এক চতুষ্পদ ঘোড়া নাকি শিক্ষিত ছিলো,সে সরল অংক, সাধারন যোগ বিয়োগ করতে পারতো, প্রানী জগতে বুদ্ধি বিবেচনার অস্তিত্ব নেই এই বিষয়টাকে ভ্রান্ত প্রমানের জন্য সার্কাসের বুদ্ধিমান অংককষা ঘোড়াকে নিয়ে গবেষনা হয়েছে, সেই ঘোড়া খুর ঠুকে অংকের সমাধান দিতো।যদি তাকে কেউ প্রশ্ন করতো 2 এবং 3 এর যোগফল কতো তাহলে সে 5 বার খুর ঠুকে উত্তর দিতো যোগফল 5। কিন্তু ঘোড়ার মাথা অনেক বড় হলেও ঐকিক নিয়ম কিংবা সুদকষার হিসেব সে শিখতে পারে নি, শুনেছি ডলফিনরা নাকিনিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে, মাঝে মাঝে পরচর্চাও করে শুনেছি, তিমি বাঁদর মাছি, পিপড়া সবাই নিজ প্রজাতির মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে এবং মাঝে মাঝে তাদের আচরন দেখে বাকি প্রানীরাও বুঝতে পারে ঘটনা কি? বাঁদর এবং হরিণের মধ্যে একটা গোপন চুক্তি আছে, বাঘ হরিন ধরতে গেলে বাঁদরেরা উপর থেকে চিৎকার করে হরিনকে সাবধান করে দেয়, হরিন ছুটে প্রাণ রক্ষা করে, এসব আন্তঃ প্রানীয় যোগাযোগ বাদ দিলে সব প্রানীর যোগাযোগ মূলত অন্তঃপ্রানীয়, মানে নিজেদের মধ্যেই যোগাযোগ করতে পারে, এবং এই ভাষাটা আবার সার্বজনীন, একটা বিলাতি কুত্তাও আমাদের নেড়ি কুত্তার কথা বুঝে, কিন্তু মানুষের বিষম সমস্যা তারা সবার ভাষা বুঝতে পারে না, পশুপাখীর ভাষাতো দুরের কথা একদেশের মানুষ অন্যদেশের মানুষের ভাষা বুঝে না। কিন্তু এই অক্ষমতা নিয়েও মানুষের ভাবচককর কম না, নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব বলে দাবী করে, ইচ্ছা মতো অন্য প্রানী ধরে মেরে কেটে খায় কিংবা নিছক বিনোদনের উদ্দেশ্যে শিকার করে। কোনো প্রানীই আমোদের ছলে শিকার করে না, এমন কি অর্থহীন রক্তক্ষরণে বিশ্বাসি নয় প্রানীসমাজ, অযথা জীবহত্যা করে না বনের কোনো প্রানী কিন্তু মানুষকে প্রানী হত্যা বিরত রাখার জন্য ধর্মের আইন প্রয়োজন হয়। স্বাজাতি হত্যার উৎসব নেই কোনো জীবের কিন্তু মানুষ রীতিমতো সুসজ্জিত নৃসংশতায় বিশ্বাসী। মানুষ স্বাজাতি নির্যাতনের বিভিন্ন ফন্দিফিকির বের করেছে, এসব করেই মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হয়ে উঠেছে। ঘোড়া যা পারে মানুষ পারে না, ঘোড়াকে ট্রেনিং দিয়ে যোগ বিয়োগ শিখানো হয়েছে কিন্তু আমাদের ত্রিপদ দাদা কষ্ট করে 0 আর 1 গুনতে শিখেছে, তিন পায়ের একটা উঠিয়ে ঠুকতে পারে না, ওটা দিয়ে শুধু সামনে গুতানো যায়, ওটা দিয়ে টোকা যেহেতু দেওয়া যায় না সুতরাং 0 এবং 1 নির্দিষ্ট করার জন্য ত্রিপদ দাদা অন্য একটা ইঙ্গিত ঠিক করেছে,যখন উত্থিত তখন 1 যখন অবনমিত তখন 0। এভাবে উত্থান এবং অবনমনে ত্রিপদের তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথ্যা, এবং ইত্যবসরে ডারউইনকে দেখে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠে ত্রিপদ, গন্ধমের প্রভাবে হয়তো, জ্ঞানের প্রভাবে উত্থিত হয়ে যাওয়া ত্রিপদ দাদা ডারউইনের কব্বর খুঁজে বের করে সেখান থেকে ডারউইনের হাতে লিখা পান্ডুলিপি নিয়ে বিভিন্ন মানুষকে দিয়েছিলেন, অনেক অনেক রথী মহারথী ডারউইনের তত্ত্বকে ভ্রান্ত বলেছেন, এইটা বড় কোনো বিষয় না আমার বাসার সামনের ইমাম প্রতি জুম্মাবারে পুরা সৃস্টিতত্ত্ব বিশদ ব্যাখ্যা করে, সঙ্গম প্রানালী শিখায় 5 বাচ্চার বাপ কে যদিও ইমামের নিজের বিয়ে হয় নাই তার পরও তার অভিজ্ঞতার ঝুলি কম না,এমন ইত্রিপদ দাদার অবস্থা, নিজের পঠনে তেমন কিছু নেই বরং অনয় একটা জায়গা থেকে ডারউইনিজমের চোথা কপি পেষ্ট করেছেন এবং অংশত উল্লেখ করেছেন, এমন আংশিক বর্ননা তুলে ধরা আসলে একটা চালিয়াতি প্রয়াস, কথার অর্থ ভূল ভাবে পরিবেশিত হয়, তবে ত্রিপদ দাদার সমস্যা নেই, 0 1 00001 0010111011 এই জটিল সমীকরন মিলানোর প্রচেষ্টা করছেন এখন, তবে সমস্যা হলো হাতে রাখা প্লেবয় দিয়ে 1 নির্দেশ করতে পারেন কিন্তু এর পরের 00 গুলো আসে না সারাক্ষন 1111111 রিডিং দেয় মানুষ সঠিক তথ্য পায় না।এই প্রসঙ্গে অনেক পুরোনো একটা কৌতুক মনে পড়লো।এক শেখ মার্কিন মুল্লুকে গিয়েছে, এবং পয়সা দিয়ে এক সুন্দরি হট সেক্সি মেয়েকে নিয়ে এসেছে ঘরে।যথারীতি পূর্বরাগের পর শেখ সাহেব তার আলখাল্লা খুললেন.শেখ সাহেবের উত্থিত অঙ্গ দেখে মার্কিন মুল্লুকের অনেক জিনিষ দেখা মেয়ের মুখ দিয়ে বের হলো ওয়াওশেখ মনক্ষুন্নএইটা ওয়াও না এইটা আলিফ।
(রাসেল ( ........))
Thursday, August 2, 2007
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment