Monday, August 13, 2007

কবি মারহাবা মশহুদের কয়টা খারাপ দিন

কবি মারহাবা মশহুদ একটা চেইন ইস্টোরে অধ্যাপনা করেন। পন্ডিত মানুছ, বহুত বইয়ের নাম, সিনামার নাম মুকস্ত করছে একসময়। পেরায়ই উনারে বই হাতে ঘুরতে দেকা যায়। তবে বই পড়তে দেকছে এমন কতা কুনো বাপের পোলায় কয় না। বই হাতে রাইকা ঘুরলেও নাকি অনেক কিছু শিকা যায়, মারহাবা মশহুদ কহেন।

মারহাবা মশহুদ কিন্তু কবিতা লেইকা কবি হন নাই। উনি বড় বড় কবিদের নিতম্বে তৈল ডলতেন লেগুরার। বড় কবিরা ভরমণ বা আড্ডায় তাই উনারে বগলে রাকেন। মারহাবা মশহুদ স্মিতমুকে ঘুরাফিরা করেন, আর সময়মত জায়গামত তৈল ডলা দেন। তৈল ডলার ব্যাপারে উনার এই স্তান আর কাল বোদ উনারে অনেক সুবিদা দিছে। বড় বড় কবিরা অন্য বড় বড় কবিদের লগে আলাপ করাইয়া দ্যান, এই হইতেছে মারহাবা মশহুদ, ছোট কবি, তবে হাত ভালো। শুইনা বড় বড় অপর কবিরা মুচকি মুচকি হাসেন, বলেন, আইসো বাসায় কবিতা লইয়া। মারহাবা মশহুদ চুয়াডাঙ্গা থিকা আমদানি করা সরিষার তৈল লইয়া উনাদের বাসায় যান। কবিদের নিতম্বও কবিতা লিকার জন্য খারাপ না, যদি লগে তৈল আর তৈল ডলার হাত থাকে।

তো একদা মারহাবা মশহুদ নানা জনের নানা স্থানে তৈল ডলিয়া এক শ্যাতাঙ্গু ব্যবসায়ীর মনুরঞ্জন কইরা ফালাইল। শ্যাতাঙ্গু কহিলেন, মারহাবা মারহাবা! মশহুড, ইয়ু হ্যাভ গট গুড হ্যান্ডস। ইউ ম্যানেজড মা আস ভেরি ওয়েল। কুড ইয়ু মানেঝ আ ফিউ মোর আসেস?

মশহুদ নিজের তৈলসিক্ত হাতে চুম্মা দিয়া কন, ইয়েস। নো। ভেরিগুড।

তারপর তিনি চেইন ইস্টোরের অধ্যাপক বনিয়া গেলেন। আড়ালে আবডালে থাকেন, হালকা মডারেছন করেন নানা জিনিছ, আর ভাব লন। মাঝে মাঝে বই আর সিনামার মুকস্ত করা নাম আওড়ান।

একদিন বড় ভাই ভ্যাজাল মাশকুর আইসা ডাকিলেন, মশহুদ, আহিছ আমাগ দুকানে।

মশহুদ হাসলেন। অধ্যাপনার পাশাপাশি অতীতের বড় ভাইদের নিতম্বে তৈল ডলা কি সাজে? ঐ কর্ম কইরা কি ভবিষ্যতে ফায়দা লুটা যাইবেক?

সাত পাছ ভাবিয়া তিনি রাজি হইলেন, বললেন, যামু।

গিয়া দেখিলেন দুকানের দুয়ার বন্ধ। দুয়েকবার কড়া নাইড়া দেখে ভিতরে লুকের কতাবার্তা চলে বৈটকখানায়, মাগার দরজা খুলে না কেউ।

মশহুদ এন্তেজার করলেন কিছুক্ষণ, তারপর একটা বাতকর্ম ছাড়লেন। তার দুর্গন্ধে সবাই কাহিল। কিছু লোক অবশ্য দন্য দন্য করলো। মশহুদ বললেন, এইখানে সবাই ভার্চুয়াল লাইঠাল।

তা-ও কেউ দরজা খুলে না। মশহুদ তা-ও খাড়াইয়া থাকে।

শেষে কে জানি খত পাঠাইলো। মশহুদ খত খুলিয়া দেখেন, দুকানে উনার মত অদ্যাপকের দরকার নাই। এই দুকানের লুকজন সবাই মুরুক্ষু, ছিক্ষিত হইতে চায় না। তৈল ডলাডলির ইস্কুপও কম।

মশহুদ কান্দিয়া দিলেন। কইলেন, খেলুম না। এইটা কুন দুগানই না। এইটা পানের ছাপ্রা। চেইন ইস্টোর না। আমি চেইন ইস্টোরের অদ্যাপক। মায়না পাই মডারেছন টুদাই। পানের ছাপ্রায় আমারে যখন লইল না, আমি তখন যামু না।

মশহুদ অবশ্য ক্যান পানের ছাপ্রায় ঢুকতে চাইছিলেন, সেইটা চাইপা গেলেন। আর উনারে ঢুকাইলেই কি পানের ছাপ্রা রাতারাতি চেইন ইস্টোর হইয়া যাইত কি না, তা-ও কহিলেন না।

কি আর করা, মারহাবা মশহুদ চেইন ইস্টোরের অদ্যাপনায় ফিরিয়া গেলেন। ভাব লওয়া, মুকস্ত কতাবার্তা বলা, আর বড় বড় ওস্তাগরদের নিতম্বে তৈল রগড়ানি। নাইলে কবি নামটা ঘুইচা যাইব। কবিতা লিখা কবি হইতে গেলে ত মুছকিল।

2 comments:

Anonymous said...

এইটা সেরম হইসে।
মারহাবা মশহুদরে পড়ানো গেলে ভালো অইতো।

-
আরণ্যক যাযাবর

Anonymous said...

বালের বাল এটা