারা মা কে ফ্রী সার্ভিস দেয়ার মত পন্য রূপে মন্তব্যের খাতিরে টেনে আনেন তাদের জন্য শ্রেফ করুনা ।

পারলে নিজের মা কে গিয়ে বলবেন আজকে আপনি তাকে পন্যের সাথে তুলনা করে এসেছেন । দেখবেন তিনি তার জবাবে কি বলেন ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০৫ শাহেদুর রহমান বলেছেন: মাকে যারা সম্মান করে কথা বলতে পারেনা তাদেরকে ধিক্কার জানাই।