Wednesday, August 15, 2007

অশ্রু ও ছাগুর মিলনকাহিনী

ছাগুর আগে কোষ্ঠকাঠিন্য হইতো। খরা মৌসুমে কাঁঠাল পাতা দুর্মূল্য হইয়া উঠিলে এক বেলা জুটিলে শুকনা ঘাস অন্য বেলা না জুটিলে উপোস - এই করিয়াই ছাগুর দিন চলিতো। বন্যার পানি আসিবার সংগে সংগে মানুষের খাদ্যাভাব দেখা দিলো, সেই লগে গোখাদ্য ঘাসের সরবরাহেও ঘাটতি পড়িলো; কিন্তু কাঁঠাল বৃক্ষসমূহ পাতায় পাতায় ফুলিয়া ফাপিয়া উঠিলো। সবাই যখন বন্যা সামলাইতে ব্যস্ত, তখন সবার অগোচরে ছাগু চুরি করিয়া মণকে মণ কাঁঠাল পাতা সাবাড় করিলো।
ফলাফল হাতেনাতেই মিলিলো। কুত্তার পেটে ঘৃত সহ্য হয় না বলিয়া যে বদনাম ছিলো, ছাগু পেট খারাপ করিয়া তাহা ঘুচাইলো। মাত্রা ছাড়াইলে এমনকি ছাগুর পেটেও কাঁঠাল পাতা সহ্য হয় না। মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। পাতলা পায়খানারও তেমনি ভালো দিক আছে। এতদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ছাগুর পায়ূপথে যে বিঘ্নতা সৃষ্টি হইয়াছিলো, পাতলা পায়খানার তোড়ে উহা সারিয়া গিয়া পায়ূপথ আরামদায়ক রকমে পিচ্ছিল হইয়া উঠিলো।


এইদিকে অশ্রু নামক এক নব্যছাগুপ্রেমী ছাগুকে খুঁজিয়া খুঁজিয়া হয়রান হইয়া উঠিলো। কবিতার পর কবিতায় ছাগুর সহিত তাহার ভাব-ভালোবাসার কাহিনী বয়ান করিয়া ব্লগ ফাটাইয়া ফেলিলো। ছাগু প্রথমে মারহাবা মারহাবা করিয়া উঠিলেও পরে ঠিক বিশ্বাস করিতে পারিলো না। তাহার কিঞ্চিত সন্দেহ হইলো, অশ্রু চামেচিকনে তাহার পাছা মারিবার ধান্দা করিতেছে। সে অশ্রুকে ব্যান করিয়া দিলো।

অশ্রুও ছাড়িবার বান্দা নহে। রাজাকারবংশীয় রাজরক্তের গুণে সে অসীম ধৈর্যশীল হইয়া ধরণীতে আগমন করিয়াছে। সুতরাং এই ক্ষুদ্র অপমানে সে পিছপা হইলো না। কাঁদিয়া কাটিয়া টলারেবল লিমিটে ছাগুর মন জয় করিয়া ফেলিলো। ছাগু প্রায় হস্তগত হইয়াছে, এমনি সময়ে ডায়রিয়া আসিয়া ছাগু শয্যাগত হইলো। সপ্টাহ খানেক ধরিয়া তাহার আর টিকিটিও মিলিলো না।

সপ্তাহ পার হইলে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমিলো। ছাগু আবার জনসমক্ষে ফিরিয়া আসিলো। অশ্রু হাফ ছাড়িয়া বাঁচিলো। সেইদিন আবার ছিলো ১৫ই আগস্ট। ছাগুদের স্বাধীনতার দিন। অশ্রু দেখিলো, এইঈ সুযোগ। তাহার ছাগু বেজায় খোশ মেজাজে বর্তমান। অশ্রু ছাগুকে ধরিয়া কবির অ্যান্ড কোং-এ লইয়া গেল। তাহার পরে হুইস্কির পরে হুইস্কি ছাগুর গলায় চালান হইতে লাগিলো। প্রথমে কিঞ্চিত আপত্তি করিয়াছিলো। শত হইলে ছাগু ইসলামী বাণী মাইরা থাকে মাঝেসাঝে। অবশ্য তাহাদের জামাতে ইসলামীকে ছাগু নিজেই জামাতে পিছলামী মনে করে। উহাতে মাল খাওয়া নাজায়েজ নহে।

পুরা মাতাল টলটলায়মান ছাগুকে একটি ট্যাক্সিতে তুলিয়া অশ্রু তাহার বন্ধু লিটনের শূন্য ফ্লাটে লইয়া গেলো। আজ তাহার মনস্কামনা পূর্ণ হইবে। আর তর সহিলো না। ছাগু আবছা ঘোরের মধ্য দেখিলো, অশ্রুর সেইরকম প্রমাণ সাইজের জিনিস বাহির হইতেছে। সে আবারো ঘোরের মধ্যে চলিয়া গেলো।

একটি তীব্র যন্ত্রণানুভূতিতে তাহার ঘোর আবছা কাটিলো। অশ্রু তখন জিনিসে জামবাক মাখাইয়া বিসমিল্লাহ কইয়া এক ঠাপে ঢুকাইতে চেষ্টা করিতেছে। পাতলা পায়খানার আফটার ইফেক্টস্বরূপ ছাগুর পায়ূপথ যে অনেক শিথিলতা অর্জন করিয়াছে, ইহা আগেই বয়ান করিয়াছি। ছাগু একটি ছোট আর্তস্বর করিয়া আবারো ঘোরাবেশিত হইলো।

পরদিন সকালে ছাগু কিছুতেই কোমার নাড়াইতে পারে না। বিছানায় তাকাইয়া দেখিলো, রক্তের বন্যা বহিয়া গিয়াছে। অশ্রু ফাঁকতালে কোথায় কাটিয়া পড়িয়াছে। ভাগ্যক্রমে তাহার মোবাইলটি তখনও অক্ষত অবস্থায় টেবিলে পড়িয়াছিলো। সে লাউয়া মাহমুদকে তৎক্ষণাত একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকিয়া লইয়া আসিতে হুকুম দিয়া আবারো ক্লান্তিতে শুইয়া পড়িলো।

শুধু একবার মনে মনে পুলক অনুভব করিলো, অশ্রু আজ তাহাকে যে পরিমাণে চুদিয়াছে, ইহা ছাগুআর্কাইভে সংরক্ষিত হওয়ার ন্যায় একটি রেকর্ড বটে!

4 comments:

হাসিব said...

সেরম হইছে ।

Anonymous said...

ফাটাইয়া দেওয়া হইছে।

Anonymous said...

serom fatano hoise.

- Jaedan

Anonymous said...

এক্কেরে সেরম।