বিজলীর খড়ি স্বঘোষিত শিবির সাথী
ইসলামে সেনাবাহিনি, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, জেল এসব বলে কিছু নাই। যারা ইসলাম পালন করেন তারা জেনে রাখবেন। নিজে ইসলাম পালন করবেন আর ইউরোপের মানস-চামচা হয়ে থাকবেন তা হবে না।
সেনাবাহিনী: বেতন দিয়ে পোষা সেনাবাহিনী বলতে ইসলামে কিছু নেই। রাসুলের যুগে ছিল না। জনগনের টাকা মাসে মাসে লয়া, কটকটা জামা পইড়া কলারটা উচা কইরা রাস্তাঘাটে পার্ট লয়া দাড়ায়া থাকাটা ভাইজান ভাল কিছু না, কাপুরুষতার, শরমের।
পৃথিবীতে কোন যুদ্ধটা শুধুমাত্র বেতনভুক্ত আর্মির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল? আর্মি নয়, ইসলামিক রাষ্ট্রে থাকে গনবাহিনী। জনগন, যুবসমাজের রক্তই দেশের মূল শক্তি, সাহস এবং ঈমানের দৃঢ়তা।
সার্বজনীন ভোটাধিকার: আমি বুঝি না, এটা দেশের ইনিভার্সিটির টিচার যেই ভোট দেয়, একই ভোট দেয় মুদি দোকানি। তার মানে দুইজনের মূল্যায়ন এক!! তাইলে হয় ওই টিচার বেসিকালি একটা ছাগল, নইলে দোকানির আসলে টিচার হওয়া দরকার ছিল। দুই জনের দেশ পরিচালনা সম্পর্কে সমান মূল্যায়ন হয় কি করে? ইসলামে তাই পশ্চিমা ষ্টাইলের গনতন্ত্র নাই। তবে গনতন্ত্র আছে, আছে সীমিত আকারের ভোটাধিকার।
জেলখানা: জেলখানা জিনিসটা আধুনিক রাষ্ট্রের একটা আজব জিনিস। যে খারাবী করছে তারে ধইরা কয়েক বছর আটকায়া রাখলে সে ভাল হয়া যাইব? কখনই না। আর দেশে অপরাধও কমব না। তাই ইসলামে জেলখানার ধারনা নাই। কেউ অপরাধ করলে মাইর দিতে হইব, সব সভ্যতায়ই মাইর আছে, জেলখানায় বসিয়া বসিয়া খাওয়ানো কোন ফল আসে না।
আর যদি চান শরিয়া আইন করেন, হাত কাটেন, গলা কাটেন, অপরাধ নির্মূল হবে। কিন্তু সবাই তো না বুইঝা চেচামেচি করে।
সংবিধান: আচ্ছা সংবিধান জিনিসটা যে কি সেটা আজ পর্যন্ত বুঝলাম না। কেউ বলবেন সংবিধান কি এবং দেশে সংবিধানের আদৌ দরকার আছে কিনা? ফাজলামোর সীমা থাকা দরকার।
মানবাধিকার: মানবাধিকার জিনিসটা কি? মানুষ কি অধিকার নিয়ে জন্মায়? সার্বজনীন শিক্ষা? আচ্ছা যে ৭ বছর বয়সে মারা গেল তার শিক্ষার অধিকারের কি হল? মানুষ কোন অধিকার নিয়ে জন্মায় না, জন্মায় কর্তব্য নিয়ে। ‘ওমা খালাক তুল জিন্না ওয়াল ইনসানু ইল্লা লিয়া’বুদুন’ আমি জ্বিন এবং মানব জাতিকে শুধু আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। তাই মানুষের আছে দায়িত্ব, আছে কাজ। সবার আগে মানবাধিকার বইলা কান্নাকাটি করাটা গর্দভামি। কে এই অধিকারাবলী ঘোষনা করেছে?
রাষ্ট্র: রাষ্ট্র-ফাষ্ট্র কিছু নাই । মিয়া কিসের রাষ্ট্র, তোমার বাপের? রাষ্ট্র শুনলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়।
প্রিয় পাঠক। উপরোক্ত ধারনাগুলো আমাদের মনে এমন ভাবে গেথে গেছে যে আমরা কখনও এগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করি না। শুধু ভাবুন যে মাত্র ৫০ বছর আগেও এই ধারনা গুলো অস্পষ্ট ছিল। আর ১০০ বছর আগে এই একটি ধারনাও পৃথিবীতে ছিল না। এখন ইউরোপ দুনিয়া শাসন করে বইলা তার বলছে যে তাদের ধারনাগুলোই চুড়ান্ত, আমরা মুসলিমেরা বলি: বাছা মুড়ি খাও।
Tuesday, August 28, 2007
Subscribe to:
Posts (Atom)