Tuesday, July 31, 2007

পদার্থবিদ্যার নতুন পাঠ: ছাগুরামের তিন সুত্র





যাহারা এই সুত্রগুলি না শিখিবেন, তাহাদেরকে অল্পবিদ্যাধর ও অধম বলিয়া গালাগাল করিলে প্রতিবাদ করিতে পারিবেন না। করিলে ম্যা ম্যা চিৎকারে কান ঝালাপালা করিয়া ফেলা হইবে।1) প্রথম সুত্র: ওজন = ভর * (মধ্যাকর্ষন জানিত ত্বরণ)এখানেভর := গুটি গুটি ল্যাদার পরিমানমধ্যাকর্ষন জানিত ত্বরণ সম্পর্কে জানিতে হইলে নিউটনের বাড়ীতে যান। সেখানে নিউটন না থাকিলে ধর্মপুস্তকে তাহার উল্লেখ পাইবেন।2) দ্বিতীয় সুত্র: ভোজন জড়তাছাগুরামকে ঘাষপাতা প্রদান করিলে তাহা সে চিবাইতেই খাকিবে, জীবন ভর চিবাইতে থাকিবে, যতক্ষন না তৃতীয় কোন ছাগুরাম বাধা প্রদান না করে।3) তৃতীয় সুত্র: এ্যকশন = রিএ্যকশনকোন প্রানী বা বস্তু ছাগুরামকে ধাক্কা প্রদান করিলে ছাগুরামও তাহাকে একই শক্তিতে ধাক্কা প্রদান করিবে। হাতীকে ধাক্কা প্রাদান করিয়া ছাগুরাম চীৎপটাং হইলেও সুত্র অপরিবর্তিত থাকিবে।

পৌরাণিক ছাগুরাম


ছাগুরাম পুঁথি লিখিয়া সুবিধা করিতে পারে নাই। খুর দিয়া কয়লার পেন্সিল ধরা এক দুঃসাধ্য কর্ম, তদুপরি লিখিতে হয় ভূর্জপত্রে। ভূর্জপত্র ছাগুরাম ইতিপূর্বে কয়েকবার চিবাইয়া দেখিয়াছে, মন্দ নহে। তাহার উস্তাদ, শ্রদ্ধেয় মোদাররেস ব্যকরণ শিং বি এ তাহাকে বলিয়াছিলেন, "ছাগু! কোন জিনিস চাখিয়া দেখিতে ইতস্তত করিবে না। ইহা ছাগুসম্মত নহে। সঙ্কোচের বিহবলতা ছাগুরে অপমান।"তদ্যাবধি ছাগু যাহা হাতের নিকটে পায়, শিশিবোতলের মত শক্ত না হইলে চিবাইয়া দেখে। তাহার ফলাফল হইতেছে এ-ই, পুঁথির পাতা সে চিবাইয়া খাইয়া ফ্যালে। দোকানদার হাসে। কহে, "বিদ্যাচর্চা বস্তু খাইলে পেট ছাড়িবে। নগরীর চতুপর্াশ্বর্ে এত এত পনস বৃক্ষ, পানসপত্র খাইলেই তো হয়।" ছাগুও হাসে মিটিমিটি। উস্তাদ ব্যকরণ শিং বি এ-র কথা কি সে একটা তালপাতার দোকানদারের ব্যঙ্গ শুনিয়া ফেলিয়া দিবে?কিন্তু ভূর্জপত্র লোপাট করিবার ফলে ছাগুরামের ব্যাপক সমস্যা হয় লিখিতে। কী করিবে সে? প্রস্তরের গায়ে লিখিবে? কিন্তু প্রস্তরখন্ড আলগাইবে কীরূপে? তাছাড়া এই যুগে প্রস্তরখন্ডে লিখিলে তাহার আইআরসি চ্যাটরুমের ছাগীবান্ধবীরা ওলান আন্দোলিত করিয়া হাসিয়া উঠিবে। কী দরকার। যেই যুগে যেই হাইপ।একদিন ছাগুরামের এক নেটবান্ধব ওয়ারাম আসিয়া কহিলো, "ছাগু ভাই, শান্তি বর্ষিত হোক। শুনিলাম লিখিতে তোমার সমস্যা হইতেছে?"ছাগু বলিলো, "ম্যাঅ্যা ... মানে হ্যাঁ! কী করা যায় বলো তো?"ওয়ারাম বলিলো, "নরডেট 28 ব্যবহার করিয়া দেখিয়াছো?"ছাগু চটিয়া বলিলো, "ছাগেশ্বরের কসম, তুমি কি মশকরা মারিতেছো আমার সহিত?"ওয়ারাম লজ্জিত হইয়া বলিলো, "দুঃখিত, ভুল উইন্ডোতে লিখিয়া ফেলিয়াছি। মস্তইয়ের সাথেও আলাপ চলিতেছে কি না ... সে যাহাই হউক, তুমি লাদি মিডিয়ামে লেখো না কেন?"ছাগু ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া বলিলো, "লাদি মিডিয়াম? উহা কী? ম্লেচ্ছ মিডিয়ামে পড়াশোনা করিয়াছি কিয়ৎকাল, লাদি মিডিয়াম তো শুনি নাই!"ওয়া কহিলো, "আরে, তুমি তো ভূর্জপত্র দেখিলে নোলা সামলাইতে পারো না, খাইয়া ফ্যালো। তাই তোমাকে লিখিতে হবে লাদির হরফে। এই বিপুলা ধরণী হইবে তোমার খাতা। লাদি ছাড়িবার সময় হোগাটিকে সুচারুরূপে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিলেই তুমি অক্ষর নির্মাণ করিতে পারিবে। আর কতকাল খুর দিয়া কয়লার পেন্সিল আঁকড়াইয়া লিখিবে? এখন লাদিলিপির বড়ই গরমাবস্থা। মহাদেশে মহাদেশে জ্ঞানী-বুজর্গ লোকে লিখিতেছে। তুমিও লেখো।"ছাগুরামের বড়ই মনে ধরিলো কথাটি। সত্যই তো। ইহাতে ঝামেলা কম। সমস্ত দিনই তো সে এই পত্র সেই পত্র খাইয়া লাদিয়া বেড়ায় স্থানে স্থানে। সেই লাদি ধারাকে যদি একটু সামলাইয়া দেয়া যায়, তাহা হইলেই তো মাটিতে হরফ ফুটিয়া উঠিবে। তাছাড়া সেই হরফে কেউ হাত দিবে না, কারণ উহা ময়লা বস্তু। তাহার লেখা অজরামর হইয়া থাকিবে পৃথিবীর বুকে।ছাগুরাম হর্ষভরে ম্যাৎকার করিয়া তৎক্ষণাৎ রওয়ানা দিলো নিকটস্থ একটি পনসবৃক্ষের দিকে। আজ সে পেটটি পুরিয়া পাতা খাইবে। তারপর একটি মনোজ্ঞ প্রবন্ধ রচনা করিবে লাদির আঁখরে।মাস দুই এইভাবে লাদিলিপিচর্চা করিবার পর ছাগুরাম প্রথম বাধার সম্মুখীন হইলো। তাহার নিয়মিত লাদিচর্চার ময়দানের পাশে একটি পাঠশালা গড়িয়া উঠিয়াছে, নাম অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। সেই পাঠশালায় কতিপয় নাস্তিক বালকবালিকা লেখাপড়ার নামে অনর্থ করে। তাহারা ছাগুরামের লাদিরচনা নিয়া ব্যঙ্গ করে, হাসে। ছাগুরামের গা জ্বলিয়া যায়। গুগল সার্চ দিয়া সে কত কত জ্ঞানের কথাকে ময়দানপটে লাদিলেখায় আঁকিয়া তুলিয়াছিলো, সেইগুলি নিয়া সেই নাস্তিকের দল হাসিয়া মজা লোটে।ছাগুরাম মাঝে মাঝে উহাদের বুঝাইতে যায়। তাহারা ছাগুকে সমাদর করিয়া বসায়। ছাগুরাম গম্ভীর মুখে অনেক কিছু বলে, তাহারা মিটিমিটি হাসে। কিন্তু শুধরায় না। বরং মাঝে মাঝে ছাগুরামের নাম নিয়া ব্যঙ্গ করে। তাহার একটি পা নাই, তিনটি পা নিয়া সে এত কঠিন কর্মে হাত দিয়াছে, এ নিয়াও ব্যঙ্গ করে তাহারা। রাগে ছাগুরামের শিঙের গোড়া উত্তপ্ত হইয়া ওঠে। সে পণ করে, পরশুরামের মতো সে-ও একদিন পর পর একুশবার পৃথিবী নাস্তিকশূন্য করিয়া ছাড়িবে। সে তো আর কুঠার ধরিতে পারিবে না, তাহার অস্ত্র হইবে লাদি। মারাত্মক দুর্গন্ধযুক্ত লাদি।কী খাইলে ঐরূপ লাদি সে ছাড়িতে পারিবে? সে নেটে ওয়ারামকে শুধায়।ওয়ারাম বলে, "নরডেট 28 ব্যবহার করিয়া দেখিয়াছো?"ছাগু প্রচন্ড চটিয়া যায়, ওয়ারাম লজ্জিত হইয়া সাফাই গায়, কহে, মস্তইয়ে আছে আরেক উইন্ডোতে, দুঃখিত, ভুল জায়গায় লিখিয়া ফেলিয়াছে। তাহার পর সে চুপিচুপি পরামর্শ দেয়। বলে, যাও, হাটবারে হাটে গিয়া মৌদুধি সাহেবের পবিত্রগ্রন্থটি হাতসাফাই করিয়া লইয়া আসো। তাহার পর উহা উত্তমরূপে গলাধঃকরণ করো। ইহার পরদিন সকাল হইতে তোমার যা লাদি বাহির হইবে, উহার দুর্গন্ধের তুলনা পৃথিবীতে নাই।ছাগুরাম খুশি হইয়া ওঠে। ওয়া বড় কাজের পরামর্শ দিয়া থাকে।সে স্বপ্ন দেখিতে থাকে। মৌদুধির গ্রন্থজাত লাদির গন্ধে ঐ অল্পবিদ্যাভয়ঙ্করী ইশকুলের নাস্তিকগণ ছটফটাইয়া মরিতেছে। একবার, দুইবার করিয়া একুশবার। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাহাকে আসিয়া পল্টন ময়দানে দাঁড়া করাইয়া পরিচয় করাইয়া দিতেছে, আজ হইতে ছাগুরামকে লোকে জানিবে লাদুরাম বলিয়া ...! ছাগুরাম ঘুমের ঘোরেও ম্যাঅ্যাঅ্যা করিয়া ওঠে।

(মুখফোড় থেকে কপি পেষ্ট)

ছাগুরামের লঙ্কাকান্ড

ছাগুরাম গভীররাতে যুদ্ধঘোষণা করিল কতিপয় মানুষের বিরুদ্ধে। কারণ তাহারা অনেকেই তখন ঘুমাইয়া। তাই ছাগুও তাহাদের নামে কল্পনামিশ্রিত লাদিবিষ ঢালে ধুমাইয়া।দেখিতে হইবে, পৃথিবী গোল। আজকাল ইহা দেখা যায়। পূর্বে দেখা যাইত না। গোল পৃথিবীতে ছাগুর ঘেসো জমিতে তখন গভীর রাত হইলেও পূর্ব দিকে দক্ষিণ মহাদেশে তখন ভোর। আর পশ্চিম দিকে পবিত্রভূমিতে একটি মদিনাবাসী উটুরামও বিনিদ্র রজনী জাগিয়া রহিয়াছে। কারা যেন সেইখানে কম্পিউটার টিপিয়া টিপিয়া ছাগুকে চুপি চুপি কী কী পরামর্শ দেয়। মওদুদীর নীলনকশা খুলিয়া দেখায়, কী রূপে ধর্ম লইয়া ধমকাধমকি করিয়া চরদখল পদ্ধতিতে ব্লগে একটা গন্ডগোলের সৃষ্টি করা যায়। সত্য, যুক্তি ও ন্যায়ের পথে যখন ছাগুরাম-উটুরাম-কাঙুরামের দল সুবিধা করিতে পারে না, তখন জোশিলা জঙ্গ-ই একমাত্র উপায়।ছাগুরাম ছাগু বলিয়াই দুধ না খাইয়া নাচে। জিজ্ঞাসিলে বলে, অপরে দুদু খাইতেছে তা দেখিয়া প্রাণে স্ফূর্তি সঞ্চারিত হইয়াছে, তাই নাচি। তাই ধমকটিও জোটে তাহার সংকীর্ণ কপালে। বকাঝকা জোটে সব ছাগুর ঝোলায়, ঘাস জমা হয় গিয়া উটুর গোলায়। কাঙু হাসে সব দেখে, আরও হাসে উটু, ছাগুরাম চটেমটে খায় লুটুপুটু। ওয়া হাসে মিটিমিটি স্বনামে বেনামে, পাবলিক জানে তারা দক্ষ আকামে।ছাগুরাম এর আগেও মানুষের বিরুদ্ধে অনেক ভুয়া অভিযোগ উত্থাপন করিয়া ধরা খাইয়াছে। তাহার বুদ্ধিসুদ্ধি সীমিত বলিয়া সকলেই সস্নেহ ভর্ৎসনা করিয়া ছাড়িয়া দিত। ছাগু হইলেও সে ছিল সকলের আদরের পাত্র। কিন্তু অবোধ ছাগু পরের বুদ্ধিতে নাচিতে গিয়া এখন ব্যাপক জনবিরক্তির শিকার হইয়াছে।ছাগুরামদের মঙ্গলের দায়িত্ব মানুষের ওপরেই। আল্লাহ যেন তার সুমতি দান করেন, যেন শরৎচন্দ্রের আদলে তাহাকে লইয়া "(ছাগ)ুরামের সুমতি" উপন্যাস রচনা করা যায় ভবিষ্যতে, সেই প্রার্থনাই করি।


(মুখফোড় থেকে কপি পেষ্ট)

ছাগুরামকাব্য- শাকাহারী জমায়েৎ

ছাগুরাম কহে, "ভাই!সবার উপরে কাঁটাল সত্য তাহার উপরে নাই!"উটুরাম কহে, "ভ্রাতা!কেন মিছে বকি তর্ক বাড়াও খেয়ে কাঁটালের পাতা?মরুর দেশেতে আসা ইস্তক খাই খেজুরের মূলপাতা নয়, আছে শেকড়ে শক্তি, নেই তাতে কোন ভুল!"ছানারাম কহে, "কাগু!ফিরিঙ্গিদের দেশে আসে নাই, তাই বাজে বকে ছাগু।আঙ্গুরের লতা আঙ্গুরেরর ডালে কী যে মরমিয়া মধু,খাইলে বুঝিবে কাঁটাল-খেজুর যে-ই লাউ সে-ই কদু।"ছাগুরাম কহে, "ছানা!ঘুরিয়াছি আমি কত জঙ্গল, কত ময়দান নানাচিবায়া চিবায়া করিয়া দেখেছি পরখ হাজারো পাতাকাঁটালের কাছে নস্যি সকলই, সব একেবারে যা তা।"উটুরাম কহে, "বাল!খেজুর শিকড় খাইলে বুঝিতে উহা কী দারুণ মাল!মানুষেরা খায় খেজুর পাড়িয়া, আমি খুঁড়ি খাই মূলমৌলবাদী কি সাধে হইয়াছি রাখিয়া থোতায় চুল?"ছানারাম কহে, "দাদা!আঙ্গুরের রস না খাও যদি তো জীবন বৃথাই আধা।কাঁটালের পাতা খেজুরশিকড় শক্তি যোগাক যতআবঝাব লেখা কেউ যোগাবে না আঙ্গুররসের মত।"এইরূপে যত শাকাহারী প্রাণী ব্লগের আসর মাঝে,নেপথ্যে করে কুপথ্য যত বিষম বিরূপ বাজে,তাহারই প্রভাবে ব্লগে আসি তারা ত্যাজে ঘনঘন লাদি।বাখানিয়া তাই আমিও নানান গল্পকবিতা ফাঁদি।

(মুখফোড় থেকে কপি পেষ্ট)